জানেন কেমন দেখতে রামলালা কে । মুর্তি দেখলে তাকিয়ে থাকবেন । মনে জাগবে অপার ভক্তি ।

জানেন কেমন দেখতে রামলালা কে । মুর্তি দেখলে তাকিয়ে থাকবেন । মনে জাগবে অপার ভক্তি ।

মুর্তি দেখলে চমকাবে ভক্তরা!!
মনে জাগবে অপার ভক্তি

থাকবে চোখ ধাঁধানো কারুকার্য
হার মানবে যেকোনো মন্দির
মন্দির দর্শনে দেখতে পাবেন গোটা ভারতকে

লাইন পড়বে হাজারো মানুষের
মুখে মুখে উচ্চারিত হবে জয় শ্রী রাম ধ্বনি

কি দিয়ে তৈরি এই মুর্তি!!!
চলুন দেখে নিই একবার —–

রাম মন্দিরকে ঘিরে অযোধ্যায় সাজো সাজো রব । শুধু অযোধ্যায় নয় রাম মন্দিরকে ঘিরে গোটা ভারতবাসীর মনে সৃষ্টি হয়েছে চরম উত্তেজনা। আর মাত্র কয়েকটা দিন , তারপরই অপেক্ষার অবসান। কিন্তু এর মধ্যে জানা গিয়েছে , রাম মূর্তি তৈরীতে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে । একেতে রাম মন্দিরকে ভক্তদের হাজারও প্রশ্ন তৈরী হয়েছে । এখন এই খবর শোনার পর ভক্তদের মনে একাধিক প্রশ্নের সঞ্চার ঘটেছে। রামলালাকে দেখতে কেমন হয়েছে ? রাম মুর্তি তৈরী হচ্ছে কি দিয়েছে ? কেনো রাম মূর্তি তৈরীর জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হলো ? এই রাম মূর্তির বিশেষত্ব কি ?? হাজারও প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটেছে ভক্তদের মনে।
এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মন্দিরের সম্পাদক চম্পত রাই। সম্পাদক জানিয়েছেন ,রাম মন্দিরের রাম লালার মুর্তি খোদাই করেছেন কর্ণাটকের বিখ্যাত শিল্পী ভাস্কার অরুণ যোগীরাজ। রাম মূর্তি তৈরি হয়েছে গাঢ় রঙের গ্রানাইট পাথর দিয়ে। এই রাম মূর্তির ওজন ১.৫ টন । মূর্তির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হলো ৫১ ইঞ্চি। এছাড়াও তিনি এই মূর্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে জনিয়েছেন, এই মূর্তিতে রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর দেবত্ব ও রাজপুত্রের মতো তেজ । মুখের আদলে ফুটে উঠেছে ৫ বছরের নিষ্পাপ শিশুর চিত্র। মূর্তিকে নির্বাচন করা হয়েছে স্নিগ্ধতা, হাসি, সারল্য , চোখ , শরীরের গঠন দেখে । মূর্তির মুকুটে তৈরী আছে সূক্ষ কারুকার্য , যা একবারে চোখ ধাঁধানো। মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক আরও জানিয়েছেন , শ্রী রামের তৈরী মূর্তির দৈর্ঘ্য ও স্থাপনের উচ্চতা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তৈরী হয়েছে । যদিবা এর পিছনের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, প্রতি বছর রাম নবমীতে স্বয়ং সূর্য দেবতা অভিষেক দিতে পারেন অর্থাৎ প্রতি বছর রাম নবমীতে ঠিক ১২ টায় সূর্যের কিরণ মহাপ্রভু রামের কপালে এসে পড়ে তাহলেই হবে অভিষেক,,,,,,,, তার জন্য এই পরামর্শ নেওয়া । অনেকের মনে একটা প্রশ্ন ছিল এই মূর্তির বিশেষত্ব কি ? তিনি এই বিষয়েও সদুত্তর দিয়েছেন,, বলেছেন এই মূর্তিতে জল, দুধ অর্পন করলে কোনো ক্ষতি হবে না । এমনকি সেই দুধ বা জল চরণামৃত হিসেবে পান করলেও মানব দেহের জন্য কোনো ক্ষতি হবে না।
এই সূত্রে ধরেই উঠে এসেছে আরো অনেক তথ্য , ১৬ ই জানুয়ারি থেকে শুভারোম্ভ ঘটবে প্রতিমা পুজো করার এবং ১৮ ই জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হবেন এই মূর্তির । আপাতত গর্ভগৃহে কেবলমাত্র রামের মুর্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এই মন্দির সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে প্রথম তলে লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। মন্দির চত্বরে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, নিষাদ রাজ, মাতা শবরী, দেবী অহল্যার মন্দির। এক কথায় বলা যায় ৩০০ বছরে গোটা ভারতে এমন মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি যা হচ্ছে অযোধ্যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *