গঙ্গাসাগর

সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়া এখন জলের মত সহজ! কীভাবে খুব কম সময়ে গঙ্গাসাগর মেলায় যাবেন জানেন? জেনে নিন গঙ্গাসাগর মেলায়  যাওয়ার সহজ রুট কোনটি? ট্রেনে-বাসে কীভাবে যাবেন গঙ্গাসাগর মেলা?

কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার! তাই হিন্দুদের কাছে এই গঙ্গাসাগর মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। সংক্রান্তির দিন এখানে ঢল নামে ভক্তদের। প্রশাসনের দাবি ইতিমধ্যেই সাগর দ্বীপে ভিড় জমিয়েছেন ৭৫ লাখেরও বেশি পুণ্যার্থী। এবছর গঙ্গাসাগরের মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে ৯ জানুয়ারি থেকে চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পঞ্জিকা মতে, এবছর সংক্রান্তির স্নানের সময় পড়েছে রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে, চলবে সোমবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত।

এবছরের গঙ্গাসাগর মেলায়  নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপিল মুনির আশ্রম থেকে শুরু করে মেলার যাবতীয় আয়োজন সবটাই খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের যাতায়াত থেকে মেলা প্রাঙ্গণে জনগণের সুবিধার্থে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

গঙ্গাসাগরের মেলায় আগত লাখ লাখ পুন্যার্থীদের সুবিধার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহু উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাই এখন গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়া জলের মতো সহজ। ট্রেনে কিংবা বাসে উভয় পথেই ভক্তরা পৌঁছাতে পারবেন এই তীর্থ ক্ষেত্রে। কেউ যদি  ট্রেন রুটে  গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে চান তাহলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা থেকে কাকদ্বীপ বা নামখানাগামী ট্রেনে উঠতে হবে। এরপর  কাকদ্বীপ স্টেশনে নেমে সেখান থেকে অটো কিংবা টোটোয় চেপে যেতে হবে লট নং ৮ জেটি ঘাটে। এরপর এই ঘাট থেকেই  ভেসেল বা লঞ্চে চেপে যেতে হবে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকেই  বাসে চেপে পৌঁছতে হবে গঙ্গাসাগর।

তবে যারা সড়কপথে গঙ্গাসাগর মেলায় যাবেন বলে মনে করছেন তারা, কলকাতা থেকে বাস ধরে ডায়মন্ডহারবার রোড হয়ে সোজা চলে যেতে পারবেন লট ৮ ঘাটের মোড়। তারপর সেখান থেকে অটো বা টোটয় চেপে পৌঁছতে হবে লট ৮ ঘাটে। এরপর এই ঘাট থেকেই  একইভাবে লঞ্চ বা ভেসেলে চেপে পৌঁছাতে হবে কচুবেড়িয়া। এখন থেকেই বাকি রাস্তাটা বাসে চেপে যেতে হবে গঙ্গাসাগর মেলায়।

চলতি বছর রাজ্য সরকার পুণ্যার্থীদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য ২,২৫০টি সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৬টি বার্জ, ১০০টি লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও  ব্যবহার করা হবে ২১টি জেটি। পুন্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য প্রত্যেকটি বার্জ ও ভেসেলে থাকবে লাইফ জ্যাকেট। এছাড়াও কলকাতা থেকে থাকবে ১০ টি বাস। যার মধ্যে থাকবে  জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম। এছাড়াও ইসরোর সাহায্য নিয়ে উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে স্যাটালাইট ট্র্যাকিং।

জনগণের সুবিধার জন্য কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত চলতি বছর অতিরিক্ত ২০০ টি বাস চলবে। বাড়তি রেল চালানোর আবেদন জানানো হয়েছে রেলের কাছেও। এছাড়াও আবেদন জানানো হয়েছে ট্রেন বাতিল না করার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *