রাম লালার মূর্তি বানানোর সময় ঘটেছে একাধিক অলৌকিক কান্ড! একসময় অন্ধ হতে যাচ্ছিলেন মূর্তি বানানোর কারিগর, নিজের মুখে জানালেন খোদ মূর্তি নির্মাতা
রাম লালার মূর্তি বানানোর
সময় একাধিক অলৌকিক কান্ড ঘটেছে!
একসময় অন্ধ হতে যাচ্ছিলেন
মূর্তি বানানোর কারিগর!
আবার কখনো রামলালার মূর্তি থেকে
বেরিয়ে এসেছে দিব্যজ্যোতি!
কখনো আবার লাজুক চোখে
হেসে উঠেছে বালক রাম লালা!
আর কি কি ঘটেছে, নিজের মুখে
জানালেন খোদ মূর্তি নির্মাতা
শুনলে, আপনার
গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে
অবশেষে গোটা বিশ্ববাসীর জন্য রাম মন্দিরের দুয়ার খুলে গেল। উদ্বোধনের পর থেকেই রাম মন্দিরকে ঘিরে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। রাম মন্দিরের গঠন কাঠামো থেকে শুরু করে সাজসজ্জা সবই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু। তবে এই সবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে রামলালার মূর্তি নির্মাণের কাহিনী। শোনা যাচ্ছে,,,, রাম মন্দিরের রামলালার মূর্তিটি তৈরি করতে গিয়ে মূর্তি নির্মাতা অরুণ যোগীরাজ নানারকম অলৌকিক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছেন। যা তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন রামলালার মূর্তি খোদাই করার সময় তিনি বিভিন্ন ভাবে দৈব শক্তি অনুভব করতে পেরেছিলেন। রামলালার বিগ্রহ তৈরি করার সময়,,,, অরুণ যোগীরাজের কখনো কখনো মনে হতো,,,,,,, বালক রামলালা যেন খিলখিল করে হেসে উঠছেন। আবার কখনো মনে হত ছোট্ট রাম যেন তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন। অরুণ যোগীরাজ আরও জানিয়েছেন,,,,, তিনি যখন রামলালার মূর্তিটির মধ্যে নিষ্পাপ, সরল দৃষ্টিমাখা, ভাবগম্ভীর, হাসি মুখী একটি আদল রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি তাতে সফলও হয়েছেন। তার মতে , তিনি যখন রামলালার মূর্তি দিকে তাকাতেন, তখন রাম লালাকে বাস্তবে অনুভব করতে পারতেন। রামলালার মূর্তির দিকে তাকালেই,, অরুণ বাবুর মনে হতো ভগবান শ্রী রামলালা যেন স্বয়ং মর্তে অবস্থান করছেন। অরুণ বাবু আরো জানিয়েছেন,,, প্রথম দিকে তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না ছোট্ট পাঁচ বছরের বালক রামলালার মূর্তি কিভাবে বানাবেন!! এরপর ঘটে আরেক অলৌকিক এবং রহস্যগঠিত ব্যাপার। একদিন হঠাৎ ,,, অরুণ বাবুর নজর যায় তার পাশের বাড়িতে খেলতে আসা বাচ্চাদের দিকে। সেখানেই গুটিগুটি পায়ে ছোট ছোট শিশুরা হাসিমুখে ছোটাছুটি করছিল। কাকতালীয়ভাবে বাচ্চাগুলোর বয়সও পাঁচ বছরের আশেপাশেই ছিল। এই বাচ্চাগুলোকে দেখে অরুন বাবুর চোখ খুলে যায়। তিনি চোখের সামনে দেখতে পান পাঁচ বছর বয়সী বালক রামলালার মুখমন্ডল। এরপর সহজ হয়ে যায় বালক রাম লালার মূর্তি তৈরির কাজ। দেরি না করেই তিনিও বানিয়ে ফেলেন রামলালার বিগ্রহ।
এদিকে রামলালার মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে অরুণ বাবুকে সাংঘাতিক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান রামলালার মূর্তিটি কৃষ্ণ শিলা নামক এক ধরনের পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ পাথরটি একেবারেই সাধারণ কোনও পাথর নয়। এই পাথরে মূর্তি নির্মাণ করা যেমনই কষ্টসাধ্য তেমনি ঝুঁকিপূর্ন। অন্যান্য পাথরের মতন এত সহজে কৃষ্ণপাথরের উপর খোদাই কার্য সম্পন্ন করা যায় না। অনেক সময় নিয়ে কৃষ্ণ পাথরে খোদাই করতে হয়। অরুণ বাবু জানান এই কৃষ্ণ পাথরের ওপর রামলালার মূর্তি নির্মাণ করতে গিয়ে পাথরের ছোট ছোট টুকরো ছিটকে এসে তার চোখে বিঁধে গিয়েছিল। পরিস্থিতি অনেকটাই বেগতিক হয়ে পড়ে। অবশ্য চোখে ব্যথা পেলেও তিনি কাজ থামাননি। বরং চোখে ব্যান্ডেজ বেঁধে, ঔষধ খেয়েই রাম লালার মূর্তি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। অরুন বাবু জানান রামলালার মূর্তিটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর তিনি মূর্তির চারপাশে এক প্রকার দিব্যজ্যোতি দেখতে পান। বিশেষ করে রাম লালার মূর্তিটি পালিশ হওয়ার পর, মূর্তিটির মধ্যে থেকে সে রূপের ছটা বেরিয়ে এসেছিল তা ছিল একেবারে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতন ছিল। অরুণ বাবু সেই রূপ চাক্ষুস করে থতমত খেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, অরুণ বাবু আরো জানিয়েছেন রামলালার মূর্তি তৈরির জন্য,,, তিনি টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরামিষ খাবার খেয়েছেন। এই নিরামিষ খাওয়া নিয়ে তিনি একটি আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন,, আমিষ ছাড়া তিনি চলতেই পারেন না। মাছ, মাংস না হলে তিনি খেতে পারেন না। আমিষ না খেলে তার পেট ভরে না। কিন্তু রামলালার মূর্তি তৈরি সময় তিনি যখন নিরামিষ খেতে আরম্ভ করেছিলেন তার এই রকম কোনও অনুভূতিই হয়নি। কখন যে খাবার খেয়ে ফেলতেন, সেটা তিনি বিন্দুমাত্র টেরই পেতেন না।
সত্যি অরুণবাবুর রামলালার মূর্তি তৈরীর কাহিনী শুনে গায়ে কাঁটা ফোঁটার মতন অনুভূতি হল। রামলালার মূর্তি তৈরির এই অলৌকিক কাহিনী শুনে আপনাদের কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না যেন !
Leave a Reply