বিশ্বের এই ১টি গ্রামে, ঘুম থেকে ওঠার পরেই স্ত্রীর প্রতি স্বামীদের তীব্র আকর্ষণ বেড়ে যায়! বউকে সকাল থেকে জাপটে ধরে রাখেন স্বামীরা!

বিশ্বের এই ১টি গ্রামে, ঘুম থেকে ওঠার পরেই স্ত্রীর প্রতি স্বামীদের তীব্র আকর্ষণ বেড়ে যায়! বউকে সকাল থেকে জাপটে ধরে রাখেন স্বামীরা!

বিশ্বের এই ১টি গ্রামে, ঘুম থেকে
ওঠার পরেই স্ত্রীর প্রতি স্বামীদের
তীব্র আকর্ষণ বেড়ে যায়!

বউকে সকাল থেকে
জাপটে ধরে রাখেন স্বামীরা!

স্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টা কোলে নিয়েই
ঘুরে বেড়ান এই গ্রামের পুরুষেরা!

ভোরের আলো ফুটতেই, স্ত্রীর প্রতি
আদর বেড়ে যায় এই গ্রামের স্বামীদের!

কেন এমন করেন
এই গ্রামের স্বামীরা?

বিশ্বের কোন গ্রামে ঘটে
এমন আজব কান্ড?

গোটা বিশ্বজুড়ে যত আজব আজব গ্রাম আছে,,,, সেই সমস্ত গ্রামকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই ১টি গ্রাম। এই গ্রামে সকাল হলেই ঘটে অদ্ভুত সব কাণ্ড কীর্তি! যা শুনলে ও দেখলে আপনি লজ্জায় পড়ে যাবেন। এই গ্রামটিতে সকাল হলেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লালসা ও আন্তরিক শরীরী চাহিদা বেড়ে যায়। সচরাচর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যে স্বাভাবিক মিলন ঘটে, এই গ্রামে সকাল বেলাতে,,, তার থেকেও বেশি মিলন আকাঙ্ক্ষা দেখা যায়। বিশেষ করে ভোর বেলার দিকে এই গ্রামের স্বামী স্ত্রীর চোখ খোলার পরপরই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তথ্যসূত্রের খবর এই গ্রামের অনেক মহিলাই এই কারণে ঘন ঘন মা হতে থাকেন। অর্থাৎ কম সময়ের মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু এই গ্রামে এমন অস্বাভাবিক কর্মকান্ড এমনি এমনি ঘটে না। এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু অবাক করা কারণ। যা শুনলে হয়ত আপনার বিশ্বাসই হবে না। চলুন তবে ঘটনাটি খুলে বলে যাক –

এমন আজব কান্ডটি ঘটত কাজাখস্তানের কালাচি নামক একটি গ্রামে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৩ সালে গোড়ার দিকে,,, প্রথমবার এই গ্রামের এমন আজব সমস্যাটি ধরা পড়ে। প্রথমদিকে এমন কান্ড ঘটার কারণ বোঝা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে গ্রামটির জল, মাটি ও বায়ু পরীক্ষা করা হয়। এরপর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জানা যায় এই গ্রামের অদ্ভুত রকমের এই ঘুমের পেছনে দায়ী খনি থেকে বেরিয়ে আসা একপ্রকার বিষাক্ত রেডিয়েশন। আসলে কালাচি নামক এই গ্রামটির পাশেই একটি বহু পুরনো খনি রয়েছে । সেই খনিতেই একসময় অনেক শ্রমিকেরা কাজ করতেন। খনিটি অত্যন্ত বিষাক্ত বলে পরিচিত। তবে বর্তমানে খনিটি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও নানাভাবে ঐ খনি থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হতে থাকে। যা একসময়,, বাতাসে থাকা কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রাকে ২০০ গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল।। যার ফলে কালাচি নামক গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে মিলনের মাত্রা অদ্ভুত রকমের বেড়ে যায়। শুধুমাত্র মিলনের মাত্রা বেড়ে যায় এমনটা নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, এই কার্বনমনোক্সাইডের জেরে গ্রামটির বাসিন্দাদের মধ্যে ঘুমের মাত্রাও প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে গ্রামটির মানুষেরা কখন ঘুমিয়ে পড়ে আর কখন ওঠে,, তার কোন ঠিক থাকে না। গবেষকরা গ্রামটির এই সমস্যাটিকে স্লিপি হলো নাম দেন। এছাড়াও গ্রামটির অধিকাংশ বাসিন্দাদের মধ্যেই ক্যান্সারের লক্ষণও দেখা যায়। তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও শুরু হয়ে যায়। গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষায় এই সমস্ত বিষয়গুলো প্রমাণিত হওয়ার পর বর্তমানে গ্রামটির মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর মানুষগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। বর্তমানে গ্রামটি ফাঁকা ও শূন্য। সেখানে কোনও জনমানব নেই। চারিদিকে ধুধু ফাঁকা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *