বাসে উঠলেই বমি পায়? জানেন এর আসল কারণ? ৯৯% মানুষই জানেন না মোশন সিকনেসের আসল কারণ! জানুন এই সমস্যা থেকে মুক্তির সহজ উপায়! এই সহজ টোটকা জানলে সহজেই এড়াতে পারবেন বমির সমস্যা।
মোশন সিকনেসের মতো সমস্যায় যারা ভুক্তভুগি বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস কোনো কিছুতেই উঠে শান্তি নেই তাঁদের। যার ফলে বাইরে বেরিয়েও এমন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যার ফলে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। কী কারণে হয়ে এই সমস্য়া?
বমি কেন হয়?
সাধারণত গাড়িতে ওঠার পর আমাদের অন্তঃকর্ণ বা মস্তিষ্ক ধরে নেয়, সে স্থির অবস্থায় আছে । কিন্তু চোখ দেখে সবকিছু গতিশীল।এরফলে চোখ ও অন্তঃকর্ণ বা মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ঘটে। এই সমন্বয়হীনতার কারণেই তৈরি হয় মোশন সিকনেস। এই মোশন সিকনেস থেকেই বমি বমি ভাব তৈরী হয় এবং একসময় বমি হয়েও যায়।এছাড়াও অনেক সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে কিংবা অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতার জন্যও বমি হতে পারে। তাছাড়া কোনো বদ্ধ জায়গায় বাজে কোন গন্ধের কারণেও অনেক সময় বমি চলে আসে।
কাদের হয়?
এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ বা গোষ্ঠীর কথা বলা যায় না। তবে আশা করি ছোটবেলায় কমবেশি অনেকেই এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথেই তা অনেকের ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক না হলে তখন তা কিন্তু চিন্তার বিষয়।
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বমি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। জানা যাক বমি ভাব দূর করার কিছু সহজ টোটকা-
লেবু: বমি ভাব দূর করতে সফর শুরুর আগে এক টুকরো লেবু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চুষে নিন। এছাড়াও জলের সাথে লবণ ও লেবু মিশিয়েও লেবুজল পান করতে পারেন। এতে গা গোলানো ভাব থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
লবঙ্গ: বমি ভাব কাটাতে কিন্তু লবঙ্গর-ও জুড়ি মেলা ভার। এক থেকে দুটি লবঙ্গ কিছুক্ষণ চিবিয়ে নিলেই তা কাজ দেবে ম্যাজিকের মতো।
জিরে: কাঁচা জিরে মুখে রাখলেও বমি বমি ভাব দূর হয়। এই কাঁচা জিরে হজম শক্তিতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও গাড়িতে উঠেই প্রথমে সামনের দিকের সিটে বসার চেষ্টা করুন। পেছনের দিকে বসলে গাড়ি বেশি গতিশীল মনে হয়।
সম্ভব হলে জানালার পাশে সিটে বসা যেতে পারে। এতে বাইরের হাওয়া ভিতরে আসার পাশাপাশি প্রকৃতিকেও ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।
খালি পেটে বাস বা গাড়িতে ওঠা উচিত নয়। খালি পেট অ্যাসিডিটি বা বমির অন্যতম কারণ।
গাড়িতে বসে আদা কিংবা চুইংগাম চিবালেও উপকার পাওয়া যায়।
Leave a Reply