দূরপাল্লার ট্রেন

দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ার আগে জানুন এই জরুরি নিয়ম! ভারতীয় রেলের এই নিয়ম গুলি না জানলেই মহা বিপদ! ভুল করেও ট্রেন সফরে এই জিনিস নিয়ে উঠলেই খসবে মোটা টাকা! জরিমানা সহ হতে পারে জেল! এখনই জানুন কোন কোন জিনিস নিয়ে ট্রেনে ওঠা রেলের আইন বিরুদ্ধ! এই নিষিদ্ধ জিনিসগুলি নিয়ে ট্রেনে উঠলে রেলযাত্রা বদলে যেতে পারে জেলযাত্রায়!

হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বাইরে বেরোলেই এখন জবুথবু অবস্থা হচ্ছে সকলেরই। তাই এই ঠান্ডার হাত থেকে নিস্তার পেতে আগুন পোহাতে  শুরু করেন। কিন্তু তাই বলে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই ঘুঁটে জ্বালিয়ে আগুন সেঁকার  ঘটনা বোধ হয়  এই প্রথম। সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদাবাদের বাসিন্দা চন্দন কুমার ও দেবেন্দ্র সিংকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন ‘আমরা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়েছিলাম’। তবে অভিযোগে তীর ওই দু’জনের বিরুদ্ধে উঠলেও আশপাশের আরও কয়েকজন যাত্রীও ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আগুনে হাত গরম করতে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের আলীগড়ে নামিয়ে তারপর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দাহ্য পদার্থ নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা আইনত অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে জানা যাক দুরপাল্লার ট্রেনে সফরের আর কোন কোন জিনিস বহন করা আইন বিরুদ্ধে।

এসব জিনিস বহনে নিষেধাজ্ঞা

স্টোভ কিংবা গ্যাস সিলিন্ডারের মতো যে কোনো ধরনের দাহ্য রাসায়নিক দ্রব্যসহ বাজি, অ্যাসিড, চামড়া, দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসপত্র, চর্বি, ঘি ইত্যাদি জিনিস নিয়ে ট্রেনে ওঠা যায় না। কোনো কারণে এই জিনিস গুলি যদি ভেঙে যায় বা ফুটো হয়ে যায় তাহলে তা সহযাত্রীদের অসুবিধার কারণ হতে পারে।

জেল ও জরিমানা উভয়ের বিধান রয়েছে

রেলের আইন বিরুদ্ধ এই জিনিসগুলি নিয়ে কেউ যদি ট্রেনে সফর করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ১৬৪ ধারার অধীনে  ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের  ১০০০ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের জেল  বা উভয়ই হতে পারে।

বহন করার শর্তসাপেক্ষ অনুমতি:

নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী রেলওয়ের ব্রেক ভ্যান বুক করে একটি খালি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যেতে পারেন। ব্রেকভ্যান হল ট্রেনের এমন একটি কোচ যেখানে যাত্রীরা বুক করা লাগেজ নিরাপদে বহন করতে পারেন। রেলের নিয়ম অনুযায়ী ২০ কেজি পর্যন্ত ঘি বহন করা যায়।

ট্রেনে আর কী কী জিনিস নিয়ে ওঠা যাবে না?

চারপেয়ে পোষ্যদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করার নিয়ম নেই। তবে পোষ্যদের জন্য আলাদা টিকিট কেটে  তাদের ব্রেক-ভ্যানে নিয়ে যাওয়া যাবে। যাত্রীদের সাথে বাণিজ্যিক জিনিসপত্র বহন করাও নিষিদ্ধ। ট্রেনের ভুল করেও কেউ স্কুটার, সাইকেল, বা বাইক নিয়ে উঠবেন না।

আপনি ট্রেনে কী নিতে পারেন?

ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় এমন ট্রাঙ্ক, স্যুটকেস, বা বাক্স  নিতে হবে, যা ১০০ সেমিx ৬০ সেমি x ২৫ সেমিরবেশি হবে না। পোষ্য নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইলে  আলাদা নিয়ম আছে। এছাড়া যাদের এসি প্রথম শ্রেণীর টিকিট আছে তাদের জন্যও  আলাদা নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘোড়া, ছাগল ইত্যাদি যে কোনো পোষ্য সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়া নিষিদ্ধ  হলেও চিকিৎসার জন্য যাত্রীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিতে পারবেন। তার জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনেক সুবিধাও দেওয়া হয়।

অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করা যায়

সাধারণত অন্য কারও  টিকিটে ভ্রমণ করা যায় না। তবে, পরিবার সম্পর্কিত বিভিন্ন নিয়ম আছে এবং পরিবারের যে কোনও অন্য একজন সদস্যের  টিকিটে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে, শর্ট একটাই আপনি যার টিকিটে ভ্রমণ করছেন তার সঙ্গে আপনার রক্তের সম্পর্ক থাকা উচিত। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়  যদি কারও বাবা-মা, ভাইবোন, স্ত্রী বা সন্তানদের নামে  টিকিট থাকে তাহলে তাদের টিকিটে ভ্রমণকরা যেতে পারে। তবে তার জন্য একটি  আলাদা টিকিট দেওয়া হয়।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *