দিনরাত ইনস্টাগ্রামে রিলস বানাতেন স্ত্রী! স্বামী বারণ করায়, ঘটালেন মর্মান্তিক কান্ড! শুনলে আর কখনও রিলস বানানোর নামই নেবেন না! ভয়ে রিলসই আনইনস্টল করে দেবেন!

দিনরাত ইনস্টাগ্রামে রিলস বানাতেন স্ত্রী! স্বামী বারণ করায়, ঘটালেন মর্মান্তিক কান্ড! শুনলে আর কখনও রিলস বানানোর নামই নেবেন না! ভয়ে রিলসই আনইনস্টল করে দেবেন!

দিনরাত ইনস্টাগ্রামে
রিলস বানাতেন স্ত্রী!

সারাদিন ঠোঁট নেড়ে নেড়ে
শুধু রিলস আর রিলস!

না রান্না করতেন,
না বাচ্চাকে খেতে দিতেন!

স্বামী বারণ করায়,
ঘটালেন মর্মান্তিক কান্ড!

শুনলে আর কোনদিনও
রিলস বানানোর নাম নেবেন না!

ভয়ে রিলসই আনইনস্টল
করে দেবেন!

দেখুন

রাত শেষে সকাল হলেও টের পেতেন না বিহারের এই গৃহিণী। কারণ তিনি দিন রাত নেশা করতেন। নিজেকে নেশায় ব্যস্ত রাখতেন। তবে এই নেশা বিড়ি কিংবা সিগারেটের নেশা ছিল না। এই নেশা রিলসের নেশা ছিল। আজ্ঞে হ্যাঁ বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। এই মহিলা রিলসের এতটাই ভয়ঙ্কর নেশা করতেন যে,,, তিনি রান্না বান্না থেকে শুরু করে বাড়ির লোকজনদের খাওয়ানোর কথা পর্যন্ত ভুলে যেতেন। এমনকি কখনো কখনো তিনি তার স্বামীকে পর্যন্ত ভুলে যেতেন। একটি বাড়ির গৃহিনী হিসেবে, একজন স্ত্রী হিসেবে, একজন মা হিসেবে তিনি যে দায়বদ্ধ সেটাই মহিলা ভুলে গিয়েছিলেন। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ না করেই এই মহিলা রিলস বানানো শুরু করতেন। তারপর ভোর পর্যন্ত চলত রিলস বানানো। সারাক্ষণ সেজে গুজে রিলস বানানোই ছিল মহিলার প্রধান কাজ। শুধুমাত্র রিলস বানানোর জন্য স্বামীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করে নতুন নতুন পোশাকও কিনতেন। বাচ্চাদের দেখা শোনা পর্যন্ত করতেন না।

এ নিয়ে দিনরাত অশান্তি লেগে থাকতো মহিলার সংসারে। শশুর শাশুড়ি থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই তাকে রিলস বানাতে বারণ করতেন। এমনকি ওই মহিলার স্বামী মহেশ্বর কুমার বাবু নিজেও বহুবার স্ত্রীকে রিলস বানাতে বারণ করেছেন। কিন্তু স্বামীর কোনও কথাই শুনতে না এই মহিলা। বরং স্বামীর উপর ছোট পাট দেখাতেন। স্ত্রীর এই সমস্ত বার বাড়ন্ত সহ্য করতে না পেরে,, শেষমেষ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর নামে নালিশ দিয়ে আসেন বিহারের মহেশ্বর কুমার বাবু। কিন্তু স্ত্রীর নামে নালিশ দেওয়ার পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হয়ত তিনি স্বপ্নেও কখনো ভাবেননি। ঘটনার সূত্রপাত মহেশ্বর কুমার বাবুর শ্বশুরবাড়িতে। তিনি তার স্ত্রীর রিলস বনানোর ভয়ংকর নেশা নিয়ে নালিশ করতে যান শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি তার শশুর শাশুড়িকে জানান তাদের মেয়ে ভয়ানক ভাবে রিলসে আসক্ত। সারাক্ষণ রিলসের মধ্যেই ডুবে থাকেন তাদের কন্যা। মহেশ্বর কুমারের এই সমস্ত কথা মানতে নারাজ ছিলেন তার শ্বশুর-শাশুড়ি। এখান থেকে শুরু হয় দুপক্ষের হাতাহাতি এবং কথা কাটাকাটি। তাদের বক্তব্য তাদের মেয়ে রিয়েলস বানাবে এতে তাকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। এদিকে শ্বশুর-শাশুড়ির এহেন বক্তব্য কিছুতেই মানতে পারছিলেন না মহেশ্বর কুমার। এক পর্যায়ে জামাই মহেশ্বরকে পরপারে পাঠিয়ে দেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। কি ভয়ঙ্কর ঘটনা বলুন তো! রিলসের জন্য একটি মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে! এ কোন সমাজে বসবাস করছি আমরা? যান্ত্রিক সভ্যতার আশীর্বাদের বদলে অভিশাপে ছারখার হচ্ছে আমাদের প্রজন্ম! কবে বন্ধ হবে এই রিলসের কাল্পনিক দুনিয়ার দাপাদাপি? মানুষ কবে বুঝবে রিলস কেবল সাময়িক আনন্দ মাত্র! ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বিহার জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *