লাক্ষাদ্বীপ

মালদ্বীপকে দশ গোল দেবে লাক্ষাদ্বীপের এই বিখ্যাত দ্বীপপুঞ্জ! স্বর্গের চেয়েও সুন্দর, লাক্ষাদ্বীপের এই ৫ দ্বীপপুঞ্জ! লাক্ষাদ্বীপের এই জায়গা গুলি টেক্কা দেবে বিদেশি লোকেশনকেও। সোশ্যাল মিডিয়ায়  ট্রেন্ডিং #boycottmaldives আর #lakshadweeptourism. তাই মালদ্বীপ ছাড়ুন সস্তায় ঘুরে আসুন লাক্ষাদ্বীপের এই ৫ টি দ্বীপ থেকে!

গত সপ্তাহেই লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের এক গুচ্ছ ছবি শেয়ার করে ভারতীয়দের আহ্বান জানিয়েছিলেন, বিদেশে ভ্রমণের বদলে লাক্ষাদ্বীপ ঘুরে দেখার জন্য। আর তাতেই একেবারে টেলি বেগুনে জ্বলে ওঠে পাশের বন্ধু দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের কয়েকজন সরকারি কর্তা। আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নানান আপত্তিকর মন্তব্য করার পাশাপাশি তাদের অভিযোগ ছিল মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় পর্যটকদের নজর ঘোরাতেই নাকি লাক্ষাদ্বীপকে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।

যা নিয়ে এখন তুঙ্গে লাক্ষাদ্বীপ ভার্সেস মালদ্বীপ চর্চা। যার জেরে এখন বহু ভারতীয়য় মালদ্বীপ যাত্রা বাতিল করে ছুটছেন লাক্ষা দ্বীপ ভ্রমণে।  এই দলে রয়েছেন বলিউডের একাধিক সুপারস্টার থেকে শুরু করে বহু নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এখন ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে —#boycottmaldives আর #lakshadweeptourism. তাই এবার এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েই যদি আপনাদেরও লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকে তাহলে দেখে নিন লাক্ষাদ্বীপের কোন কোন জায়গা গুলি টেক্কা দেবে বিদেশি লোকেশনকেও।

এখন অ্যাডভেঞ্চার লাভার প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বাজেট ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন হল লাক্ষাদ্বীপ। প্রায় ৩২ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে ৩৬টি ছোট ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয় লাক্ষাদ্বীপ। লাক্ষা, আমিনদিভি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গড়ে উঠেছে লাক্ষাদ্বীপ। তবে লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করতে গেলে  লাক্ষাদ্বীপ পর্যটন বিভাগ থেকে স্পেশাল পারমিট নিতে হবে। লাক্ষাদ্বীপ বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়  অক্টোবর থেকে মার্চ। ৫-৬ দিনের ছুটিতে অনায়াসেই ঘুরে আসা যায় লাক্ষাদ্বীপ।

আগাত্তি দ্বীপপুঞ্জ: লাক্ষাদ্বীপের গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার বলা হয় আগাত্তি দ্বীপপুঞ্জকে। বিশ্বের  সুন্দর লেগুনগুলোর মধ্যে অন্যতম এই আগাত্তি দ্বীপপুঞ্জ। এখানকার সুন্দর সমুদ্র সৈকত আর মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনায়াসেই দশ গোল দেবে মালদ্বীপকে। লক্ষাদ্বীপ থেকে আগাতি দ্বীপ যাওয়ার জন্য একাধিক নৌকো পাওয়া যাবে। এখানে সুইমিং, স্নরকেলিং, কায়াকিংয়ের মতো একাধিক ওয়াটার স্পোর্ট‌স করার-ও সুযোগ রয়েছে।

বাঙ্গারাম দ্বীপপুঞ্জ: লাক্ষাদ্বীপের এই দ্বীপপুঞ্জটি অশ্রুবিন্দুর মতো দেখতে। অত্যন্ত শান্ত নিরিবিলি এই দ্বীপপুঞ্জটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই দ্বীপে বিপুল সংখ্যায় রয়েছে নারকেল গাছ। পর্যটকরা এখানে ডলফিন, কচ্ছপ, ব্যাঙ এবং মাছ দেখতে আসেন। বাঙ্গারাম দ্বীপ লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র দ্বীপ যেখানে কোনও জনবসতি নেই। আগাত্তির খুব কাছেই অবস্থিত এই দ্বীপের মূল আকর্ষণ ফসফোরেসেন্ট প্লাঙ্কটন। প্রবাল বালির কারণে এই সমুদ্র সৈকত রাতে নীলাভ হয়ে ওঠে। পর্যটকরা এখানে এশিয়ান ডলফিন, ফ্রগফিশ, অক্টোপাস, কচ্ছপ, ব্যাঙ এবং মাছ দেখতে আসেন।

কাভারাত্তি দ্বীপপুঞ্জ: পর্যটকদের কাছে দারুন জনপ্রিয় এই লেগুনটি লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনিক রাজধানী। উন্নত এই দ্বীপটি  সবুজে ঘেরা।এখানকার স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে উদ্র মসজিদ দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এই দ্বীপে রয়েছে মারিন অ্যাকোরিয়ামও। যাতে মাছের সুন্দর সুন্দর প্রজাতি খেলে বেড়ায়। এই দ্বীপটি নীল জল এবং বালি দিয়ে ঘেরা।

মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ: এই জায়গাটি  কাভারাত্তি দ্বীপ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মিনিকয় লাক্ষাদ্বীপের অন্যতম বড় লেগুন। এখানে ১১টি গ্রামের ক্লাস্টার রয়েছে যা আভাহ নামে পরিচিত। এটি মালদ্বীপের খুব কাছেই অবস্থিত।  এখানে বিশেষ অবসরে লাওয়া নৃত্য হয়। এখানে টুনা মাছের শিকার এবং নৌকা ভ্রমণের দারুন সুযোগ রয়েছে।

কদমন দ্বীপপুঞ্জ: পর্যটকদের  পছন্দের তালিকায় থাকা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দ্বীপপুঞ্জ হল কদমন। কারণ এখানকার সমুদ্র বহু দূর পর্যন্ত একই রকম গভীর। এটি এমনই একটি  দ্বীপ যেখানে পূর্ব-পশ্চিমে লেগুন রয়েছে। এখানে ওয়াটার স্পোর্টস করার-ও দুর্দান্ত সুযোগ পাওয়া যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *