নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন দিল দরদী স্বামী! হাসি মুখেই মেনে নিলেন স্ত্রীর গোপন পরকীয়া! কে এই হৃদয়বান স্বামী?
নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে
তুলে দিলেন দিল দরদী স্বামী!
হাসি মুখেই মেনে নিলেন
স্ত্রীর গোপন পরকীয়া!
নিজে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে
দ্বিতীয়বার বিয়েও দিলেন!
ঘটা করে স্ত্রীকে
বিদায়ও জানালেন!
অবিকল সিনেমার মতন
কান্ড কীর্তি!
কে এই হৃদয়বান স্বামী?
যিনি বউকে বয়ফ্রেন্ডের হাতে তুলে দিলেন?
দেখুন
প্রেম করে বিয়ে করেছেন গৃহবধূ। সাত বছর চুটিয়ে সংসারও করেছেন। সেই সাজানো গুছানো সংসারের ফসল একরত্তি সন্তান। কিন্তু আচমকা গৃহবধূর সাজানো সংসারে নতুন করে ধেয়ে আসে প্রেমের জোয়ার। আর সেই প্রেম জোয়ারে ধরাও দিয়ে দেন গৃহবধূ। দীর্ঘদিন ধরে লোক চক্ষুর আড়ালে গিয়ে প্রেম জোয়ারে গা ভাসিয়ে আসছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু এক সময় ধরা পড়ে যান। জনসমক্ষে চলে আসে গৃহবধুর সমস্ত কাণ্ড কীর্তি। গৃহবধুর পরকীয়ার কথা পৌঁছে যায় তার স্বামীর কানে। সাধারণত পরকীয়ার ফলাফল হয় অনেক ভয়ানক। আমাদের চারপাশে আমরা যেমনটা দেখি, পরকীয়ায় ধরা পড়লে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়ে যায় নোংরা ঝামেলা, কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি। কিন্তু এই যুগলের মধ্যে ঘটলো একেবারে ব্যতিক্রম কাণ্ড। গৃহবধুর পরকীয়া তার স্বামী জানার পর, তিনি গৃহবধূকে কটু কথা তো দূর ,, সামান্য আঘাত পর্যন্ত করেননি। গৃহবধূকে কোনও প্রকার অপমানজনক কথা পর্যন্ত বলেননি। বরং সম্মানের সঙ্গে গৃহবধুর পরকীয়াকে তিনি পুরস্কৃত করেছেন। তিনি নিজের প্রাণপ্রিয় স্ত্রী, যার সঙ্গে টানা দুবছর সংসার করেছেন,,, সেই মানুষটিকে নীরবে প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়েছেন। এমনকি নিজে দায়িত্ব নিয়ে গুরুজনদের সামনে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে পর করে দিয়েছেন। এমনই অবিকল একটু দৃশ্য বলিউডের স্বনামধন্য সিনেমা হাম দিল দে চুকে সানামে আমরা দেখেছিলাম। কিন্তু এতক্ষন যে কাহিনী আপনাদের শুনিয়েছি, সেটি একেবারে বাস্তবেই ঘটেছে। এই গল্পের ঘটনাস্থল ধুপগুড়ি।
সেখানকার এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম গড়ে ওঠে,,, পেশায় টোটো মেকানিক এক যুবকের সঙ্গে। দুজনেই টানা দু বছর ধরে জমজমাটভাবে প্রেম করেন। একে অপরকে কথা দেন সুখে সংসার করবেন। দুজনেই কথা রাখেন। দুজনে কোল আলো করে আসে ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু আচমকা বদলে যায় গোটা চিত্র। হঠাৎই পুরনো প্রেমিক ও সন্তানকে ভুলতে শুরু করেন যুবতী। কারণ তার মনের কোণে বাসা বেঁধেছিল নতুন প্রেমের নতুন কোকিল। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে ওই যুবতী নতুন করে তার এলাকারই এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সম্পর্কের গভীরতা অনেক দূর পৌছে যায়। প্রথম দিকে যুবতী বিষয়টিকে গোপনে রেখেছিলেন। কিন্তু একদিন গভীর শীতের রাতে গোপন প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ট হতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে যান। ব্যাস সেখান থেকেই যুবতীর কান্ড কীর্তি পৌঁছে যায় তার স্বামীর কানে। সমস্ত কিছু শোনার পর স্বামী টোটো মেকানিক সাফ জানিয়ে দেন,, তিনি কোথাও যেতে চান না,,, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতে চান,,, যদি তার স্ত্রী তার সঙ্গে থাকতে চাই তবে! এদিকে পুরনো স্বামীর সঙ্গে আর থাকতে চান না ওই যুবতী। তিনিও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি তার নতুন ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধতে চান। স্ত্রীর মুখে এই সমস্ত কথা শুনে ছোট মেকানিক স্বামী একবারের জন্য রেগে যাননি। বরং তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে সামাজিকভাবে স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করে দেন। এই ঘটনা চারিদিকে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ঘটনার রেশ ধুপগুড়ি থেকে কলকাতাতেও চলে এসেছে। চায়ের আড্ডায় কিংবা রাস্তাঘাটে এই গৃহবধূই এখন আলোচনার শীর্ষে।
সত্যিই ত্রিকোণ প্রেমের সফলতা অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা। সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। কথাই বলে ভালোবাসা মানেই মুক্তি, যদি কাউকে প্রকৃত অর্থে ভালোবেসে থাকো, তাহলে তাকে যেতে দিতে হয়! আর এই কথাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছে ধুপগুড়ির এই যুগল।
Leave a Reply