শীতকালে যারা স্নান করেন না, এবার তাদের জন্য রইল বিশাল সুখবর! শীতকালে স্নান না করা মানুষগুলো একসঙ্গে পাবেন চার চারটি উপকার!

শীতকালে যারা স্নান করেন না, এবার তাদের জন্য রইল বিশাল সুখবর! শীতকালে স্নান না করা মানুষগুলো একসঙ্গে পাবেন চার চারটি উপকার!

শীতকালে যারা স্নান করেন না,
এবার তাদের জন্য রইল বিশাল বড় সুখবর!

শীতকালে স্নান না করা মানুষগুলো
একসঙ্গে পাবেন চার চারটি উপকার!

যা এর আগে কেউ
কল্পনাও করেনি!

এই চারটি উপকার সম্পর্কে জানার পর,
আপনিও স্নান করা বন্ধ করে দেবেন!

দেখুন, শীতকালে স্নান করার
চারটি বিশেষ উপকারিতা!

মাঘ মাসের হাড় হিম করা শীতে কাঁপছে গোটা বঙ্গবাসী। আর এই শীতে স্নানের নাম শুনলেই গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যাচ্ছে অনেকের । কেউ কেউ তো এক দুদিন স্নান না করেই কাটিয়েছে দিচ্ছেন। এতে যদিওবা বাড়ীর লোকের কাছে কম কথা শুনতে হচ্ছে না। কিন্তু যে সমস্ত লোকেরা শীতে স্নান করতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। এই খবরটি শোনার পর আর প্রতিদিন স্নান করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে না। বাড়ীর লোকেদের কাছে উঠতে বসতে খোঁটাও শুনতে হবে না । বরং স্নান না করলে গুনে গুনে চারটি উপকারিতা পাবেন। সম্প্রতি একটি গবেষণায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন রোজ স্নান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তারা এই বিষয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। শীতকালে প্রতিদিন স্নান না করলে বড়ো বড় চারটি সমস্যা দুর হয় । কি সেই সমস্যা গুলি দেখে নিন –

১) ত্বকের উজ্জ্বলতা বিনষ্ট হওয়া :

আমরা অনেকে মনে করি প্রতিদিন স্নান করলে শরীরে সমস্ত রোগ জীবাণু বেরিয়ে যায়,,,,, আবার কেউ কেউ কিছু কুসংস্কার মেনে প্রতিদিন স্নান করেন । কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , প্রতিদিন স্নান করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। কেননা তারা জানিয়েছেন , প্রতিদিন শরীরে জল লাগার ফলে ত্বকের ভেতরে সূক্ষ্ম কোষগুলি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এর ফলে ত্বকের উপরে থাকা আবরণের ওপর ক্ষতির সৃষ্টি হয়। যার ফলে ত্বক ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে। এক সময় দেখা যায় ত্বকের উপরের আবরণে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। ত্বকের ভেতরে থাকা সূক্ষ্ম কোষগুলি একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, এই কারণেই উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন স্নান না করলেও চলবে।

২) চুলকানি ও জ্বালার প্রভাব :

সকলে প্রতিদিন স্নান করার সময় সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করে থাকি কারণ এতে করে শরীরের দুর্গন্ধ চলে যায়। হ্যাঁ, এই ধারণা হয়তো ঠিক যে সাবান ব্যবহার করলে শরীরে থাকা সমস্ত ব্যাকটেরিয়া চলে যায়,,,,,, কিন্তু আবার অতিরিক্ত সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। যেহেতু শীতকাল তাই সকলের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আর স্নান করার সময় ক্ষার জাতীয় সাবান ব্যবহার করার ফলে ত্বক আরো বেশি করে শুষ্ক হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞদের মতে সাবান ব্যবহার করার ফলে ত্বকে থাকা দূষিত জীবাণুগুলো বেরিয়ে যাবার সাথে সাথে ভালো জীবাণুগুলিও বেরিয়ে যায় । এতে করে শরীরে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন চুলকানি , ত্বকের ওপর জ্বালা জ্বালা ভাব ইত্যাদি দেখা যায় । বিশেষ করে যাদের স্কিন শুষ্ক প্রকৃতির তাদের এই বিষয় খেয়াল রাখা উচিত । তাই সপ্তাহে স্নান করা থেকে এক দুদিন ডুব মারাই যায়,,,,,, এতে করে তেমন কোনো সাংঘাতিক ক্ষতি হয় না।

৩) বয়স্ক এবং বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর :

বাড়িতে বয়স্ক এবং বাচ্চারা থাকলে তাদের প্রতিদিন স্নান করানো প্রয়োজন পড়ে না। একে শীতে তাপমাত্রা অনেক কম এতে জ্বর , সর্দি – কাশি হবার ভয় এমনিই থাকে বিশেষ করে বয়স্ক ও বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে । কেননা বাচ্চা এবং বয়স্কদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম থাকে যার ফলে তাদের ঠান্ডা প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। আর তার উপরে যদি প্রতিদিন এরা স্নান করে তাতে শরীরে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। বরং প্রতিদিন স্নান করা থেকে বিরতি নিয়ে মাঝে মধ্যে গা, হাত-পা ভালো করে মুছে নিতে পারেন। আর সপ্তাহে যেদিন যেদিন স্নান করবেন অবশ্যই দুপুরের দিকে স্নান করুন। কেননা দুপুরের সময় আদ্রতা কিছুটা উষ্ণ থাকে ফলে স্নান করলে অত ঠান্ডা অনুভব হয় না আর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না। এইভাবে পরিষ্কার থাকাও হলো এবং সাথে শরীর সুস্থ রাখাও হলো।

৪) রোগ সংক্রমণ করার ক্ষমতা লোপ পায় :

অনেকের সকাল সকাল উঠে স্নান করাটা একটি অভ্যাস। কিন্তু শীতকালে এই ঠান্ডা জলে স্নান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সকালে স্নান করার জন্য গরম জল টাই দরকার পড়ে। । কিন্তু প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে হিতে বিপরীত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে শরীরের রোগ সংক্রমণ করার ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এবং পেট গরম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিভিন্ন অসুখ তৈরি হয়। তাই প্রতিদিন গরম জলে স্নান না করে ঠান্ডা গা হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিন । নাহলে একদিন ছাড়া ছাড়াও স্নান করতে পারেন ।

আজকের এই ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *