রাম মন্দির না হলে কথা বলবেন না! বোবার মতন জীবন কাটাবেন! ৩১ বছর আগে শপথ নিয়েছিলেন যুবতী!

রাম মন্দির না হলে কথা বলবেন না! বোবার মতন জীবন কাটাবেন! ৩১ বছর আগে শপথ নিয়েছিলেন যুবতী!

রাম মন্দির না হলে
কথা বলবেন না!

বোবার মতন
জীবন কাটাবেন!

মুখ দিয়ে একটি
শব্দও উচ্চারণ করবেন না!

৩১ বছর আগে শপথ নিয়েছিলেন যুবতী!
আজ তিনি ৮৫ বছরের থুড়থুড়ে বুড়ি!

বৃদ্ধা মায়ের, রামভক্তি দেখে
শিহরিত গোটা দেশ!

এবার কি তিনি কথা বলবেন?
উত্তরে যা বললেন শুনলে চমকে যাবেন

ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের অনেক ভক্ত তো দেখেছেন, কিন্তু আজ যে ভক্তের কথা জানবেন, এমন ভক্ত বোধ হয় কেউ দেখেননি। ভাগ্যিস রাম মন্দিরের উদ্বোধন সম্পন্ন হচ্ছে, নইলে এই রাম ভক্তের পরিচয় পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের কপালেই জুটত না। ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে হলুস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে দিয়েছেন এই মহিলা রাম ভক্ত। ইনি যে সে রাম ভক্ত নয়,,, একেবারে একনিষ্ঠ, প্রাণ প্রদত্ত রামভক্ত। যিনি ১৯৯২ সালে শপথ নিয়েছিলেন, রাম মন্দির না হওয়া পর্যন্ত তিনি একটি কথাও বলবেন না। অর্থাৎ তিনি তার মুখ বন্ধ করে রাখবেন। বোবার মতন জীবন কাটাবেন। তিনি তার ঠোঁট জোড়া কখনো নাড়াবেন না। দুই ঠোঁট একেবারে সিল করে দেবেন। সেই যে ৩২ বছর আগে শপথ নিয়েছিলেন,,, সেই শপথ এখও অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন। একটি বাড়ির জন্যও তিনি তার শপথে ব্যাঘাত ঘটতে দেননি। এই পরম একনিষ্ঠ রাম ভক্তের নাম সরস্বতী দেবী। যিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তিনি অবশ্য এখন আর সেই যুবতী নেই। বর্তমানে তিনি থুরথুরে বুড়িতে রূপান্তরিত হয়েছেন। গায়ের চামড়া ঝুলে পড়েছে। দাঁত পড়ে গিয়েছে। চোখেও ঠিক মতন দেখতে পান না। সারা গায়ে বয়সের ছাপ। অবশ্য এত কিছুর মাঝেও কিন্তু প্রতিজ্ঞা অটুট রেখেছেন। একবার ভাবুন তো,,,,, বর্তমানে আমরা এক দন্ড কথা না বলে থাকতে পারি না,,,, মুখ না নাড়ালে যেন আমাদের দিনই কাটে না। সেখানে সরস্বতী দেবী শ্রীরামচন্দ্রের জন্য নিজের বাকশক্তিকে বিসর্জন দিয়েছেন। শুনলেই যেন কেমন অদ্ভুত লাগে তাই না!

অগাধ এই রামভক্তির জন্য তিনি গোটা এলাকাজুড়ে সুপরিচিত। তবে তাকে সরস্বতী দেবী নামে কেউ চেনেন না। টানা ৩২ বছর ধরে মৌনব্রত অর্থাৎ কথা না বলার সংকল্প পালন করায়, তাকে সকলে মৌনি মাতা নাম দিয়েছেন। আর এই নামেই তিনি সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন। ছোট থেকেই তিনি ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের অন্ধ ভক্ত। তার কাছে ভগবান রামই সব। রাম নামেই তিনি দিন রাত মগ্ন থাকেন। তার কাছে, সকালে ঘুম থেকে উঠেও রাম,,, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও রাম। ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ও রাম মসজিদ সংঘাত বাঁধে, সেই সময় অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির পরিকল্পনা বন্ধ করা হয়। আর সেই সময় মৌনী মাতা শপথ নেন, যতদিন না অযোধ্যার রাম নগরীতে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের দেবালয় প্রতিষ্ঠিত হবে, তিনি ততদিন পর্যন্ত মুখ দিয়ে একটি টু শব্দও বের করবেন না। বাড়ির লোকদেরও তিনি স্পষ্ট করে প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে দেন। মৌনী মাতার বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে তারা একটু বিচলিত হয়েছিলেন, মৌনী মাতাকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মৌনী মাতা ওরফে সরস্বতী দেবীর রাম ভক্তির কাছে তারা হার মানেন। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, মৌনী মাতা বাড়িতে সাংকেতিক ভাষা ও কাগজে কলমে কথা বলেন। ইশারায় মনে ভাব প্রকাশ করেন। তাকে নিয়ে বাড়ির লোকেরা অত্যন্ত গর্ব অনুভব করেন বলেও জানা গিয়েছে। অবশ্য ১৯৯২ সালের পর থেকে তিনি একটি কথাও বলেন এমনটা নয়। আসলে ১৯৯২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত তিনি এক ঘন্টা করে কথা বলতেন। তার সেই একঘন্টা কথার মধ্যে ঠাই পেত ধর্মীয় বিষয় বস্তু। কিন্তু ২০২০ সালের পর থেকে তিনি একেবারে এর জন্যই কথা বন্ধ করে দেন। তবে এবার তার কথা বলার দিন এসে গিয়েছে।

এমন একনিষ্ঠ রামভক্ত মৌনী মাতা, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে তার সঙ্গে অযোধ্যার পুরোহিত প্রধানের সুসম্পর্ক রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ,, তিনি টানা ৩২ বছর পর প্রথমবার কথা বলবেন। অর্থাৎ জন্মের পর থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি কথা বলেছেন। এরপর ১৯৯২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এক ঘন্টা করে কথা বলেছেন। এরপর তিনি একটি কথাও বলেননি। কিন্তু এবার তিনি মন খুলে কথা বলবেন। মুখ খুলেই তিনি সবার প্রথমে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেবেন। সত্যি আজকালকার যুগে যেখানে প্রকৃত ভক্তের সন্ধান মেলাই দুষ্কর সেখানে মৌনী মাতার মতন ভক্তদের দেখলে ভারী আশ্চর্য লাগে। ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি তার বাক শক্তির বলিদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই মানুষটির প্রতি বাংলা হান্টের পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল। তিনি যেন সাবধান এবং সুস্থভাবে রাম মন্দির দর্শন সম্পন্ন করতে পারেন সে কামনাই রাখলাম।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *