কোন সাহসে মোদীকে অপমান? কে দিল এত বড় স্পর্ধা? মোদীর অপমানের বদলা নিতে মাঠে নামলো গোটা বলিউড!

কোন সাহসে মোদীকে অপমান? কে দিল এত বড় স্পর্ধা? মোদীর অপমানের বদলা নিতে মাঠে নামলো গোটা বলিউড!

কোন সাহসে
মোদীকে অপমান?

কে দিল এত বড়
স্পর্ধা?

মোদীর অপমানের বদলা নিতে মাঠে নামলো গোটা বলিউড!

ক্ষেপে আগুন
অক্ষয় কুমার থেকে শচীন টেন্ডুলকার!

দিলেন সাংঘাতিক
হুশিয়ারি!

ভয়ে পালাবার পথ পাচ্ছে না
মালদ্বীপ!

না আর কোনো ছাড় নয় , প্রধানমন্ত্রীকে অপমান এত স্পর্ধা !!!! বলিউড থেকে টলিউড সকলে ক্ষেপে বোম । প্রধানমন্ত্রীর অপমান মানে দেশের অপমান এটাতো মুখ বুঝে সহ্য করা যায় না । তাই এই অপমানের জবাব দিতে গোটা বলিউড আজ এক । ইংলিশে একটি কথা আছে টিট ফর ট্যাট। অর্থাৎ ইট ছুঁড়লে পাটকেল তো খেতেই হবে । তাই যেমন নমোকে অপমান করা হয়েছে সেজন্য মালদ্বীপকে ভুগতে হবে । আর সেই জবাব দিতেই উঠে পরে লেগেছে ভারতীয়রা ।

ভারত ও ভারত সরকারের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য রীতিমত বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে ছোট্ট দেশ মালদ্বীপকে । মালদ্বীপের ঘাড় মুটকে অপমানের জবাব দিয়েছে বলিউড থেকে টলিউড, এমনকি ক্রিকেট তারকারাও, সাথে তো রয়েছে সাধারণ মানুষেরা। তালিকায় রয়েছেন সালমান খান থেকে অক্ষয় কুমার সারা আলি খান থেকে শ্রদ্ধা কাপুর, বাদ যাননি কঙ্গনা রানাওয়াত, জাহ্নবী কাপুর এমনকি ক্রিকেট দুনিয়ার শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে হার্দিক পান্ডিয়া, টলিউডের সন্দীপ্তা সেন থেকে শুরু করে অদ্রিজা কেউই হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। সমাজ মাধ্যমে বয়কট শুরু করেছেন সকলে। সকলেই ভারত ও ভারত সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারের বক্তব্য, “ভারতে প্রচুর উপকূল ও দ্বীপগুলি রয়েছে যেগুলি আমাদের কাছে আশীর্বাদ। ‘অতিথি দেব ভব’ নীতি নিয়ে অনেক জায়গা ঘুরে দেখার মতো রয়েছে।”
অক্ষয় কুমার তার এক্স – এ লিখেছেন, “ভারতীয়দের নিয়ে ঘৃণামূলক এবং বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন মলদ্বীপের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তি। এটা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি যে দেশ থেকে মলদ্বীপে সব থেকে বেশি পর্যটক যায়, সেই দেশের বিরুদ্ধেই এমন মন্তব্য করা হল। আমি বহুবার সে দেশে গেছি এবং তাদের প্রশংসা করেছি। আসুন আমরা নিজেদের দেশের দ্বীপগুলি ঘুরে দেখি।” এই রকম আরো তারকাদের নানান বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । এমনকি দেখা যাচ্ছে অনেকেই আগে থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং বাতিল করার স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে #BoycottMaldives ।

এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে,, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ থেকে ঘুরে এসে সেখানকার কিছু টুকরো স্মৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং সকল ভারতীয়কে ওই জায়গাটি ঘুরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর সেই পোস্ট দেখে রীতিমতো হিংসার চোটে মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজ়ুম মাজিদ কুরুচিকর মন্তব্য করেন মোদীজিকে । তারা মোদি সরকারকে জোকার পর্যন্ত বলে মন্তব্য করেন। এমনকি ভারতীয় সংস্কৃতিকেও অপমান করতে ছাড়েনি তারা , ভারতীয়দের নোংরা বলে কটাক্ষ করেন তারা । যার ফলে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে সমাজ মাধ্যমে। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেক নেটিজেনরা বলছেন, লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট-ভিসা কিছু লাগে না, তারপরও অনেকে গাদা গাদা টাকা খরচা করে মালদ্বীপে ঘুরতে যান । কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই দেশের সরকার ভারত সরকার এবং ভারতীয়দের ঘৃণা করছে , তাহলে সেই দেশে কেন যাব? তাহলে যাওয়ার হলে ভারতের লুকানো রত্ন লাক্ষাদ্বীপ আছে সেইখানেই যাবো ।

এই ঘটনার পর হয়তো বাটি হাতে নিয়ে বসতে হতে পারে মালদ্বীপবাসীদের। কেননা যে দেশ থেকেই সব থেকে বেশি পর্যটকরা যায় মালদ্বীপে সেই দেশকে এবং দেশের সরকারকে যখন অপমান করতে ছাড়লো না মালদ্বীপ , সেই দেশে যাওয়া তো দূরে থাক নাম নিতে দুবার ভাববে ভারতীয়রা।।

এরকম আরো খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন বাংলা হান্টের ভিডিও পেজে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *