মানিব্যাগ রাখুন এই ১টি জিনিস! সাথে সাথে থেমে যাবে দাম্পত্য কলহ, রাতারাতি হয়ে যাবেন বড়লোক!

মানিব্যাগ রাখুন এই ১টি জিনিস! সাথে সাথে থেমে যাবে
দাম্পত্য কলহ, রাতারাতি হয়ে যাবেন বড়লোক!

মানিব্যাগ রাখুন
এই ১টি জিনিস!

সাথে সাথে থেমে যাবে
দাম্পত্য কলহ!

দূরে পালাবে
স্বামী – স্ত্রীর মনোমালিন্য!

আপনার বড়লোক হওয়া
আর কেউ আটকাতেই পারবে না!

অভাব, দারিদ্র্য আপনাকে
ছুঁতেও পারবে না!

আমাদের জীবনে সমস্যার শেষ নেই । সমস্যা পর সমস্যা লেগেই থাকে ,,,,হাজারও চেষ্টা করেও সমস্যা যেনো পিছু ছাড়তে চায় না । কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এর জন্য দুর্দান্ত একটি টোটকা রয়েছে । হাজার হাজার টাকা খরচা করে আর তাবিজ পড়তে হবে না । এটি এমনই একটি টোটকা যা পালন করতে পারলে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া থেমে যাবে, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকাও ঢুকে যাবে । এই টোটকাটি খুবই সহজলভ্য টোটকা । এই টোটকাটি কি জানেন সামান্য একটি জবা ফুল । জ্যোতিষ শাস্ত্র বলা হচ্ছে , মানিব্যাগে একটি মাত্র জবা ফুল রাখলে আপনার সমস্ত সমস্যা দুর হয়ে যাবে। সাংসারিক ঝামেলা থেকে শুরু করে আর্থিক দুরাবস্থা সব বাপ বাপ করে পালাবে। একনজরে দেখুন মানি ব্যাগে জবা ফুল রাখলে আপনার জীবনে কোন পাঁচটি বড়ো পরিবর্তন ঘটবে ——

১) আর্থিক সঙ্কটমোচন : অনেক দিন ধরে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন,,,,,,কোনো ভাবেই আয় উন্নতির ব্যবস্থা করতে পারছেন না,,,,,,,সংসারে শুধুই অভাব । এইসব থেকে এবার মুক্তি পাবেন । রোজ নিয়ম করে মঙ্গলবার বজরংবালীকে এবং শুক্রবার করে মা লক্ষ্মীর কাছে একটি করে লাল জবা ফুল নিবেদন করুন। হিন্দুশাস্ত্র মতে ,লাল রং হলো পবিত্রতার প্রতীক তাই লাল রঙে ভগবান তুষ্ট হন,,,,,,, এমনকি বজরংবালীর পছন্দের ফুল জবা,,,, তাই বজরংবালীকে জবা ফুল নিবেদন করলে তিনি খুশি হন এবং শুধু তাই নয় মা লক্ষ্মীর প্রিয় ফুলও জবা ,,, তাই মা লক্ষ্মীকে জবাফুল অর্পণ করলে মা লক্ষ্মীও তুষ্ট হন।। এমনকি যদি কারোর কোনো মূল্যবান জিনিস বা টাকা পয়সা বার বার চুরি হয় তাদের জন্য মা লক্ষ্মীকে শুক্রবার করে জবা ফুল নিবেদন করা আবশ্যক । আর সেই জবা ফুল নিয়ে মানিব্যাগে রাখলে কয়েকদিনেই দেখতে পাবেন তার ফলাফল। মা লক্ষ্মীর কৃপায় আপনি এই সব সমস্যা থেকে বেঁচে যাবেন ,,,,, এবং আপনার ঘর আলো করে মা লক্ষী বিরাজ করবেন,,,, এবং বজরংবালির আশীর্বাদে আপনার সব বাধা বিপত্তি দূর হবে।

২) রোগমুক্ত জীবন –
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য দরকার শরীরে বিপুল পরিমাণ শক্তির। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে , সূর্যকে শক্তি প্রদানকারী দেবতা মনে করা হয় । তাই সূর্য পূজোর সময় জবা ফুল অর্জন করতে ভুলবেন না । যেহুতু সূর্যকে তেজের প্রতীক মনে করা হয় তাই সূর্যর মত শক্তিশালী হওয়ার জন্য সূর্য দেবতাকে তুষ্ট করা প্রয়োজন,,,,,,, এমনকি নিজেকে যেকোনো রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সূর্য দেবতাকে প্রসন্ন করা দরকার । তাই প্রতিদিন সকালবেলা সূর্য দেব প্রনাম করার সময় এক ঘটি জল নিয়ে তাতে একটি লাল জবা ফুল দিয়ে সূর্য দেবের কাছে নিবেদন করুন। দেখবেন এর ফলে আপনি ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করতে পারছেন ।

৩) সূর্যদেবের অভিশাপ থেকে মুক্তি –

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, যে বাড়িতে সূর্য দোষ থাকে তার প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের পড়াশোনার ওপর । হাজার চেষ্টা করেও বাচ্চারা পড়ায় মন বসাতে পারে না , পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারে না। তাই সূর্য দোষ কাটানোর জন্য বাড়ীর পূর্ব দিকে একটি লাল জবা ফুলের গাছ লাগান এতে করে সূর্য দোষ কেটে যায় । এমনকি বাচ্চাদের পড়াশোনায় একাগ্রতা আনার জন্য প্রতিদিন স্টাডি টেবিলের পাশে একটি করে জবা ফুল রেখে দেওয়া উচিত। এতে করে বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে এবং পরিক্ষায় ভালো ফল আসবে।

৪) দাম্পত্য জীবনের সমস্যা নিরসন –

দাম্পত্য জীবনের ঝগড়া এটা নিত্য বিষয়। কিন্তু তার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরতে শুরু করে । বাড়ীতে অশুভ শক্তির প্রবেশ হলেই পরিবারে ঝামেলা বাড়ে। বাস্তু শাস্ত্র মতে, এই অশুভ শক্তি বিদায় করার জন্য বাড়িতে অব্যশই একটি লাল জবা ফুলের গাছ লাগানো উচিত। কেনোনা লাল জবা ফুল হলো শুভর প্রতীক ,,, তাই এই ফুলগাছ বাড়িতে যেকোনো অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায় এবং বাড়িতে পসেটিভ এনার্জি তৈরী করে।

৫) মাঙ্গলিক দোষ দূরীকরণ –

বাড়িতে বিবাহ যোগ্য ছেলে মেয়ে আছে ,, কিন্তু কোনো ভাবেই বিয়ে দিতে পারছেন না ,, কেনোনা তাদের কুষ্টিযোগে মাঙ্গলিক দশা আছে । হিন্দু শাস্ত্র মতে যে সমস্ত ছেলেমেয়েদের মাঙ্গলিক দোষ থাকে তাদের মাঙ্গলিক দোষ কাটানো না অব্দি বিয়ে হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না আর যদি ভুল করেও কোন কারনে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে সেই দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না এবং তার সঙ্গীর সাথে সব সময় বিবাদ দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। তাই মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর জন্য প্রতিদিন সকালে যদি একটি করে জবা ফুল মা কালির কাছে অর্পন করা যায় তাহলে কয়েক মাসেই সেই দশা কাটানো সম্ভব হয়। যেহেতু মঙ্গলকে লাল গ্রহ বলা হয় তাই মঙ্গলকে তুষ্ট করার জন্য লাল জবা নিবেদন করুন । এর ফলে মঙ্গল শান্ত হবে এবং আপনার সমস্যাও দূর হবে।

এরকম আরো নানা বিষয়ে তথ্য জানতে চোখ রাখুন বাংলা হান্টের ভিডিও পেজে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *