ডিজিস-এক্স

করোনার পর চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক মারণ ভাইরাস! করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর এই রোগে মারা যাবে ২০ গুণ বেশি মানুষ। করোনা আতঙ্ক কাটলেও নতুন করে ভয় দেখাচ্ছে ডিজিস-এক্স!  নতুন মহামারীর আশংকায় কি বলছেন WHO বিশেষজ্ঞরা?

আজ থেকে বছর চারেক আগে গোটা পৃথিবীতে নেমে এসেছিল করোনা মহামারীর মতো এক ভয়ানকবিভীষিকা। করোনাকালে এই কোভিড ১৯ ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে সেসময় কার্যত গৃহবন্দি হয়েছিল গোটা দুনিয়া। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পৃথিবীর বহু জায়গায় কার্যত মৃত্যু মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সংক্রমণ ছাড়ানোর আশঙ্কায় মৃতদেহ পোড়ানোর মতো লোকও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সে সময় শুধু  কোভিড ভ্যাকসিন আসার  অপেক্ষায় দিন গুণছিলেন বিশ্ববাসী। অবশেষে চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের আবিষ্কার হয় করোনা  ভ্যাকসিন। যা করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিয়েছিল পৃথিবীবাসীকে। তবে করোনার গ্রাস থেকে বাঁচা গেলেও এবার এক নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এবার এই আসন্ন মহামারীর নাম হতে পারে ডিজিস-এক্স।

কি এই ডিজিজ ‘এক্স’?

হু-র তথ্য অনুসারে, এটি একটি আন্তর্জাতিক মহামারী, যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কিংবা  ছত্রাকের মতো অজানা কোনো প্য়াথোজেন থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই প্যাথোজেন কোটি কোটি মানুষ সংক্রামিত হতে পারে। এই প্যাথোজেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য আরও গবেষণা করা প্রয়োজন  বলে  জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে হু বিশেষজ্ঞদের দাবি দ্রুত এই প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি না নিলে করোনার  থেকেও বড় কোনও মহামারীর সাক্ষী হতে পারে গোটা দুনিয়া।

এর আগে ২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবচেয়ে উদ্বেগজনক রোগের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষস্থানে ছিল এই ডিজিজ এক্স। তারপরেই ছিল  ইবোলা ভাইরাস, মার্স, সার্স, নিপা, জিকার মতো অতি সংক্রামক রোগ। এই সব রোগে মৃত্যুহার অনেক বেশি। এক দশক আগে  ২০১৪ সালে  ইবোলা ভাইরাস বাড়বাড়ন্তের সময় থেকেই এই ডিজিজ এক্স নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল।

সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব ইকোনমিক ফোরাম (WEF)-এর বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের আলোচনায় উঠে এসেছে এই  ডিজিস এক্স-এর প্রসঙ্গ। এই ভয়াবহ রোগ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর থেকে ২০ গুণ বেশি প্রাণ কাড়তে পারে ডিজিস এক্স। তাই  আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন হু-র প্রধান ডা. টেড্রস আধনোম ঘেব্রিয়েসাস।

কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

সুইৎজারল্যান্ডে WEF-এর বৈঠকে।ডিজিস এক্স কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, কিংবা নতুন করে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কী কী উন্নতি করা প্রয়োজন সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া কীভাবে রোগ নির্ণয় করা যায়, কোন ওষুধে রোগ প্রতিরোধ সম্ভব, এমনকি নতুন কী ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, সে বিষয়েও প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য গবেষকদের বার্তা দেওয়া হবে। তাই করোনার পর আরও এক ভয়াবহ মহামারী ঠেকাতে কোমর কষছেন  হু প্রধান থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *