সুন্দরী বৌদিদের প্রেগন্যান্ট করলেই মিলবে লাখ লাখ টাকা! বেকার যুবকদের জন্য শুরু হল এই নতুন চাকরি!

সুন্দরী বৌদিদের প্রেগন্যান্ট করলেই মিলবে লাখ লাখ টাকা! বেকার যুবকদের জন্য শুরু হল এই নতুন চাকরি!

সুন্দরী বৌদিদের প্রেগন্যান্ট করলেই
মিলবে লাখ লাখ টাকা!

বেকার যুবকদের জন্য
শুরু হল এই নতুন চাকরি!

না লাগবে মাধ্যমিক,
না লাগবে উচ্চমাধ্যমিক!

শুধুমাত্র মহিলাদের গর্ভবতী করতে পারলেই
টাকায় টাকায় ভরবে বুকপকেট!

ফুলে ফেঁপে উঠবে
ব্যাংক ব্যালেন্স!

জানেন,, কোথায় মিলছে
এমন আজব চাকরি?

কি কি যোগ্যতা লাগবে?
বেতনই বা কত?

চাকরি তো অনেক রকমের হয়, কর্পোরেট সংস্থার চাকরি, স্কুলের চাকরি, হাসপাতালের চাকরি! কিন্তু এমন চাকরির কথা কখনও শুনেছেন যেখানে,,, কাজ হল মহিলাদের প্রেগন্যান্ট করা, অর্থাৎ মেয়েদের গর্ভবতী করা! কি শুনেই, হা হয়ে গেলেন তো?! বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়! ভাবছেন আবোল তাবোল বকছি!! কিন্তু,,, নাহ!! এটাই সত্যি! একেবারে তিন সত্যি! এমনই আজগুবি এবং অবিশ্বাস্য একটি চাকরির হদিশ মিলেছে খোদ ভারতে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে ভারতের পাটনায় এই চাকরির সন্ধান মিলেছে। পাটনাতেই এই চাকরি দেওয়া হচ্ছে।

এই চাকরিটি ঠিক কেমন?

আগেই বলেছি এই চাকরিটি বাকি ৫টা সাধারণ চাকরি থেকে এক্কেবারে আলাদা। এমন অভিনব চাকরিতে আপনাকে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে বসে টাইপিং করতে হবে না। এমনকি কোনো মিটিংও করতে হবে না। এই চাকরির মূল কাজটাই হল সুন্দরী মহিলা ও সুন্দরী বৌদিদের মা বানানো! ব্যাস এটাই হল এই চাকরির মূল কাজ! আর এই চাকরিটির নাম অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব। সহজ ভাবে বললে এই চাকরিটা অনেকটা বলিউডের ভিকি ডোনার সিনেমার মতন!!! সেখানে সিনেমার নায়ক ভিকি মহিলাদের মা বানিয়ে বেড়াতেন!
অনেকেই এই গোটা বিষয়টিকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন। আবার কেউ কেউ এমন চাকরির বৈধতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন।

এমন আজগুবি চাকরির যোগ্যতা লাগবে শুনলে লজ্জায় পড়ে যাবেন। তথ্যসূত্রে খবর,,, এই চাকরিটি পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পাস,,, না হলেও চলবে। এমনকি পড়াশুনো না জানলেও ক্ষতি নেই!! শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়াটাই এই চাকরির প্রথম শর্ত ও মূল যোগ্যতা। এছাড়াও যে সমস্ত পুরুষেরা মেয়েদের মা করতে সক্ষম হবেন, নিঃসন্তান মহিলা যাদের দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা হচ্ছে না, তাদেরকে যারা মা হওয়াতে পারবেন তারাই মূলত এই চাকরির দাবিদার!

তবে এমন আজগুবি চাকরিটি বৈধ নয় বলেই জানা গিয়েছে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী,,, এটি সম্পূর্ন একটি অবৈধ করবার। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব এর সমস্ত কলা কুশলীরা!!! মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে পাটনা পুলিশ!! প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি,,, টাকা লুট ও মিথ্যা আশ্বাসের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে!!
সূত্রের খবর এটি একটি সাংঘাতিক স্ক্যাম ছাড়া আর কিছুই নয়। তরুণ যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতাতেই এমন অভিনব স্ক্যাম চালু করেছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী!! জানা গিয়েছে অনেক তরুণ- যুবকেরাই এই ফাঁদে পা দিয়েছে। তারাই এই প্রকল্পটির কালো দিকটি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া প্রেগনেন্ট জব একটি ভুয়ো সংস্থা। এই সংস্থার কর্মীরা,,, আগ্রহী ও বেকার যুবকদের লাখ টাকা রোজগারের লোভ দেখিয়ে এই স্ক্যামের আওতায় নিয়ে আসতেন। এই অবৈধ ও দুর্নীতিযুক্ত সংস্থাটি বেকার যুবকদের বোঝাতেন, ভারতের অনেক মহিলা মা হতে পারে না, তাদের মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ দেওয়াটাই তাদের কাজ! সেই সঙ্গে তারা উঠতি বয়সের ছেলেদের বোঝাতেন, এই চাকরিতে একবার যোগ দিলেই সুন্দরী নারী সহ মাস গেলে ১৩ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়া যাবে। অনেকেই এই সংস্থার মিথ্যে প্রলাপ বিশ্বাসও করেছে। আর যারা যারা বিশ্বাস করে এই সংস্থার পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে,,,, তাদের কাছ থেকে নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য,,,,, দফায় দফায় টাকা তুলেছে এই সংস্থাটি। এই সংস্থার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া প্রত্যেক তরুণ একবাক্যে এই কথাগুলো শিকার করেছে। তারা জানিয়েছে ঠিক এই ভাবেই তাদেরকে ফাঁসিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই সমস্ত প্রতারিত যুবকেরা ইতিমধ্যেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

সত্যিই চাকরির আকালে এমন জালিয়াতি কারবার খুবই দুর্ভাগ্যজনক!! একেই বাজারে চাকরি নেই, বেকার ছেলে মেয়েরা পয়সা ইনকামের জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে !!! তার মধ্যে এই সব নোংরা স্ক্যাম, যেখানে গরীব, দরিদ্র ছেলেদের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের কাছে একটাই বার্তা, যে কোনো চাকরিতে যোগ দেওয়া আগে অবশ্যই যাচাই করে দেখুন। শুধুমাত্র মোটা অংক এর মাইনে আর বড় বড় প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না! আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো,,, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন!


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *