কোটিপতি হওয়ার ফর্মুলা

কোটিপতি হওয়ার ফর্মুলা কি? ১০ টাকা বাঁচিয়েও কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায় জানেন? এখনই জানুন কোটিপতি হওয়ার অজানা সিক্রেট!

কোটিপতি হতে কে না চায়! কিন্তু শুধু ভাবলেই তো আর কোটিপতি হওয়া যায় না! তাছাড়া  ধনী হওয়ার কোনো সিক্রেট নেই। তবে  ‘আজকে যে বাঁচাবে সে’ই ভবিষ্যতে বসে খাবে।’ তাই স্যালারি কম হোক বা বেশি নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রথম থেকেই অল্প টাকা হলেও লগ্নি করা শুরু করতে হবে।

কোটিপতি হবেন কীভাবে?

কথায় আছে বিন্দুতেই সিন্ধু হয়! তাই শূন্য থেকে শুরু করেই কোটিপতি হতে পারে যে কেউ। তাছাড়া শুনতে অবাক লাগলেও কোটিপতি হওয়ার জন্য কিন্তু আয়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সঠিক জায়গায় লগ্নি করা। খুব কম টাকা দিয়েই লগ্নি করে শুরু করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে।

রোজ ১০ টাকা জমিয়ে কীভাবে কোটিপতি হবেন?

রোজ ১০ কিংবা ২০ টাকা বাঁচিয়েও কোটিপতি হওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে লম্বা সময়ের জন্য লগ্নি করতে হবে। হিসাব অনুযায়ী রোজ ১০ টাকা করে বাঁচালে মাসে ৩০০ টাকা বাঁচানো যাবে। এইভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে SIP করলে ৩৫ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে ৩০০ টাকা করে জমা করতে হবে। এই জমানো টাকার উপরে ১৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে। এরফলে ৩৫ বছর পর হাতে আসবে মোট ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা।

মাসে কুড়ি-পঁচিশ হাজার টাকা আয় করে কোটিপতি হওয়া যায়?

মিউচুয়াল ফান্ডে মাসে ৫০০ টাকা করেও জমানো যেতে পারে। অনেকে যদিও খুব সহজেই তার চেয়েও   বেশি অর্থাৎ ১ থেকে ২ হাজার টাকা-ও  লগ্নি করতে পারেন। এইভাবে মাসে ২৫ হাজার টাকা আয়  করেও কোটিপতি হওয়া যায়। তার জন্য প্রত্যেক মাসে এসআইপি চালু  রাখতে হবে। শুরুতেই এসআইপির এক দশমাংশ লগ্নি করলেও  স্যালারি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু লগ্নি বাড়াতে হবে।

 

কোটিপতি হওয়ার জন্য কত বছর থেকে লগ্নি শুরু করা উচিত?

চাকরি জীবনের একেবারে শুরু থেকেই লগ্নি করা উচিত। এক্ষেত্রে কেউ যদি মাসে ৫০০০ টাকাও আয় করেন তাহলেও তিনি খুব সহজেই   মাসে ৫০০ টাকা করে  জমাতে পারবেন। এইভাবে ২০ বছর বয়স থেকেই টাকা জমানো শুরু করলে নির্দিষ্ট সময় পর হাতে মোটা টাকা আসবে।

চল্লিশ পেরিয়েও লগ্নি করা যায়?

৪০ বছর বয়স থেকে টাকা লগ্নি করা শুরু করে  ৬০ বছর বয়সে ১ কোটি টাকা ফান্ড জোগাড় করতে চাইলে  প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপি করতে হবে।এইভাবে  ১২ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে। এইভাবে টাকা জমালে ৬০ বছর বয়সে প্রায় ৯৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা বা প্রায় এক কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আর যদি সুদের হার ১৫ শতাংশ হয়, তাহলে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।

 

১০ থেকে ১৫ বছর কিভাবে কোটিপতি হতে পারে?

এত কম সময় কোটিপতি হওয়া অসম্ভব নয় তবে এক্ষেত্রে  প্রত্যেক মাসে  লগ্নির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী ১৫ বছরে কোটিপতি  হতে গেলে মাসে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা এসআইপি করতে হবে।আর সুদের হার হতে হবে কমপক্ষে  ১৫ শতাংশ। আর  ১০ বছরে ১ কোটি টাকা জমা করতে গেলে মাসে কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা জমা  করতে হবে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব।

শুধু মিউচুয়ালি লগ্নি করতে হবে?

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ভালো টাকা  রিটার্ন পাওয়া যায়  এবং রিস্ক অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এছাড়া কেউ  সরাসরি শেয়ার মার্কেটেও  লগ্নি করতে পারে। যদিও এতে  রিস্ক অনেক বেশি। ভাগ্য ভালো হলে এক্ষেত্রে  যেমন দু-তিন বছরের মধ্যেই কোটিপতি হওয়া যায় তেমনি মনে রাখতে হবে ভুল লগ্নি হলে রাতারাতি দেউলিয়াও হয়ে যেতে হতে পারে।

তবে মিউচুয়াল ফান্ড হোক অথবা শেয়ার মার্কেট, লগ্নী করার আগে বরাবরই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *