হঠাৎ ইডির আগমন এসএসকেএমএ , কেনো ছুটতে হলো কালীঘাটের কাকুকে!! কিসের এত তাড়াহুরো
অপা – পার্থ অতীত
এখন তদন্তের খাতায় শুধুই সুজয় কৃষ্ণ
ইডির হাত থেকে বাঁচাবে কে !!!
আর কতদিনই বা পালাবে!!
সিনহার নির্দেশ বাঁচবে কে !!
দরকারে তিনি নিজেই করবেন তদারকি !!
হঠাৎ কেনো কাকুর জোকায় গমন ??
চলুন জেনে নিই এই বিষয়ে
হঠাৎই রওনা দিতে হলো এস এস কে এম থেকে ইএসআই হাসপাতাল। সম্প্রতি রাতের বেলা চাদরে মুড়ে এস এস কে এম থেকে জোকা ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে গেলো ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু কেনো? আর সাথে ইডি আধিকারিকই বা কেনো ? কেনোই বা এত তড়িঘড়ি? এ কি রহস্য সমাধানের নতুন কোন মোড়। চলুন জেনে নিই এই বিষয়ে ।
যেখানে যেতে চাই ,,
সেইখানে ইডি সিবিআই, এখন এইরকম অবস্থা নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে ধৃত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র।
অনেক দিন ধরে চলছিল লুকোচুরি খেলা, কিন্তু আর নিস্তার নেই কালীঘাটের কাকুর। লাগাতার চার মাস চেষ্টা চালিয়ে এবার সেই কাজে সফল হলো ইডি। সম্প্রতি ইডি আধিকারিকরা অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসএসকেএমে পৌঁছে যায় । একেবারে আটঘাট বেঁধে রওনা দিয়েছিল ইডি আধিকারীকরা। আর তারপর সেই হাসপাতাল থেকে জোর তৎপরতার সাথে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে আর সেইখানেই সংগ্রহ করা হয় কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা। সূত্রপটে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করা খুব একটা সহজ ছিলো না ইডি আধিকারিকদের কাছে।
নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় জড়িত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র শারিরীক অসুস্থতার প্রমাণ দিয়ে ভর্তি আছেন এসএসকেএম হাসপাতালে । যার ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছে ইডি আধিকারিকরা। কেন না তদন্তের জন্য কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার বার জানান হয়েছে কাকুকে , কিন্তু চার মাস ধরে তার নমুনা সংগ্রহ করতে পারছিল না কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দল, আর যার ফলে তদন্ত করতে বার বার সমস্যায় পড়তে হচ্ছিলো ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর । যদিওবা কাকুর এই অসুস্থতাকে রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছেন , তিনি ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য এমন কাজ করছেন । কিন্তু আর নয় , কোনোভাবেই আর কাকু অসুস্থতার প্রমাণ ঠেকাতে পারলো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের কাছে । তারা নমুনা সংগ্রহের জন্য পৌছে গিয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে আর সেখান থেকেই তাকে জোর তৎপরতার সাথে তুলে নিয়ে এসে প্রায় ১৫ থেকে ২০ রকমের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে । এই ঘটনা থেকে জানা যায়, তদন্তকারী সংস্থা কাকুর একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং সংগ্রহ করেছিল তার উপরে নির্ভর করে ১৫ থেকে ২০ রকমের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যখন যে টোনে কথা বলেছে সেই টোনের ভয়েস মিলিয়ে সংগ্রহ করেছে কণ্ঠস্বরের নমুনা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটাই ,,, যে কাজ চার মাস ধরে হচ্ছিল না সেই অসাধ্য সাধন হলো কিভাবে?? তাহলে কি বিচারপতি অমৃত সিনহার রুদ্ধদ্বার শুনানির পরই কি এই তৎপরতা দেখালো ইডি । আদালতের নির্দেশনামা প্রকাশের পর এই প্রশ্নের উত্তর জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। এই নির্দেশনামায় রীতিমতো সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য, যাকে বলা যায় কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছিল বিচারপতি। নির্দেশ নামায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাত আটটা থেকে শুরু করা হবে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ আর শেষ করতে হবে ঠিক ২ ঘণ্টার মধ্যে। এর সাথে হাসপাতালে সুপারকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি সিনহা। যেখানে স্পষ্ট তো জানানো হয়েছিল ইডি আধিকারিকরা পৌঁছানো মাত্রই সময় নষ্ট না করে সুজয় কৃষ্ণকে তদন্ত আধিকারিকদের হাতে তুলে দিতে হবে। এই সূত্র ধরে উঠে এসেছে ঐদিন বিচারপতি অমৃত সিংহ আদালতে রাত নটা পর্যন্ত ছিলেন। বলা যায় গোটা কার্যকলাপ ছিলো আদালতের চোখের অধীনে।
এই রকম আরো খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন বাংলা হান্টের ভিডিও পেজে ।
Leave a Reply