নিজের কাকাকে বিয়ে করলেন ২২ বছরের তরুণী! বাবাকে বানালেন ভাসুর, কাকাকে বানালেন বর!
নিজের কাকাকে বিয়ে করলেন
২২ বছরের তরুণী!
বাবাকে বানালেন ভাসুর,
কাকাকে বানালেন বর!
তরুণীর কাণ্ডে
হৈচৈ দেশজুড়ে!
দেখুন বিস্তারিত
বয়স দেখে নাকি প্রেম হয় না এই রকম কাহিনী অনেক উঠে এসেছে, কিন্তু সম্পর্ক দেখেও যে প্রেম হয় না তাও এইবার প্রমাণ হয়ে গেলো । ভালোবাসার সম্পর্ক বড়োই জটিল । এই জটিলতার সমাধান আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। এই ভালোবাসার জটিল প্যাঁচে যে পড়েছে সে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। কিন্তু এই ভালবাসাকে কি নাম দেওয়া যায় জটিল নাকি অদ্ভুত,, যেখানে আত্মীয়তার সম্পর্ক না মেনেই হয়েছে ভালোবাসা,, আর তারপর বিয়ে । এই সম্পর্ক যে সে সম্পর্ক নয়। একেবারে কাকা ভাইজির সম্পর্ক ।
সমাজের সকল রীতিনীতি ভেঙে দিয়ে এবার কাকা ভাইজি প্রেম করে বিয়ে করলো । ঘটনার সূত্রপাত, উত্তরপ্রদেশের কানপুরে । বছর বাইশের যুবতী কাকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে, আর কাকাও এই যুবতীকে চোখে হারায়। সমাজের কাছে কাকা ভাইজির সম্পর্কে থাকলেও একান্তে তারা প্রেমিক – প্রেমিকা । দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলো , কিন্তু দুই পরিবারের লোক এই সম্পর্কে একেবারেই অবগত ছিলো না । প্রতিদিন লুকিয়ে দেখা করা , ঘুরতে যাওয়া , সিনেমা দেখা সবই চলত । এমনকি দুজনে সংসার করার স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছিল । কিন্তু সমাজের ভয় আর করে উঠতে পারছিলো না । দূর সম্পর্কের কাকা হলেও কাকাতো ।তাই বাড়ির লোক তো কখনোই এই সম্পর্ককে মেনে নেবে না । কিন্তু ওই যে কথায় আছে ভালোবাসার মায়ায় একবার পড়লে বেরিয়ে আসা যায় না । তাই হাজার চেষ্টা করেও এই সম্পর্ক থেকে যখন বেরিয়ে আসতে পারলো না তাই দুজনে পরিবারের সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে সেখানকার একটি আর্য মন্দীরে দিয়ে বিয়ে করে নেয় । কাকা ভাইজি থেকে হয়ে গেলো স্বামী স্ত্রী। জানা গেছে , তাদের এই কাণ্ড দেখে যুবতীর বাবা রেগে পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হলে , যুবতীর কার্যকলাপে বাবা ও পুলিশ দুজনেই ভিরমি খেয়ে বসে। তার বাবা পুলিশের কাছে ছেলেটির নামে অভিযোগ দায়ের করে বলেছিলেন যে , আকাশ নামের ছেলেটি যার সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে সেই ছেলেটি তার মেয়েকে প্রলোভনে ফেলে বিয়ে করেছে। কিন্তু বাবার একথা শুনে মেয়ে উল্টে তার স্বামীর হয়ে কথা বলে এবং পুলিশকে জানায় যে সে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যুবতী, সে নিজের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছে তাকে কেউ চাপ দেয়নি। মেয়ের এই উত্তরে বাবার মাথায় হাত পড়ে যায় । এতদিন ধরে যে মেয়েকে কষ্ট করে মানুষ করলো সেই মেয়েই আজ বাবার হয়ে না বলে অন্য একটা ছেলের হয়ে কথা বলছে । এই ঘটনায় মেয়ের পরিবারের সব লোকেরা অবাক হয়ে গেছে । এমনকি মেয়েটি বলেছে যে সে কারোর কোন কথায় কান দিচ্ছে না । সে এখন সুখে শান্তিতে তার স্বামীর সাথে সংসার করতে চায় । এরপর পুলিশের এবং পরিবারের কিছু করার থাকে না । বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি।
Leave a Reply