অটল সেতু

দীর্ঘ ৬ দশকের অপেক্ষার অবসান! উদ্বোধন হয়ে গেল ‘অটল সেতু’র! দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সমুদ্র সেতুর পুরো নাম জানেন? এই  নতুন সেতু তৈরি করতে কত খরচ হলো জানেন? এই সেতু থেকে গোটা দেশ কীভাবে উপকৃত হবে জানেন?

দীর্ঘ ৬ দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১২-ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনেই অর্থাৎ যুব দিবসেই দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সেতু মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক নামে পরিচিত হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছে অটল সেতু, পুরো নাম  অটল বিহারী বাজপেয়ী সেওরি নভাসেবা অটল সেতু। মহারাষ্ট্রের এই ব্রিজ বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে সংযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। ২১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই  সেতুটির ১৬.৫ কিলোমিটার রয়েছে সমুদ্রের উপর। এছাড়াও একাধিক  সুযোগ-সুবিধা পাবেন নাগরিকরা।

মুম্বাইয়ের সেওরি থেকে রায়গড়ের চিরলে সংযোগকারী এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয় ৬ দশক আগে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। ছয় লেনের এই সেতুর ওপর দিয়ে যেতে গেলে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রাখতে হবে। তবে এই রাস্তার  ওপর দিয়ে , বাইক, রিক্সা, অটো, ট্রাক্টর যাতায়াত করতে পারবে না। মনে করা হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার গাড়ি এই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। তবে এই সেতুর ওপর দিয়ে যেতে গেলে ওয়ান-ওয়ের টোল পড়বে ২৫০ টাকা।  প্রতি বছর এই টোলের টাকার অঙ্ক পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এই সেতু মহারাষ্ট্রের দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ অনেক  সহজ করে দিয়েছে। তাই  আগে মুম্বাই থেকে নবি মুম্বাই যেতে কম করে  দু’ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই এই এই রাস্তা পার করা যাবে। এছাড়াও যানজট সহ অন্যান্য  সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা।

অটল সেতুর  সুরক্ষার জন্য উন্নত মানের এআই ক্যামেরা সহ বিভিন্ন ধরণের উন্নত মানের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে   এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এই সেতুর ওপর যানবাহন বন্ধ হয়ে গেলেও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সরকারি সূত্রে খবর,  দীর্ঘ ৬ দশক ধরে সমুদ্রের ওপর এই সেতু নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে মোট ১৭৮৪০ কোটি টাকা। এই ব্রিজের ফলে দক্ষিণ মুম্বই থেকে নভি মুম্বই যেতে যে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত, তা কমে হয়ে যাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট।  তবে ব্রিজে ওঠা ও নামার সময় এই  গাড়ির গতি ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় রাখতে হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *