টি-শার্ট প্রিন্টিং

নেশাই হবে পেশা! টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যাবসা করেই প্রতি মাসে হবে বিরাট লক্ষ্মীলাভ! ক্রিয়েটিভ এই ব্যবসা করেই আয় করুন ৫০ হাজার টাকা! বিস্তারিত জানুন টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করার সমস্ত খুঁটিনাটি!

ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের নেশাকেই যদি পেশা বানানোর শখ থাকে তাহলে আপনিও বাড়ি  বসেই শুরু করতে পারেন এই টি-শার্ট প্রিন্টিং-এর ব্যবসা। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের  ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের কাছেই টি-শার্ট ফ্যাশনে ইন। তাই বাজারে এখন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই প্রিন্টেট টি-শার্টের। তাই গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই যদি এই ব্যবসা শুরু করা যায়, তাহলে প্রতিমাসেই  ৫০ হাজার টাকার বেশিও আয় করা যেতে পারে এই ব্যবসা থেকে। কিন্তু কিভাবে? এই টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার সমস্ত খুঁটিনাটি জানুন এই প্রতিবেদনে।

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যাবসা

নতুন ব্যাবসায়ীরা নিজের বাড়ি বসেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তার জন্য প্রথমে কারখানা বা হোলসেলারের কাছ থেকে প্লেন টি-শার্ট কিনতে হবে। এইসব জায়গা থেকে খুব কম টাকায় প্লেন টি-শার্ট কিনে তাতে ইউনিক ডিজাইন প্রিন্ট করে বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে প্রথমে একটা প্রিন্টিং মেশিন কিনে শুধুমাত্র প্রিন্টিং-এর কাজ করতে হবে। এছাড়াও এই ব্যাবসা শুরু করার জন্য লাগবে একটি হিট প্রেস, কাগজ এবং একটি কম্পিউটার। এরপর ওই প্লেন টি-শার্ট গুলিতে নিত্যনতুন ডিজাইন প্রিন্ট করে তা বাজারে বিক্রি করা যাবে। কেউ চাইলে এই ধরনের টিশার্ট বাজারে কিংবা অনলাইনেও বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই ব্যবসাতেও কিন্তু প্রতিযোগিতার অভাব নেই। তাই বাজারের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই ওই প্লেন টি শার্ট গুলিতে এমন কিছু  ডিজাইন প্রিন্ট করতে হবে যা দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করবে গ্রাহকদের ।

 

অনলাইনে টি-শার্ট প্রিন্টিং-এর  ব্যাবসা

আমাজন, ফ্লিপকার্ট, কিংবা মেশোর মতো বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট গুলিতে সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই  প্রিন্ট করা টি-শার্ট গুলি  বিক্রি করা যাবে। এক্ষেত্রে টি-শার্টের  ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট ভালো হলে গ্রাহকরা সেখানে ভালো রেটিং দেবে। এইভাবে প্রোডাক্ট থেকে  ভালো রেটিং পাওয়া গেলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেই  প্রচুর অর্ডার পাওয়া যাবে।

 

এই ব্যাবসা শুরু করতে কতো খরচ হবে?

এই ব্যাবসার  জন্য প্লেন টি-শার্ট,প্রিন্টিং মেশিন, একটি হিট প্রেস, কাগজ সহ একটি কম্পিউটার কিনতে হবে যার জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে কম দামের প্রিন্টিং মেশিন কিনলে  মাত্র একটি টি-শার্ট প্রিন্ট করা যায়। তাই  আরও দামি অটোমেশন প্রিন্টিং মেশিন কিনতে হলে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যাবসাতে কতো টাকা আয় হবে?

এই ব্যবসায় যত বেশি  টি-শার্ট বিক্রি হবে ততো বেশি আয় হবে। সাধারণত একটি প্লেন টি-শার্টের দাম ১২০ টাকা । তার ওপর প্রিন্ট করতে খরচ হয় ১ টাকা থেক ১০ টাকা, আর সূক্ষ্ম মুদ্রণ করতে গেলে খরচ পড়বে ২০ থেক ৩০ টাকা। এরপর এই প্রিন্টিং টি-শার্ট-ই বাজারে ২৫০ টাকা থেক ৩০০ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে। এইভাবেই প্রায়  দ্বিগুণ মূল্যে এই টি-শার্ট গুলি বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে।

এছাড়া যদি কোনো হোলসেলারকে বিক্রি করলে তা পাইকারি মূল্যে বিক্রি করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কম হবে। হিসাব অনুযায়ী কেউ যদি প্রতিমাসে ৫০০ টি টি-শার্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *