বিয়ে না করলেই, হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে যাবেন! অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে কম

বিয়ে না করলেই, হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে যাবেন! অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে কম

বিয়ে না করলেই,
হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে যাবেন!

অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের
ঝুঁকি সবচেয়ে কম!!

বিবাহিতদের তুলনায়,
অবিবাহিতরাই বেশি সুস্থ!

এদের গড় আয়ু
অনেক বেশি!

ভারতীয় গবেষণায়
বেরিয়ে এলো, চাঞ্চল্যকর তথ্য!

এতদিন ধরে সিঙ্গেল থাকা নিয়ে যারা দুঃখ প্রকাশ করছিলেন তাদের জন্য রইলো সুখবর। যারা এত দিন বিয়ে হচ্ছিলো না বলে,,, কিংবা প্রেম করতে পারছিলেন বলে,,, কপাল চাপরাচ্ছিলেন এই সুখবরটি শোনার পর আর কপাল চাপড়ানোর দরকার পড়বে না। এই খবরটি শোনার পর বিয়ে না করাটাই মঙ্গল বলে দাবি করবেন! এবার বিয়ে না করলেই বেঁচে যাবেন বড়ো বড় রোগের হাত থেকে। গুনে গুনে ৫টি কঠিন ব্যাধি আপনার শরীর ছেড়ে পালাবে। সম্প্রতি ভারতের লখনৌতে একদল গবেষক একটি গবেষণা চালিয়েছে। যেখান থেকে তারা বেশ কিছু আশ্চর্য রকমের তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তারা বেশ কিছু অবিবাহিত মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, অবিবাহিতরা বিবাহিতদের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ ও রোগ মুক্ত। বিবাহিতদের মধ্যে হার্ট এটাকের ঝুঁকি অনেক কম। এই গবেষকদের মতে অবিবাহিতদের শরীরের ধারে কাছে, এই পাঁচটি রোগ কিছুতেই ঘেঁষতে পারে না। এই রোগগুলো কি কি দেখুন –

১) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাওয়া :
গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত ব্যক্তিরা সিঙ্গেল তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কম । আর সিঙ্গেলদের আয়ু দীর্ঘকালের হয়। কিন্তু বিবাহিতদের ক্ষেত্রে আয়ুষ্কাল কমে আসে । কেননা মিঙ্গেল বা বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে হামেশাই ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থেকে। ঝামেলার জন্য চিৎকার করতে হয়। এর ফলে প্রেসার হাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রেসার হাই হওয়ার ফলে হার্ট এ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এককথায় বলা যায় সিঙ্গেলরা যেমন মানসিক দিক থেকেও সুস্থ তেমনই শারীরিক দিক থেকেও সুস্থ ।

২) মানসিক চাপ থেকে মুক্তি :

আপনি যখন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকেন , তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে যায় , যেমন আপনার সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখা , সময় মত খবর নেওয়া ।আর বিশেষ করে যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে চাপ আরও বেড়ে যায় , একে অপরের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যায়, কাজ বেড়ে যায়, সঙ্গীর ভরণ পোষণের জন্য বেশি উপার্জন করতে হয় । এই সব দিক সামলাতে গিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় , ফলে ঘুম হয় না ঠিকঠাক , শরীরের ক্ষতি হয় । আর শেষপর্যন্ত জীবনে বেঁচে থাকার আসল রসদটাই ভুলে যায় । কিন্তু অবিবাহিত বা সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে আলাদা করে কারোর কথা ভাবতে হয় না , শুধুমাত্র বাবা মা আর নিজের জন্য ভাবলেই হলো । এর ফলে আর্থিকচাপ থেকে মুক্তি, দায়িত্ব থেকে মুক্তি এমনকি চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩) নার্ভের রোগ থেকে মুক্তি : বিবাহিত বা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হলে দায়বদ্ধতা বহুগুণ বেড়ে যায়। আর এই দায়বদ্ধতা পালন করার জন্য বেশ খেয়াল রাখতে হয় এক তরফ থেকেও যদি খামখেয়ালিপনা হয় তাতেই সম্পর্কে চির ধরতে শুরু করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় দায়বদ্ধতার প্রতি বেশি ধ্যান দিতে গিয়ে অনেক ব্যক্তিরাই নার্ভ রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের মাথায় সবসময় নানা রকমের চিন্তা ঘুরতে থাকে , যেমন সঙ্গীকে ঠিক ভাবে টাইম দিতে পারলো কিনা , আবার তাকে কোনো ভাবে দুঃখ দিলো কি না , তার সব আবদার পূরণ করতে পারলো কি নাএমনি সব বিষয় । এই সব চিন্তা করতে করতে রাতের ঘুম উড়ে যায় । আর ধীরে ধীরে তারা নার্ভ রোগে আক্রান্ত হয় । কিন্তু অবিবাহিত বা সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে হবার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কেননা তাদের এই সমস্ত বিষয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয় না এমনকি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না , তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমও হয় আর বড়ো বড়ো রোগ থেকে মুক্তি পায়।

৪) নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা : সঙ্গীকে খুশি করতে গিয়ে দেখা গেলো নিজের ভবিষ্যতটাই আর তৈরি হলো না । সারাক্ষন ঘুরে বেড়ানো , ফোনে কথা বলা, রাগ করলে তার রাগ ভাঙ্গানো এইসব করতে করতে আর নিজের স্বপ্নে এগোনো হলোনা। আর বিবাহিতদের ক্ষেত্রে সংসার, সঙ্গী তারপর বাইরের কাজ সামলিয়ে আর নিজের স্বপ্নপূরণ করা হয়ে ওঠে না । আর একা থাকলে কারোর কথা ভাবার প্রয়োজন নেই , শুধু নিজের কেরিয়ারেই মনোযোগ দেওয়া যায় । আর নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা যায়

৫) স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করা : গবেষণায় দেখা গেছে যেকোনো পুরুষ হোক বা মহিলা তারা সম্পর্কে যাওয়ার আগেই খুশি থাকেন । কেননা তাদের জীবন যাপনে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করে না ,নিজের মতো ঘুরতে যাওয়া , খেতে যাওয়া সবই করতে পারেন । কিন্তু যখনই সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তখন নিজেকে অন্যের কথা মতো চালাতে হয় । কিন্তু আবার সিঙ্গেল থাকলে কারোর কথা মত চলতে হয় না শুধুই নিজের সিদ্ধান্ত থাকে,,,,,, যখন যেখানে মন চায় যেতে সেখানেই যাওয়া যায়, কেউ কোন কিছুতেই বাধা সৃষ্টি করতে পারে না ।তাই সিঙ্গেল জীবন খুবই সুখের।

এই ভিডিওটি দেখার পর অব্যশই সিঙ্গেলরা এরপর সম্পর্কে জড়ানোর জন্য দুবার ভাববেন । আর আজকের এই ভিডিওটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট করুন ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *