জানেন মালদ্বীপ থেকে কোন ৫টি জিনিস কিনে আনে আমাদের ভারত? মালদ্বীপের এই ৫টি জিনিস শোভা পায় ভারতের প্রতিটি বাড়িতে!
জানেন মালদ্বীপ থেকে কোন ৫টি জিনিস
কিনে আনে আমাদের ভারত?
মালদ্বীপের এই ৫টি জিনিস
শোভা পায় ভারতের প্রতিটি বাড়িতে!
যা ছাড়া আজও অচল
আমাদের দেশ!
আর এগুলো দিতে পারে
কেবল মাত্র মালদ্বীপ!
এর জন্য মালদ্বীপের উপর
এখনও ১০০% নির্ভরশীল আমাদের হিন্দুস্থান!
কি সেই ৫টি জিনিস?
যার জন্য মালদ্বীপের দরবারে
হাত পাততে হয় ভারতকে!
দেখুন
১, নুন – ভারতের বিক্রি হওয়া নুনের একটি মোটা অংশ আসে মালদ্বীপ থেকে। তথ্যসূত্র থেকে জানা গিয়েছে ২০২২ সালেও মালদ্বীপ থেকে বিপুল অংকের নুন কিনেছে ভারত। বর্তমানে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে তিক্ততা বাড়লেও,, ভারতে নুনের জোগান দিতে এই দেশটির ভূমিকা একেবারেই অস্বীকার করা যাবে না। ভারতে যখনই নুনের অভাব দেখা দিয়েছে তখনই মালদ্বীপ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে।
২, কফি ও চা – আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না মালদ্বীপ থেকে ভারত কফি ও চা আমদানি করে। ভারত অনেক দেশ থেকেই চা পাতা আমদানি করে, তার মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম। মালদ্বীপের চায়ের স্বাদ অপূর্ব খেতে। দার্জিলিং টি এর মতন মালদ্বীপের টি তেও এক ধরনের সিগনেচার রয়েছে। অনেকেই ইংলিশ টি হিসেবে মালদ্বীপের চা খেয়ে থাকেন।
৩, তুলো – মালদ্বীপে ব্যাপক হারে তুলোর চাষ হয়। ভারত অন্যান্য যে সমস্ত দেশ থেকে তুলো আমদানি করে, তার মধ্যে মালদ্বীপ থেকে সবচেয়ে সস্তায় তুলো আমদানি করা সম্ভব হয়। তাছাড়াও মালদ্বীপের তুলোর মান খুবই ভালো। ভারতীয়রা যে সমস্ত দামি দামি লেপ তোষক ব্যবহার করে থাকেন, সেখানেও মালদ্বীপের তুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৪, রাবার – মালদ্বীপ থেকে ভারতের আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে অন্যতম হল রাবার। ভারতে রাবারের চাষ হয় তবে তা পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে মালদ্বীপ থেকে রাবার আমদানি করা হয়। এর আবার ভারতের অনেক কাজে লাগে।
৫, মিউজিকাল যন্ত্রপাতি – মালদ্বীপ শিল্পচর্চার ক্ষেত্র যথেষ্ট উন্নত। দেশটিতে নানা ধরনের সঙ্গীত চর্চার জন্য উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের গিটার, ড্রাম, পিয়ানো পাওয়া যায়। ভারতের সংগীত শিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য মালদ্বীপ থেকে এই ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। অতএব এক কথায় ভারতের সঙ্গীত শাস্ত্রের ক্ষেত্রেও মালদ্বীপের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
আসলে মালদ্বীপ ও ভারত একে অপরের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে দু দেশের সম্পর্ক ভালো নেই। মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে চরম বাতানুবাদ ও মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে?
এই দু দেশের মান-অভিমানের চাপে পড়ে, দুটি দেশের বৈদেশিক ও কূটনৈতিক নীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না তো?
আর যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে এর ফল কি হতে পারে?
এটা কি কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই ভাবছেন না?
সুপ্রিয় দর্শক, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি হতে পারে ? N
আপনারা কি ভাবছেন?!
অবশ্যই কমেন্ট করে জানান….
Leave a Reply