বিশ্বের এই ১টি গ্রামে পুরুষ অতিথিদের সঙ্গে সাথে রাত কাটান, বাড়ির স্ত্রীরা! স্বামীর বদলে অতিথিদের দান করেন স্বর্গসুখ!

বিশ্বের এই ১টি গ্রামে পুরুষ অতিথিদের সঙ্গে সাথে রাত কাটান, বাড়ির স্ত্রীরা! স্বামীর বদলে অতিথিদের দান করেন স্বর্গসুখ!

বিশ্বের এই ১টি গ্রামে পুরুষ অতিথিদের সঙ্গে
সাথে রাত কাটান, বাড়ির স্ত্রীরা!

স্বামীর বদলে অতিথিদের
দান করেন স্বর্গসুখ!

স্বামীদের বার করে দিয়ে অতিথিদের
নিয়ে মত্ত থাকেন এই গ্রামের স্ত্রীরা!

কেন এমন করেন
এই গ্রামের মহিলারা?

তাদের স্বামীরা কি
সুখ দিতে পারেন না?

বিশ্বের কোন গ্রামেই বা ঘটে
এমন অদ্ভুত কাণ্ড?

অতিথি দেব ভব – অর্থাৎ অতিথি হল দেবতুল্য। বাড়িতে অতিথি এলে নিজে না খেয়ে তাকে আগে দিতে হয়। কিন্তু তাই বলে কি অতিথির সঙ্গে নিজের বউকেও ভাগ করে নিতে হয়! এমনটা শুনেছেন কখনো? কখনো কল্পনা করেছেন? না করলে এবার করুন! বিশ্বের এই ১টি গ্রামে এমন প্রথা চালু রয়েছে। যেখানে বাড়িতে অতিথি এলেই, স্ত্রীকে অতিথিদের বিলিয়ে দেন স্বামীরা। অতিথিদের সেবা শুশ্রুষা করার জন্য, স্ত্রীকে অতিথিদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর স্বামীরা নিজের হাতে অতিথিদের ঘরে স্ত্রীকে ঢুকিয়ে দিয়ে,,, বাইরে থেকে দরজায় খিল মেরে দেন। এটাই তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী নিয়ম। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি শুনে কেমন একটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে তাই না। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সম্পূর্ন বাস্তব। এই ধ্যান ধারণা যুগের পর যুগ বহন করে আসছে নামিবিয়া নামক দেশের হিম্বা জনজাতিরা। এদের সমাজে এটাই নিয়ম। এই জনজাতির পুরুষেরা নিজের স্ত্রীকে পুরুষ অতিথিদের সাথে ভাগ করে নেন। তাদের প্রাচীন রীতি অনুযায়ী এটাই এই সমাজের পুরুষ মানুষের কর্তব্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা এই রীতি অনুসরণ করে আসছেন।

তাদের রীতি অনুযায়ী, এই জনজাতির কারো বাড়িতে যদি অতিথি আসে, তাহলে সেই বাড়ির গৃহকর্তা তার নিজের স্ত্রীকে সেই অতীতকে সন্তুষ্ট করার জন্য ব্যবহার করেন। স্ত্রীকে অতিথির ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজায় লক করে দিয়ে,,, স্বামীরা বাইরে রাত কাটান, কিংবা বাড়ির অন্য ঘরে ঘুমোতে যান। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্ত্রী স্বামীর মুখের উপর কোন কথা বলতে পারেন না। অতিথি গৃকর্ত্রী অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট স্ত্রীর সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্ত্রীটি বাধা দিতে পারেন না। এই জনজাতির বিশ্বাস অতিথীকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের আশীর্বাদ করবেন। আর এই আশীর্বাদের ফলে তারা আরো উন্নত জীবন যাপনের কৃপা লাভ করবেন। দেখা যায় অনেক সময় অতিথিকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে এই গ্রামের অধিকাংশ মহিলারা গর্ভবতি হয়ে পড়েন। অবশ্য এই গোটা বিষয়টি তাদের কাছে অস্বাভাবিক নয়। তারা বেশ সাবলীল এবং স্বাভাবিকভাবেই সেই সন্তানকে লালন পালন করেন। সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও তাদের মধ্যে কোনও অস্বস্তি কাজ করে না। এ জনজাতির মধ্যে আরও অনেক বৈচিত্র এবং অস্বাভাবিক কিছু রীতি রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। যেমন এই জনজাতিরা কখনোই স্নান করতে পারেন না। স্নান করাটা তাদের কাছে পাপের সমান। এই জনজাতির মধ্যে মেয়েদের বিবাহ চূড়ান্ত করেন তাদের বাবারা। এদের সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা বলে কিছুই নেই। সত্যি ভারি অদ্ভুত এই পৃথিবী। জনজাতিভেদে,,, নানা রকম নানা বৈচিত্র পূর্ন নিয়ম কানুন প্রচলিত রয়েছে। যা যত শুনবেন ততই অবাক হবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *