রাম নামে মুখরিত দেশ! কোটি কোটি ভারতবাসীর আবেগ এখন রাম মন্দির! রামমন্দির নির্মাণে ব্যবহার হয়নি কোনো লোহা! শুধু পাথরেই তৈরী র্যাম মন্দির! ভারতের ১৫০ টি নদীর জল থেকে বিভিন্ন পবিত্র জায়গার মাটি! কিংবা থাইল্যান্ডের মাটি থেকে টাইম ক্যাপসুল! রহস্যে মোড়া রাম মন্দির! পবিত্র এই মন্দির ঘিরে রয়েছে ১০টি অবাক করা তথ্য! যা জানলে চোখ কপালে উঠবে বড় বড় রাম ভক্তদেরও।
অবশেষে ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পবিত্র অযোধ্যা ভূমিতে ফিরেছেন রামলালা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে ভগবান শ্রী রামের বাল্য রূপের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে রাম নামে মুখরিত গোটা দেশ। দেশজুড়ে রাম ভক্তি দেখে অনুমান করা হচ্ছে আগামী দিনে এই রাম মন্দিরই হয়ে উঠতে চলেছে ধর্মীয় পর্যটনের অন্যতম হটস্পট।
রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আবেগে ভাসছে গোটা দেশ। অনেকেই ধরে রাখতে পারেনি চোখের জলও। রামমন্দির উদ্বোধনের সাথে এইভাবেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়ে গিয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাবাবেগ। এই মুহূর্তে রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে উৎসবের মাতোয়ারা দেশবাসী। তবে অনেকেই জানেন না এই মন্দির সম্পর্কিত দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা জানলে চমকে যাবেন যে কেউ! আসুন জানা যাক রাম মন্দির সম্পর্কিত এমনই দশটি অজানা তথ্য।
১) মোট ২৮ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং প্রায় ১৬১ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন অযোধ্যার রাম মন্দিরটি ভারতবর্ষের সবথেকে বৃহত্তম মন্দির। ৩০ বছর আগে চন্দ্রকান্ত সোমপুরার ছেলে আশিস সোমপুরা এই স্থাপত্য পরিকল্পনা করেছেন।
২) বিখ্যাত ভাস্কর পরিবার সোমপুরা পরিবারের প্রধান স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরার নেতৃত্বে তাঁর দুই ছেলে আশিস ও নিখিল এই মন্দির নির্মাণ করেছেন। সোমনাথ মন্দির সহ বিশ্বব্যাপী আরো ১০০ টি মন্দির নির্মাণ করেছেন তাঁরা।
৩)রাম মন্দিরে মোট তিনটি গম্বুজ সহ পাঁচটি মন্ডপ রয়েছে। এগুলি ৩৮০ ফুট লম্বা, ২৫০ ফুট চওড়া এবং উচ্চতায় ১৬১ ফুট। এছাড়াও এই মন্দিরে মোট ৩৯২টি পিলার ও ৪৪টি গেট আছে। রাজস্থানের গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে বিখ্যাত নাগারা শিল্প রীতিতে নির্মাণ করা হয়েছে এই রাম মন্দির।
৪)রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময় ভারতের মোট ২৫৮৭ টি অঞ্চল থেকে পবিত্র মাটি আনা হয়েছিল। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জায়গা হল- স্বর্ণ মন্দির,চিতোরগড়,ঝাঁসি, বিথুরি, হলদিঘাটি, যমুনোত্রী ইত্যাদি।
৫) রামলালার মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য ২০২০ সালের ৫ আগস্ট ভারতবর্ষের মোট ১৫০ টি পবিত্র নদীর জল আনা হয়েছিল ।
৬) রাম মন্দিরের অন্যতম ইউএসপি হল এই মন্দির নির্মাণে শুধুমাত্র পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এই মন্দির তৈরি করতে কোনো লোহা, ইস্পাত কিংবা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি।
৭) উত্তরাধিকারীদের জন্য রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে একটি টাইম ক্যাপসুলের মাধ্যমে তামার প্লেটে রাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
৮) মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত ইট গুলিতে শিলালিপির আকারে শ্রীরাম লেখা আছে। যা দেখে রামায়ণের রাম সেতু নির্মাণের ঘটনা মনে পড়ে যায়।
৯) রাম মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগটাই এসেছে অসংখ্য মানুষের পাঠানো অনুদান থেকে।
১০) রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিত রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের জন্য থাইল্যান্ড থেকে মাটি এসেছে। যা ভৌগোলিক সীমানার বেড়াজাল টপকে এক পবিত্র বন্ধনকে ইঙ্গিত করে।
Leave a Reply