সরস্বতী পুজোর আগে ভুলেও কুল খাবেন না! তাহলেই সর্বনাশ! সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে, বাস্তবে কি ঘটে? সত্যিটা জেনেই নিন

সরস্বতী পুজোর আগে ভুলেও কুল খাবেন না! তাহলেই সর্বনাশ! সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে, বাস্তবে কি ঘটে? সত্যিটা জেনেই নিন

সরস্বতী পুজোর আগে ভুলেও
কুল খাবেন না!

তাহলেই সর্বনাশ!
ছারখার হয়ে যাবেন!

ধর্ম থেকে বিজ্ঞান,
দু ক্ষেত্রেই কুল খাওয়া নিষেধ!

সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে,
বাস্তবে কি ঘটে!?

আজ পর্যন্ত কেউ, আপনাকে
সঠিক উত্তর বলেনি!

এবার আসল সত্যিটা জেনেই নিন
শুনলে চমকে যাবেন

সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেয়ে নিয়েছেন । সাড়ে সর্বনাশ । পরীক্ষায় ডাহা ফেল । মা সরস্বতী অভিশাপ দেবেন , পরীক্ষার খাতায় পাবেন বড়ো বড় রসগোল্লা। সরস্বতী দেবী রুষ্ট হয়ে,,,, কান মুলে দেবেন । হাজার চেষ্টা করেও মা সরস্বতীকে আপনার কাছে ফেরাতে পারবেন না। ছোটো থেকে এই কথাগুলো শুনেই আমরা বড় হয়েছি। ছোটো থেকেই সকল পড়ুয়ার অভিভাবকেরা
কুল নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিতেন । এই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কেউ ভয়ে কুল খেতে পারতো না। আর যদি কেউ ভুল করে খেয়েও নিত তাহলে ব্যস মনে এসে জেঁকে বসতো এক ঝাঁক ভয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন সরস্বতী পুজোর আগে কেনো কুল খাওয়া নিষেধ ? সত্যি কি মা সরস্বতী রেগে যান ? আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের এমন কিছু তথ্য জানাবো যা ৯০ % মানুষই জানেন না।

আসলে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা প্রচলিত রয়েছে তা একেবারেই অমূলক নয়। বিষয়টি পুরোপুরি ভ্রান্ত নয়। এই গোটা বিষয়টির যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণতা রয়েছে। এর পিছনে গুনে গুনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি ও ব্যাখ্যা রয়েছে। যা শোনার পর আপনিও বুঝতে পারবেন সরস্বতী পূজোর আগে কুল না ছোঁয়ার গুরুত্ব।

প্রথম যুক্তিটি সামাজিক প্রেক্ষাপট –

আমরা সকলে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তাই কোনো কিছু হলে সবার আগে ঈশ্বরকে ডাকি । তাই সেই হিসেবে যেকোনো নতুন কোনো ফসল বা ফল সবার আগে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় । আর পশ্চিমবঙ্গের অনেকে কৃষি জীবি,,, তাদের কাছে ভগবানই সবার আগে । তাই নতুন ধান উঠলে, আগে নবান্ন উৎসব পালন করে ঈশ্বরের নামে উৎসর্গ করা হয় । তেমনই প্রথম আম হলে আগে শিব ঠাকুরের নামে দেওয়া হয় , সেই ভাবেই কুল আগে সরস্বতী দেবীর কাছে উৎসর্গ করা হয় ,তারপর সকলকে খেতে বলা হয় ।

দ্বিতীয় চুক্তিটি হল হিন্দুদের পুরানের নিষেধাজ্ঞা –

পুরাণমতে দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করেছিলেন। তপস্যা শুরুর আগে সেই তপস্যাস্থলের কাছে একটি কুল বীজ রেখে দেন দেবী সরস্বতী। এবং সেই সাথে শর্ত আরোপ করেন যে, এই কুল বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা হবে এবং তা থেকে বড় গাছ, সেই গাছের ফুল থেকে নতুন কুল হবে। সেই কুল পেকে যে দিন ব্যাসদেবের মাথায় পড়বে, সে দিন তাঁর তপস্যা পূর্ণ হবে। তখনই প্রসন্ন হবেন দেবী সরস্বতী। দেবী এই শর্তে রাজি হয়ে ব্যাসদেব তপস্যা শুরু করেন। শর্ত অনুযায়ী, কয়েক বছর তপস্যা করেন ব্যাসদেব। কয়েক বছর পর সেই বীজ থেকে কুল গাছ হয় এবং তাতে নতুন কুল ধরে। একদিন সেই কুল পেকে ব্যাসদেবের মাথায় পড়ে। এর পরই ব্যাসদেব বুঝতে পারেন যে দেবী তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাঁর তপস্যা পূর্ণ হয়। সেই দিনটি ছিল মাঘ মাসের শুক্লা পক্ষের পঞ্চমী তিথি। এই বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতী দেবী তুষ্ট হয়েছিলেন। তাই সরস্বতী পুজোর প্রধান ফলই হলো কুল । আর এই কারনে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নিয়ে বিরত থাকতে বলা হয়।

তৃতীয় যুক্তিটি হল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি-

সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে । সরস্বতী পুজো হয় শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে । আর এই সময় নানা রকমের অসুখ হয় । মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে কুল কাঁচা বা কশযুক্ত থাকে ,,,, সরস্বতী পুজোর সময় থেকেই কুল পাকতে শুরু করে,,, তাই এর আগে কুল খেলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । তাই বিজ্ঞানীরা সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে বারণ করে ।

কি বন্ধুরা বুঝতে পারলেন তো এবার? কেন সরস্বতী পুজোর আগে কূল খেতে নিষেধ করা হয়? আশা করি আজকের এই প্রতিবেদনটি দেখে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারলেন। তাহলে এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাবেন নাকি খাবেন না?

আর হ্যাঁ এই ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিন। আর এই ভিডিওটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *