রাম মন্দিরে বাজবে ১,২০০ কেজি ওজনের, দৈত্যাকার বাহুবলী ঘণ্টা! যার আওয়াজ শোনা যাবে গোটা অযোধ্যা নগরীতে! একবার বাজালেই তাণ্ডব শুরু হয়ে যাবে

রাম মন্দিরে বাজবে ১,২০০ কেজি ওজনের, দৈত্যাকার বাহুবলী ঘণ্টা! যার আওয়াজ শোনা যাবে গোটা অযোধ্যা নগরীতে! একবার বাজালেই তাণ্ডব শুরু হয়ে যাবে

রাম মন্দিরে বাজবে ১,২০০ কেজি
ওজনের, দৈত্যাকার বাহুবলী ঘণ্টা!

যার আওয়াজ শোনা যাবে
গোটা অযোধ্যা নগরীতে!

একবার বাজালেই,
গোটা রাম নগরী কেঁপে উঠবে!

এমনকি আশেপাশের
জেলাতেও তাণ্ডব শুরু হবে!

অষ্টধাতুর তৈরি এই ঘন্টার
দাম লাখ লাখ টাকা!

কে বানিয়েছেন এমন ঘণ্টা?
কিভাবে বাজানো হবে?

কতটা জোরালো হতে চলেছে
এই ঘন্টার আওয়াজ?

জানুয়ারীর ২২ তারিখ রাম মন্দিরের উদ্বোধন, জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি! উদ্বোধনের দিন যত এগিয়ে আছে ততই রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চমক! এবার জানা গেলে রাম মন্দিরের এক বিশালাকার ঘণ্টার কথা। যার ওজন ১০ কেজি, ২০ কেজি নয়, একেবারে ১২০০ কেজি। সহজ ভাবে বললে প্রাপ্তবয়স্ক ৩০ জন মানুষের ওজন যোগ করলে এই ঘন্টাটির ওজন দাঁড়াবে। সাধারণত মন্দিরে গেলে আমরা যে ধরনের ঘণ্টা দেখতে পাই তার থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম এই ঘন্টাটি। রাম মন্দিরের এই ঘন্টাটি সাধারণ কোন ঘন্টা নয়। বিভিন্ন সাধু সন্তু ও মহারাজরা বলছেন এই ঘন্টার আওয়াজ নাকি স্বর্গে পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এই ঘন্টাটি একবার বাজালে ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ঘন্টাটির শব্দ শোনা যাবে। অর্থাৎ ঘন্টার প্রতিধ্বনি 45 মিনিট পর্যন্ত বজায় থাকবে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে , গোটা রাম মন্দির চত্ত্বর জুড়ে মোট ১০৮ টি ঘণ্টা লাগানো হবে আর এই ঘণ্টা গুলি আসবে তামিলনাড়ু থেকে । আরতির সময় একসাথে বেজে উঠবে এই ঘণ্টা গুলি । জানা গেছে , ৫ টি ৭০ কেজি ওজনের ঘণ্টা, ৬ টি ৬০ কেজির ঘণ্টা, এবং একটি ২৫ কেজি ওজনের ঘন্টা লাগানো হবে মন্দিরে, এছাড়াও থাকবে আরো অনেক ছোটো বড়ো ঘণ্টা। এই সবকটি ঘন্টার ওজন হয়ে দাড়িয়েছে ১২০০ কেজি , যা ভাবনার বাইরে। প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতির সময় এই ১০৮ টি ঘণ্টা একসাথে ঝঙ্কার দিয়ে বেজে উঠবে , আর গোটা মন্দির চত্ত্বর কেঁপে উঠবে এই ঘন্টার আওয়াজে । এমনকি রাম মন্দির ছাড়িয়ে এই ঝঙ্কার শোনা যাবে দুর দূরান্তের জেলা গুলিতে । হাত দিয়ে টেনে এই ঘণ্টা গুলো বাজানো হবে। তবে একা একজন এই ঘণ্টা বাজাতে পারবেন না। একসঙ্গে ৫ জন মিলে এই ঘণ্টা গুলো বাজাতে হবে।

রাম মন্দির দর্শন করতে না পারলে প্রতিদিন এই ঘন্টার আওয়াজ শুনতে পাবে ১০ -১৫ কিমি দূরে বাস করা ভক্তরাও। এই ঘন্টা গুলি যখন একসাথে বেজে উঠবে তখন আশেপাশের কোন শব্দই আপনার কানে আসবে না আপনার মন প্রাণ জুড়ে তখন শুধু থাকবে রামের বাস ।
শুধু তাই নয়, এই ঘন্টাগুলো একটা বিশালাকার দৈত্যের মতো দেখতে , যাকে কাবু করা একার পক্ষে সম্ভব নয় । এই প্রতিটি ঘন্টা তৈরি করতে লেগেছে লাখ লাখ টাকা। শুধু ঘন্টাই নয় গোটা রাম মন্দির তৈরি করতেই কোটি কোটি টাকার খরচা হয়েছে।

এই ঘন্টা গুলি সম্পর্কে আরো একটি আকর্ষণীয় তথ্য হল, ঘন্টাগুলো তৈরি করেছেন মুসলিম কারিগরেরা। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে ইকবাল নামক এক মিস্ত্রি এই ঘন্টাগুলোর নকশা নির্মাণ করেছেন। মুসলিম ভাইদের হাতেই সেজে উঠেছে রাম মন্দিরের ঘন্টা। সত্যিই এখানেও জোরালো হয়েছে সম্প্রতির বাঁধন।

এইখানেই থেমে নেই। রাম মন্দিরের ভিতরে থাকবে আরো একটি ২১০০ কেজি ওজনের ঘণ্টা। এই ঘন্টাটি উত্তরপ্রদেশের জলেশ্বর থেকে আনা হয়েছে। এই ঘন্টার বিশেষত্ব হল এটি অষ্টধাতুতে তৈরি । সোনা, রুপো, তামা, দস্তা, সীসা, টিন, লোহা ও পারদ, এই ৮ ধাতু দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ২১০০ কেজির ঘণ্টা। এই ঘন্টা তৈরি করতে খরচ পড়েছে ২১ লক্ষ টাকা। রাম মন্দিরের আরো কত যে মাধুর্য লুকিয়ে রয়েছে তা এক কথায় বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সময় যত এগোবে রাম মন্দির সম্পর্কে, এই রকম আরো অনেক আকর্ষণীয় তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *