অবসর পেনশন

অবসর জীবন নিয়ে চিন্তিত? সরকারি চাকরি না করেও কিভাবে সুনিশ্চিত অবসর জীবন পাওয়া যায় জানেন? বেসরকারি কর্মীরাও মাস গেলে পাবেন কড়কড়ে  ৭৬ হাজার টাকার পেনশন! ভাবছেন  কিভাবে সম্ভব? জানুন অবসর জীবন সুরক্ষিত করার কিছু সহজ টিপস।

এখনকার দিনে সরকারি চাকরি পাওয়া নাকি হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। তাই বাধ্য হয়ে বেশিরভাগ মানুষই এখন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।  কিন্তু সরকারি চাকরিতে একজন কর্মচারী আজীবন যে ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন বেসরকারি চাকরিতে সেই সমস্ত সুবিধা প্রায় কল্পনার-ও অতীত। বিশেষ করে সরকারি চাকরি জীবীদের অবসর জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে কোনও  টেনশন থাকে না।

কিন্তু বেসরকারি কর্মীদের সেই সুবিধা থাকে না। তাই বেসরকারি প্রতিষ্টানে যারা চাকরি করেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের বিকল্প আয়ের পথ খোঁজা উচিত। তবে এ কথাও ঠিক বৃদ্ধ  বয়সে মানুষ নানা ধরনের সমস্যায় ভোগেন। তাই এই সময় কারও পক্ষেই কাজ করা সম্ভব নয়।এই কারণেই  অবসর জীবনকে সুরক্ষিত এবং সুনিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে সঠিক উপায় হল বিনিয়োগ করা। তাই প্রত্যেক মাসেই অর্থ উপার্জনের সাথে সাথে অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা দরকার।

 

তাই জেনে রাখা প্রয়োজন সরকারি চাকরি না করেও প্রতি  মাসে কিভাবে ৭৬ হাজার টাকা পেনশন পাওয়া সম্ভব। কোনো  বেসরকারি কর্মী যদি  অবসর জীবনে পেনশন পেতে চান তাহলে  মাসিক আয়ের  কিছু অংশ ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এর অধীনে পরিচালিত। অবসর জীবনে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে লাভজনক ও সুরক্ষিত।

অনেকেই ৪০ বছর বয়সের পর টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবেন। কিন্তু এতে  অবসর জীবনের পর বেশি টাকা জমানো যায় না। তাই চাকরি জীবনে প্রবেশের শুরুতেই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা উচিত।

ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বিনিয়োগের তিনটি ভাগ রয়েছে-ইক্যুইটি, কর্পোরেট ডেট, গভর্ন্যান্স বন্ড এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। এখানে এক্টিভ এবং অটো চয়েস এই দুভাবে বিনিয়োগ করা যায়। কোনো বেসরকারি কর্মী যদি অবসরের পর প্রতিমাসে ৭৬ হাজার টাকা পেনশন পেতে চান তাহলে তাঁর ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্টে মোট ৩.৮ কোটি টাকা থাকতে হবে।

আর তার জন্য ২৫ বছর বয়স থেকেই  প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে ৬০ বছর পূর্ণ হলে প্রতিমাসে ৭৬ হাজার ৫৬৬ টাকা পেনশন পাবেন। তবে এখানে বিনিয়োগ করার আগে মনে রাখতে হবে একসঙ্গে পুরো টাকা তোলা যাবে না। এক্ষেত্রে মূল রাশির ৪০% কোনো জীবন বিমাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

 

এছাড়াও অবসর জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের দেশে সরকারি এবং  বেসরকারি সংস্থার  একাধিক স্কিম আছে। সেক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ড, ইপিএফ, পোস্ট অফিস কিংবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে টাকার পরিমান বেশি  হলে একটি ব্যাংকে বা একটি স্কিমে টাকা বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন স্কিমে বা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা বিনিয়োগ করা বেশি সুবিধাজনক।

সেইসাথে মনে রাখতে হবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। তাই অবসর জীবনকে সুরক্ষিত করতে স্বাস্থ্য বীমা করা থাকলে বয়সকালে শরীর খারাপের সময় খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *