গরম জলে স্নান

শীতেও বন্ধ নেই স্নান! জানেন শীতে ক’দিন অন্তর স্নান করা উচিত?  বরফের মতো কনকনে ঠান্ডা জল থেকে রেহাই পেতে স্নান করছেন গরম জলে? শীতের দিনেও ​গরম জলে স্নান করলে সত্যিই কি পেট গরম হয়?​ শীতকালে গরম জলে স্নান মানেই আশঙ্কা বাড়ে গ্যাস-অ্যাসিডিটির? কি বলছে ‘এক্সপার্ট ওপিনিয়ন’? এই ধারণার পিছনে সত্যি কি কোনও যুক্তি আছে ? নাকি সবটাই মিথ? ধারণা বদলে দেবে চিকিৎসকদের এই পরামর্শ।

অবশেষে বঙ্গে ফিরেছে শীত! আর তাতেই একেবারে জবুথবু শীত কাতুরে বঙ্গবাসী। তাই কনকনে ঠান্ডা থেকে ক্ষনিকের নিস্তার পেতে অনেকেই আপাতত কদিনের জন্য ছুটি দিয়েছেন  স্নান করার অভ্যাসকে। এক্ষেত্রে অনেকেরই  যুক্তি পশ্চিমের দেশের মানুষরাও তো   প্রতিদিন স্নান করেন না, তাই আমাদের দেশেও  শীতের সময় স্নান না করলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এই ধারণাসঠিক নয়! কারণ পশ্চিমের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে আমাদের দেশের আবহাওয়ার আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

তাছাড়া  ওখানকার তুলনায় আমাদের দেশে রোগজীবাণুর প্রকোপও বেশি। তাই রোজ স্নান না করলে ত্বকের উপর থাকা জীবাণু থেকেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে জটিল অসুখ। তাই  যতই ঠান্ডা পড়ুক না কেন, সুস্থ থাকতে গেলে ভারতীদের কিন্তু  স্নান বন্ধ দেওয়া চলবে না। তাই বরফের মতো ঠান্ডা জলে স্নান করার হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই গরম জল মিশিয়ে স্নান করছেন। যা নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ফেসবুক-টুইটার বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি , শীতের দিনে গরম জলে স্নান করলে নাকি পেট গরম হয়, বাড়ে গ্যাস-অ্যাসিডিটির আশঙ্কা। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য?

​গরম জলে স্নান করলে সত্যিই কি পেট গরম হয়?​

এই ধারণার পিছনে কোনও বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি নেই। চিকিৎসকের কথায়, শীতে গরম জলে স্নান করলে তবেই  শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে। তাই শীতে হাইপোথার্মিয়ার বিপদ এড়াতে কিংবা ব্যথা, যন্ত্রণার প্রকোপ এড়ানোর জন্য নিশ্চিন্তে গরম জলে স্নান করা যেতে পারে। তবে তার জন্য গ্যাস-অ্যাসিডিটি বা অন্য কোনও পেটের সমস্যা হয় না। বরং শীতকালে গরম জলে স্নান করলে উপকারই হয়।

ঠান্ডা জলে স্নান নয়​ কেন?

শুধুমাত্র ভুল ধারণা কারণেই  অনেকে এই কনকনে শীতেও পুরোপুরি ঠান্ডা জলে স্নান করছেন। এই সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করলে অল্পেতেই হুট করে সর্দি-কাশি লেগে যেতে পারে। তাই যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে বিশেষ করে, অ্যাজমা রোগীদের এবং ষাটোর্ধ্বদের এই আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ঠান্ডা জলে স্নান করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

​সারা বছর গরম জলে স্নান করা যায়?

যাদের আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে তারা প্রায় সারা বছরই যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। তাই এই সময় ঠান্ডা জলে স্নান করলে ব্যথা আরও বাড়ে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে তারা চাইলে সারা বছরই হালকা ঠান্ডা-গরম জলে স্নান করতে পারেন। সুস্থ থাকতে অ্যাজমা রোগীরাও এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন।

​সাবান মেখে স্নান ​

একটু অসচেতন হলেই ত্বকের উপরে থাকা কোটি কোটি জীবাণু একাধিক রোগের ফাঁদে ফেলতে পারে। তাই হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেও সুস্থ-সবল থাকতে প্রতিদিনই নিয়ম করে সাবান মেখে স্নান করুন। তাতেই নিজের ত্বককে জীবাণু মুক্ত রেখে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন কাটানো সম্ভব।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *