রাম মন্দিরের পাশেই জমি কিনতে চান? জানেন এখন অযোধ্যায় ১ কাঠা জমির দাম কত? অযোধ্যায় এক চিলতে জমি থাকলেই আপনিও হয়ে যাবেন কোটিপতি! আগামীদিনে কীভাবে লাভবান হবে মন্দিরনগরীর প্রতিটি কোণা কোণা?
চায়ের ঠেক থেকে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা টিভি চ্যানেল সব জায়গাতেই এখন রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভ গৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে উন্মাদনায় ভাসছে গোটা দেশ। সেই সাথে বদলে যাচ্ছে গোটা রাজ্যের অর্থনীতি।
ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যা। তাই রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর আগামী দিনে এই রাম জন্মভূমিই ধর্মীয় পর্যটকদের কাছে ‘হটস্পট’-এ পরিণত হতে চলেছে। তাই রাম মন্দিরের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে হু হু করে বাড়ছে অযোধ্যায় জমির দাম। জানলে অবাক হবেন রাম-মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগে পর্যন্ত অযোধ্যায় ১ কাঠা জমির দাম ছিল বড়জোর ২ লাখ টাকা। এখন সেই ১ কাঠা জমির দাম বেড়ে হয়েছে ১ কোটি টাকা। আর মন্দিরের কাছাকাছি হলে সেই জমির দাম হবে ২ কোটি টাকা।
কাজে বোঝাই যাচ্ছে রাম মন্দির তৈরির পর অযোধ্যায় জমির দাম কমপক্ষে চার গুণ বেড়েছে। আর মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে শুধু মাত্র মন্দিরের আশেপাশে দোকানপাট-ই নয়, বরং লাভবান হবে শহরের প্রতিটা কোণই। অযোধ্যা উত্তর প্রদেশের খুবই ছোট একটা শহর। এখানকার জনসংখ্যা ৮০ হাজারেরও কম। তবে রামমন্দির তৈরী হতেই এই ছোট্ট শহরটাই এখন সরকারি ও বেসরকারি যাবতীয় লগ্নির গন্তব্য।
সম্প্রতি একটি ট্রাভেল সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে , ইদানিং ধর্মীয় স্থানে যাঁরা বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাই বোঝাই যাচ্ছে শুধু প্রবীণরাই নয় ধর্মীয় স্থানে যাচ্ছেন নবীনরাও। তাই রামমন্দির তৈরি হয়ে গেলে গোটা পৃথিবীর ধর্মীয় পর্যটন মানচিত্রে চলে আসবে অযোধ্যা।
তাই লাভের আশায় বেসরকারি সংস্থাগুলিও বিপুল লগ্নি করছে। তাই অযোধ্যায় ফুড চেন থেকে মুদি সামগ্রী, ভোগপণ্য থেকে কনজিউমার গুডস, এফএমসিজি পণ্যের বিক্রি ও উৎপাদন বাড়ছে। তাই অনেক ব্যবসায়ীই এখন অযোধ্যায় কারখানা খুলতে চাইছেন। আবার সুযোগ না পেলে অযোধ্যায় ডিস্ট্রিবিউশন বাড়াতে বেশি পরিমানে টাকা ঢালছে।
পরিসংখ্যান বলছে , ২০২৩ সালে বাইরে থেকে অযোধ্যায় গিয়েছেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। যা মন্দির তৈরির পর বেড়ে হবে প্রায় ১০ কোটি। যার ফলে বছরে ব্যবসার অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাই পর্যটকদের হাত ধরেই বাড়বে ব্যবসাও। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা নগরী চেয়ে গিয়েছে নানারকম আউটলেটে। ব্যবসার সাথেই কয়েক গুণ বাড়বে অযোধ্যা নগরীর স্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যাও।
অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে প্রায় ১২টা বড় হোটেল। এক্ষত্রে বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি আসছে সরকারি লগ্নিও। উত্তরপ্রদেশ সরকার-ও রাস্তা তৈরি এবং শহর সংস্কারের পিছনে ঢেলেছে কয়েকশো কোটি টাকা। মন্দির উদ্বোধনের দিনই প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যার জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকার ট্যুরিজম প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন।পরিকল্পনা রয়েছে মন্ডি নগরীর পাশে ১২০০ একর জমিতে টাউনশিপ তৈরি করার। এক্ষেত্রে খরচ হবে ২ হাজার কোটি টাকা।
Leave a Reply