হঠাৎ ইডির আগমন এসএসকেএমএ , কেনো ছুটতে হলো কালীঘাটের কাকুকে!! কিসের এত তাড়াহুরো

হঠাৎ ইডির আগমন এসএসকেএমএ , কেনো ছুটতে হলো কালীঘাটের কাকুকে!! কিসের এত তাড়াহুরো

অপা – পার্থ অতীত
এখন তদন্তের খাতায় শুধুই সুজয় কৃষ্ণ

ইডির হাত থেকে বাঁচাবে কে !!!
আর কতদিনই বা পালাবে!!

সিনহার নির্দেশ বাঁচবে কে !!
দরকারে তিনি নিজেই করবেন তদারকি !!

হঠাৎ কেনো কাকুর জোকায় গমন ??

চলুন জেনে নিই এই বিষয়ে

যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়! এবার এই বাঘ অর্থাৎ ইডি সিবিআইয়ের ভয়ে আধমরা হয়ে পড়েছেন রেশন দুর্নীতির অন্যতম ধৃত। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু! অনেক দিন ধরেই কালী ঘাটের কাকু লুকোচুরি খেলেছিলেন। কিছুতেই তদন্ত আধিকারিকদের ধরা দিতে চাইছিলেন না। এমনকি তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছিলেন না। কিন্তু শেষমেষ আর নিস্তার পেলেন না। কাকুর কালো ধন ধরতে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে টানা ৪ মাস দৌড়াতে হয়েছে। আপনারা হয়ত শুনেছেন, রেশন দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকুর কালো হাত ঠিক কতটা গভীরে গিয়েছে, তা তদন্ত করতে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস সেম্পল সংগ্রহ করা হবে। এই সেম্পল সংগ্রহ করতে, ইডি আধিকারিকেরা অনেক দিন ধরেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কালীঘাটের কাকুর নানা টালবাহানায় সেটা হয়ে উঠছিল না। এবার কাকুর আর কোন অজুহাতই ধোপে টিকলো না। সরাসরি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গিয়ে, এস এস কে এমে ভর্তি কাকুকে, তুলে নিয়ে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি আধিকারিকেরা।
ইডি আধিকারিকেরা, কালীঘাটের কাকুকে তুলে নিয়ে যায় সোজা ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করার জন্য।

নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় তদন্তের স্বার্থে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভদ্র বাবু কোনো ভাবেই কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি নন। আর যার ফলে বার বার বিপাকে পড়তে হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। কিন্তু আর নয় , ভদ্র বাবু যখন ভদ্র ভাবে কথা শুনলেন না তখন অভদ্র ভাবেই পথ বেছে নিতে হলো। আর তাই নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডি আধিকারিকরা পৌছে গিয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে আর সেখান থেকেই তাকে জোর তৎপরতার সাথে তুলে নিয়ে আসে জোকা ইএস আই হাসপাতালে ।আর তার কাছ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ রকমের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেদিন। এই ঘটনা থেকে জানা যায়, তদন্তকারী আধিকারিকরা আগেই কাকুর একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং সংগ্রহ করেছিল ,,,,,তার উপরেই নির্ভর করে ১৫ থেকে ২০ রকমের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যখন যে টোনে কথা বলেছে সেই টোনের ভয়েস মিলিয়ে সংগ্রহ করেছে কণ্ঠস্বরের নমুনা।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই ,,, যে কাজ চার মাস ধরে হচ্ছিল না সেই অসাধ্য সাধন হলো কিভাবে?? তাহলে কি বিচারপতি অমৃত সিনহার রুদ্ধদ্বার শুনানির পরই কি এই তৎপরতা দেখালো ইডি । আদালতের নির্দেশনামা প্রকাশের পর এই প্রশ্নের উত্তর জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। এই নির্দেশনামায় রীতিমতো কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছিল বিচারপতি। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য,,,,,,,,, নির্দেশ নামায় বলা হয়েছিল রাত আটটা থেকে শুরু করা হবে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের কাজ আর শেষ করতে হবে ঠিক ২ ঘণ্টার মধ্যে। এর সাথে হাসপাতালের সুপারকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি সিনহা। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল ইডি আধিকারিকরা পৌঁছানো মাত্রই সময় নষ্ট না করে সুজয় কৃষ্ণকে তদন্ত আধিকারিকদের হাতে তুলে দিতে হবে। এই সূত্র ধরেই উঠে এসেছিল ঐদিন বিচারপতি অমৃত সিনহা আদালতে রাত নটা পর্যন্ত ছিলেন। বলা যায় গোটা কার্যকলাপ হয়েছে আদালতের নজরবন্দিতে।

কিন্তু আপনি কি জানেন এই কন্ঠস্বরের নমুনা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তদন্তের ক্ষেত্রে ? একবার যদি এই কণ্ঠস্বরের নমুনার সাথে ইডি আধিকারিকদের কাছে থাকা ভয়েস রেকর্ডিং এর মিল পাওয়া যায় ,,,, তাহলে এই নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের বড়ো মোড় ঘুরে যাবে । হয়তো ধরা পড়তে পারে বড়ো বড়ো রাঘব বোয়াল,,,, এমনকী খোঁজ পাওয়া যেতে পারে আরো কালো ধনের হদিশ । আরো জানিয়ে রাখি ,, ইডি আধিকারিকদের কাছে যে সব ভয়েস রেকর্ডিং আছে সেখানে নাকি অনেক বড়ো বড়ো মন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছিলেন ভদ্র বাবু । এখন দেখার বিষয় ওই ভয়েস রেকর্ডিং এর সাথে ,,,,,,কাকুর কাছ থেকে নেওয়া ভয়েস স্যাম্পেলের মিল পাওয়া যায় কি না ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *