আজ থেকেই বন্ধ করুন আঙ্গুল ফাটানো! নাহলেই সর্বনাশ, আঙ্গুল ফাটানোর সময় এই ৫ ভুল প্রাণ পর্যন্ত কাড়তে পারে!ভুলগুলো কি কি? দেখুন

আজ থেকেই বন্ধ করুন আঙ্গুল ফাটানো! নাহলেই সর্বনাশ, আঙ্গুল ফাটানোর সময় এই ৫ ভুল প্রাণ পর্যন্ত কাড়তে পারে!ভুলগুলো কি কি? দেখুন

আজ থেকেই বন্ধ করুন
মট মট করে আঙ্গুল ফাটানো!

নাহলেই সর্বনাশ!

আঙ্গুল ফাটানোর সময়
এই ৫ ভুল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে!

এমনকি মারাত্মক দুর্ঘটনা
ঢেকে আনতে পারে!

আর কি কি হতে পারে, জানলে,
জীবনেও আর আঙ্গুল ফাটাবেন না!

আঙ্গুল ফাটানোর আগে
১০ বার চিন্তা করবেন!

দেখুন বিস্তারিত

অনেকেই অবসর সময় পটাশ পটাশ করে আঙ্গুল ফাটান। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এই অভ্যাস দেখা যায় । কেউ ক্লান্তি দুর করার জন্য আঙ্গুল ফাটান, আবার কেউ মজা করে আঙ্গুল ফাটান । কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই আঙ্গুল ফাটানো ক্ষতিকর না হলেও , ভুল ভাবে আঙ্গুল ফাটালে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে । অনেকেই আঙ্গুল ফাটাতে গিয়ে না জেনেই এই পাঁচটি ভুল করে থাকেন । এইভুল গুলি করলেই ঘটে সর্বনাশ । তখন মজার ছলে আঙ্গুল ফাটানোর বদলে অনেক বড়ো মাশুল গুনতে হবে। এই পাঁচটি ভুল কিকি —

১) জোর দিয়ে আঙ্গুল ফাটানো :

অনেকেই হাতের আঙুলে অত্যাধিক জোর দিয়ে আঙ্গুল ফাটান । কিন্তু এইটাই সবথেকে বড়ো ভুল । বিশেষজ্ঞদের মতে, জোর করে আঙ্গুল ফাটালে রগে মচকা খেতে পারেন। এবং আপনারা যদি অত্যাধিক চাপ দিয়ে আঙ্গুল ফাটান উল্টে আঙ্গুল না ফেটে আঙ্গুল ব্যাথা হতে শুরু করে যার প্রভাব গিয়ে পড়ে হাতে থাকা নার্ভগুলিতে । চিকিৎসকদের মতে , আঙ্গুলে বেশি চাপ দিতে দিতে একসময় আঙুলে থাকা হাড়ের লিগামেন্ট পর্যন্ত সরে যেতে পারে । তাই এই বিষয়ে অব্যশই সতর্ক হোন ।

২) বাচ্চাদের আঙ্গুল মটকানো :
বড়োরা বাচ্চাদের হাসি মজায় রাখার জন্য নানা রকমের কায়দা করে থাকেন , তার মধ্যে আঙ্গুল ফাটানো একটি অন্যতম কায়দা। আঙুল ফাটালে জোরালো একটি আওয়াজ সৃষ্টি হয় সেজন্য বাচ্চারা এটিকে ম্যাজিক মনে করে বসে । এই ম্যাজিক দেখানোর চক্করে বাচ্চাদের হাতের আঙ্গুল ফাটিয়ে দেন। আর নিজের অজান্তেই নিজের বাচ্চার বিপদ ডেকে আনেন । কারণ বাচ্চাদের হাড় এমনিতেই খুব নরম থাকে যার ফলে তাদের আঙুলে জোরে চাপ পড়লে হাড় মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আর তাছাড়া আমাদের আঙ্গুলের নানা ধরনের নার্ভ থাকে যার দ্বারা রক্ত চলাচল করে , আর এই নার্ভের সঙ্গে শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের যোগসূত্র রয়েছে । আর বাচ্চাদের যেকোনো অঙ্গ তখন সেন্সিটিভ থাকে , ফলে হাতের সাথে যেকোনো অঙ্গে আঘাত লাগতে পারে । তাই বাচ্চাদের সাথে এই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন ।

৩) আঙুলে সাংঘাতিক ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা:

অনেক সময় বড়রা আঙ্গুল মটকাতে গিয়ে বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। আঙ্গুলের সাথে যেহেতু হাড়ের যোগ রয়েছে, তাই অনেকসময় হাড়ে চিড় ধরে যায় । চিকিৎসকদের মতে দীর্ঘদিন ধরে বেকায়দায় আঙ্গুল মটকালে আঙ্গুলের চিড় ধরার সম্ভাবনা বেশি । আমরা অনেক সময় আঙ্গুলকে দিনে চার – পাঁচ বার করে ফাটাতে থাকি ,শুধু তাই নয় এক বার ফাটানোর পর সঙ্গে সঙ্গে আবার একই কাজ করতে থাকি। ক্রমাগত হাড়ে চাপ তৈরীর ফলে হাড় সরতে থাকে এর ফলে হাড়ে ফ্র্যাকচার তৈরী হয়। তাই আঙ্গুল মটকানোর সময় একটু বুঝে শুনে আঙুল মটকান।

৪) বয়স্কদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন :

আঙ্গুল ফাটানোর কোন নির্ধারিত বয়স সীমা নেই। বাচ্চা বুড়ো সকলেই এই আঙ্গুল ফাটানোকে যেনো খেলার বিষয় ভেবে নিয়েছে । কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিরা আঙুল ফাটানো থেকে বিরত থাকুন । বিশেষ করে যে সমস্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে বা বাতের সমস্যা রয়েছে তারাই। অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স যত বাড়ে ততো হাড়ের সহ্যশক্তিও কমতে থাকে। ফলে হাড়ে কোনো চাপ তারা নিতে পারে না , আর অল্পকিছুতেই তাদের হাতে যন্ত্রনা, পায়ে যন্ত্রনা , হাঁটু ব্যথা ইত্যাদি শুরু হয় । তাই আঙ্গুল ফাটানোর সময় ভাবনা চিন্তা করেই আঙ্গুল ফাটানো উচিত ।

৫ ) দুর্বল হাড়ের জন্য বিপদজনক:

দুর্বল হাড়ের ব্যক্তিরা আঙ্গুল ফাটানো এড়িয়ে চলুন। যে সমস্ত ব্যক্তিদের হার দুর্বল তাদের জন্য হাড় ফাটানো ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে । কেননা হাড় তখনই দুর্বল হয় যখন শরীরে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায় । শরীরে এই সমস্ত উপাদানের ঘাটতি হাড়ে ক্ষয় ধরাতে শুরু করে । তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাদের হাড় দুর্বল প্রকৃতির হয় তাদের শরীরে একটু আঘাত করলেই ব্যাথা শুরু হয়ে যায় , তাই যখন তখন আঙুল ফাটানোর সময় যেকোনো বিপদ ঘটে যেতে পারে ।

আজকে থেকে আঙ্গুল ফাটানোর সময় এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রেখে আঙ্গুল ফাটান । শুধু তাই নয় ক্লান্তি দূর করার জন্য অনেক সময় আমরা পিঠ এবং ঘাড় ম্যাসাজ করতে থাকি, আর সেই সময় ঘাড়ে এবং পিঠে মটমট করে আওয়াজ সৃষ্টি হয়, যা সব সময় ভালো লক্ষণ ঠেকে না। তাই যখনই ম্যাসাজ করবেন এই বিষয়গুলিতে একটু সতর্ক থাকুন নাহলে যখন তখন যেকোনো বিপদ ঘটে যেতে পারে। আমাদের আজকের এই ভিডিওটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *