জানেন বিশ্বের প্রাচীনতম কুকুরের জাত কোনটি? ৯৯ % মানুষই জানেন না কোন রঙ দেখে রেগে যায় কুকুর? কোন কুকুরের জিভ কালো হয় জানেন? অবাক করবে উত্তর! কুকুরের নাক তাদের আঙ্গুলের ছাপ হিসাবে কাজ করে! আগে জানতেন এই তথ্য? কুকুর সম্পর্কে রয়েছে এমনই বহু অজানা তথ্য যা শুনে হাঁ হয়ে যাবেন বড় বড় পোষ্যপ্রেমীরাও!
বেশিরভাগ পশুপ্রেমীদেরই প্রিয় পোষ্য কুকুর। প্রভু ভক্ত প্রাণী হিসাবে বেশ ভালোই নাম ডাক রয়েছে এই চার পেয়ে পোষ্যর। এদের মতো নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে পারে না কেউই। তাই সব পশু প্রেমিদেরই নয়নের মণি এই চারপেয়ে প্রাণী। তবে কুকুর বিভিন্ন প্রজাতির হলেও, এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে কিছু কমন অভ্যাস। তাই শিশুর মতোই এরা নিজের মালিকের সাথে খেলতে থাকে। আবার পছন্দের মানুষ কাছে না থাকলেও মন খারাপ করে বসে থাকে। কিন্তু কুকুরদেরও এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা অবাক করবে পশুপ্রেমীদেরও।
১) কুকুরের নাক তাদের আঙ্গুলের ছাপ হিসাবে কাজ করে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। একে স্নুট বলা হয়।আসলে প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপের মতোই কুকুরেরও নাকের ছাপ আলাদা। কুকুরের বয়স এবং জাত অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় এই ছাপ। ডগ শোতেও কুকুরের সামগ্রিক উচ্চতা এবং স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দেখা হয় তাদের নাক।
২) ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় জাতের একটি কুকুর হল ডালমেশিয়ান। এই ডালমেশিয়ানদের মধ্যে ৩০% এক কানে কালা? এদের শরীরে একটি বিশেষ ধরনের জিন থাকে। এই কারণে এদের চামড়া সাদা এবং চোখ কালো বা নীল হয়। এদের গায়ে ছোট কালো দাগ থাকে। তবে গায়ে কালো দাগ বেশি থাকলে তাদের বধির হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৩) গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, সালুকি জাতের কুকুরই হল বিশ্বের প্রাচীনতম কুকুর। ইতিহাস বলছে প্রাচীন মিশরীয় রাজারাই প্রথম ৩২৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই জাতের কুকুরকে তাদের পোষ্য হিসাবে রেখেছিলেন। দক্ষিণ ইরাকে থাকা ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের যে পেইন্টিংগুলি পাওয়া গিয়েছে সেখানেও সালুকির মতো একটি কুকুর দেখা গিয়েছে।
৪) কুকুরের মালিকরাও হয়তো জানেন না, কুকুরের তিনটি চোখের পাতা রয়েছে। কুকুরের এই চোখের পাপড়িকে বলা হয় হাও। চোখের এই কারণেই এদের চোখের পাতা ভিজে থাকে।
৫) আফ্রিকান হান্টারকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শিকারী কুকুর বলা হয়। দ্রুত গতি সম্পন্ন এই কুকুররা শিকারে যাওয়া মানে ৭০% ক্ষেত্রেই এরা সফল হবে। একইসাথে এরা খুবই অনুগত হয়। তবে এদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ না করলে এরা যদি রেগে যায় তাহলে এরা মানুষও শিকার করতে পারে।
৬) সাধারণত রঙ পোষা প্রাণীদের আচরণকে প্রভাবিত করে। কুকুররা আমাদের চেয়ে চোখে কম দেখে তাই এরা সব রং দেখতে পায় না। তবে কালো রং দেখলেই কিন্তু কুকুর রেগে যায়। তবে আমাদের চোখে লাল, কমলা এবং হলুদের মতো উষ্ণ রঙগুলিকে উত্তেজক বলে মনে হলেও , নীল, সবুজ এবং বেগুনির মতো রঙ গুলি অপেক্ষাকৃত শান্ত হয়।
৭)চৌ চৌ এবং শার-পিস জাতের কুকুরের জিভ কালো রঙের হয়। যদিও এর কারণ সম্পর্কে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায় না।
৮) আমরা সকলেই জানি পশুদের মধ্যে চিতাই সবচেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন প্রাণী। কিন্তু একটি চিতা এবং একটি গ্রেহাউন্ডের মধ্যে দৌড়ানোর প্রতিযোগিতা হলে দেখা যাবে গ্রেহাউন্ড খুব সহজেই চিতাকে হারিয়ে দেবে। চিতা সর্বাধিক ৪০০ মিটার পর্যন্ত তার গতি বজায় রাখতে পারে। কিন্তু গ্রেহাউন্ড লম্বা দৌড়ে ছাড়িয়ে যায় চিতাকেও।
Leave a Reply