এই ৫ ধরনের ছেলেদের কপালে, প্রেমিকা টেকে না! এদের ভাগ্যে কোনো দিন, গার্লফ্রেন্ড জোটে না! এই ৫ ধরনের ছেলে আসলে কারা? এদের দোষটাই বা কি?

এই ৫ ধরনের ছেলেদের কপালে, প্রেমিকা টেকে না! এদের ভাগ্যে কোনো দিন, গার্লফ্রেন্ড জোটে না! এই ৫ ধরনের ছেলে আসলে কারা? এদের দোষটাই বা কি?

এই ৫ ধরনের ছেলেদের কপালে,
প্রেমিকা টেকে না!

এদের ভাগ্যে কোনো দিন,
গার্লফ্রেন্ড জোটে না!

প্রেমগুরুর অভিশাপ
আর নিজেদের দোষেই
এরা সিঙ্গেল থেকে যায়!

চিরকুমার হয়েই কাটে
এদের গোটা জীবন!

এই ৫ ধরনের ছেলে আসলে কারা?
এদের দোষটাই বা কি?

দেখুন

১, চুপ চাপ থাকা ছেলে – সাধারণত পুরুষ মানুষ মানেই হল, অনেক বেশি কথা বলে। মেয়েদের তুলনায় পুরুষেরা অনেক বেশি চঞ্চল এবং সক্রিয় হয়। নানা ধরনের আড্ডা গল্প গুজবে পুরুষদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়। কিন্তু অনেক ছেলেরা রয়েছেন যারা তুলনামূলক একটু বেশিই চুপচাপ থাকেন। এইসব ছেলেরা কম কথা বলার কারনে মেয়েদের আকর্ষণের কারণ হতে পারেন না। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে মেয়েরা একটু খোলামেলা মনের ছেলেদের অনেক বেশি পছন্দ করেন। অর্থাৎ সাধারণ ভাষায় মেয়েরা ইন্ট্রোভার্ট ছেলেদের থেকেও এক্সট্রোভার্ট ছেলেদের বেশি পছন্দ করেন। অনেক ছেলেদের ধারণা মেয়েদের সামনে কম কথা বললে হয়তো তাদের অনেক বেশি ওজনদার দেখতে লাগবে। এমন ভাবনা থেকে অনেক ছেলেরাই, ওভার স্মার্ট সাজতে গিয়ে মেয়েদের সামনে কম কথা বলার অভিনয় করেন। ছেলেদের উদ্দেশ্যে জানাই, এতে আপনাদের স্মার্ট তো লাগেই না বরং মেয়েদের কাছে বোকা প্রমাণিত হন। তাই আজ থেকে এই ধরনের মিথ্যে মুখোশগুলো ছেড়ে স্বাভাবিকভাবেই মেয়েদের সামনে আসুন। আপনারা স্বাভাবিকভাবে যেরকম কথা বলে থাকেন মেয়েদের সামনেও ঠিক সেভাবেই কথা বলুন।

২, অতি চালাকি – ছেলেদের মধ্যে একাংশ রয়েছে যারা মনে করেন চালাকি করলে প্রেমিকা পটানো যায়। আরে চালাকি করতে গিয়ে ছেলেরা নানা ধরনের ভুল কাজকর্ম করে বসেন। যেমন অনেকেই পছন্দের বান্ধবীকে পটাতে নানা রকম অভিনয় করে থাকেন কিংবা হিরো সাজার চেষ্টা করেন। ছেলেদের জানিয়ে রাখি এই ধরনের অতি চালাকি মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করেনা। এতে আপনার পছন্দের মেয়েটির সামনে আপনার ভাব মূর্তি গড়ার বদলে ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। আপনি যে মানুষটিকে পছন্দ করেন সেই মানুষটি আপনার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে। তাই আপনার কাউকে ভালো লাগলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে আপনার ভালো লাগার কথা জানান। নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়ে বিষয়টিকে জটিল করে তুলবেন না।

৩, সিরিয়াস মেন্টালিটি – বিশেষ কিছু ছেলে রয়েছে, যারা সব বিষয়ে বড্ড সিরিয়াস হয়ে যায়। এই ধরনের ছেলেদের কপালে গার্লফ্রেন্ডের মেয়াদকাল একেবারে কম থাকে। কারণ এরা একটু একগুয়ে এবং জেঠু প্রকৃতির হয়। এরা সহজে ইয়ার্কি ফাজলামো বোঝেনা। গার্লফ্রেন্ডের সামান্য মশকারিতেও এরা চটে লাল হয়ে যায়। ফলে এদের সাথে কোন মেয়েই সম্পর্কে থাকতে চান না কিংবা সম্পর্কে জড়ালেও বেশি দিন টিকতে পারে না।

৪, অতি সত্যবান – এই দশটি কমবেশি অধিকাংশ ছেলেদের মধ্যে রয়েছে। বিভিন্ন বড় বড় সম্পর্ক বিশারদেরা জানিয়েছেন একটি সুসম্পর্কের পেছনে মিথ্যের অনেক ভূমিকা থাকে। যেমন বহু পুরুষ মানুষ তাদের প্রেমিকার কাছে সৎ প্রমাণ হওয়ার জন্য অতীতের সমস্ত কথায় বলে বসেন। আর এখানেই ঘটে বড়সড়ো অঘটন। ছেলেরা সৎ মনে, গার্লফ্রেন্ডের কাছে এক্স গার্ল ফ্রেন্ড কিংবা অতীতের কোন ঘটনা স্বীকার করলেও তাদের গার্লফ্রেন্ডরা সেটা বিশ্বাস করা তো দূর বরং গাল ফুলিয়ে বসে থাকেন। আর এখান থেকেই শুরু হয় ঝামেলা ঝাটির সূত্রপাত। সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, ব্রেকআপ হয়ে যায়। তাই অতি সত্যবান ছেলেরাও বেশি দিন সম্পর্কে টিকতে পারেন না। এজন্য মাঝে মাঝে অনেক অপ্রিয় সত্য এরিয়ে যাওয়াই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

৫, মেয়েদের ঠকানো – অনেক ছেলেরা প্রেম কিংবা ভালোবাসার সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। তাদের কাছে কোনও মেয়ের মন জয় করা মানেই হল, তারা গোটা বিশ্বের মালিক। এ ধরনের ছেলেরা ঘন ঘন প্রেমিকা পাল্টায়। এরা একসঙ্গে একাধিক প্রেমে যুক্ত থাকে। ফলস্বরূপ এদের মধ্যে আত্মমর্যাদা কিংবা প্রেমিক সুলভ কোন গুণাবলী থাকে না। এদের উপর প্রেমগুরু সর্বদাই নারাজ থাকে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *