জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হচ্ছে রাম মন্দির! এই দিনটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও জাগ্রত! দেখুন জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ২২ জানুয়ারীর অজানা মাহাত্ম্য
জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে ২২ জানুয়ারি
উদ্বোধন হচ্ছে রাম মন্দির!
এই দিনটি অত্যন্ত
শক্তিশালী ও জাগ্রত!
এই দিনটির সাথে বিশেষ
দেব দেবীর যোগসূত্র রয়েছে!
এই দিনটি আরো অনেক কারণে,
অলৌকিক ও তাৎপর্যপূর্ন!
দেখুন জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে,
২২ জানুয়ারীর অজানা মাহাত্ম্য
অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে চর্চা চলছে। রাম মন্দিরের নকশা থেকে রামলালার মূর্তি,, সবই এখন আলোচনার বিষয় বস্তু। কিন্তু এরই মাঝে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হচ্ছে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ নিয়ে। অধিকাংশ মানুষের মনে কৌতুহল,,,, এতগুলো দিন থাকতে জানুয়ারীর ২২ তারিখটাই কেন,, রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হলো? আবার কেউ কেউ বলছেন রামনবমীর মতন পবিত্র দিনেও তো রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা যেত! কিন্তু সেসব ছেড়ে জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখেই কেন,, রামলালার মূর্তি প্রতিস্থাপন করতে চলেছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ? সমস্ত কৌতূহলের উত্তর লুকিয়ে আছে ২২ তারিখটির মধ্যে।
আসলে জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখটি এমনি এমনি বেছে নেওয়া হয়নি। এর পেছনে রয়েছে জ্যোতিষ সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শাস্ত্রমতে জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখটি অত্যন্ত পবিত্র এবং মঙ্গলময় একটি দিন। এই দিনটি যে কোনও পবিত্র কাজের জন্য অত্যন্ত শুভ ও মঙ্গলজনক। হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ভগবান শ্রী রামচন্দ্র এর জন্ম তিথি তিনটি বিশেষ যোগের সম্বনয়ে গঠিত। সেগুলো হল – অভিজিৎ মুহুরাত, মৃগা শীর্ষ নক্ষত্র, অমৃত সিদ্ধিযোগ এবং সর্বাত্তসিদ্ধি যোগ। ঘটনাচক্রে চলতি মাসের ২২ তারিখ এই চারটি যোগ সারিবদ্ধ ভাবে তৈরি হবে। যাক এক কথায় অলৌকিক। বড় বড় পন্ডিত মহারাজরা ব্যাখ্যা করেছেন, ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্মতিথি, অভিজিৎ মুহুরাত অত্যন্ত শুভ ও শক্তিশালী একটি সময়। এছাড়াও বাকি যে তিনটি যোগ রয়েছে সেগুলোও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্ম লগ্নের সঙ্গে মিল রেখে, অবিকল এই চারটি যোগ একসঙ্গে পাওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। আর তাই ৭, ৫ না ভেবে জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখটিকেই ভগবান শ্রী রামলালার মন্দির উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি দিনটি বৈদিক শাস্ত্র, পুরাণ শাস্ত্র মতেও অনেক গুরুত্বপূর্ন। যদি এই দিনটিতে, সুন্দরভাবে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে সমগ্র জীব ও জগতের কল্যাণ হবে বলে আশা করছেন বড় বড় শাস্ত্রীয় বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply