ক্যান্সার থেকে রেহাই পেতে চান? মারণ রোগের থাবা থেকে বাঁচতে চান? তাহলে রোজ করুন এই ৮টি কাজ, মাত্র ২০ মিনিটে কমে যাবে ক্যান্সারের ৯০% ঝুঁকি!

ক্যান্সার থেকে রেহাই পেতে চান? মারণ রোগের থাবা থেকে বাঁচতে চান? তাহলে রোজ করুন এই ৮টি কাজ, মাত্র ২০ মিনিটে কমে যাবে ক্যান্সারের ৯০% ঝুঁকি!

ক্যান্সার থেকে রেহাই
পেতে চান?

মারণ রোগের থাবা থেকে
বাঁচতে চান?

তাহলে রোজ করুন
এই ৮টি কাজ!

মাত্র ২০ মিনিটে কমে যাবে
ক্যান্সারের ৯০% ঝুঁকি!

ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না
ক্যান্সার!

বাপ বাপ করে পালাবে
দুরারোগ্য ব্যাধির ছোবল!

দেখে নিন
এই ৮টি কাজ কি কি

যদি মেনে চলেন এই আটটি নিয়ম তাহলে ক্যান্সার আপনাকে ছুঁতেও পারবে না। ক্যান্সারের মতো এই ভয়ানক ব্যাধিকে ভয়ও পেতে হবে না । এই আটটি নিয়ম মেনে চললে ক্যান্সার আপনার কাছে আসা তো দূরের কথা আপনার ছায়াও দেখবে না ।

কিন্তু কি এই আটটি নিয়ম চলুন জেনে নিই

নিজের অজান্তেই নিজের শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যান্সার। এই মরণব্যাধি ক্যান্সারের নাম শুনে আঁতকে ওঠে সকলেই। কারণ মরণব্যাধি এই ক্যান্সারের শেষটা গিয়ে ঠেকে মৃত্যুর দরজায় । অনেকেই মনে করেন ক্যান্সারের সঠিক কোনো চিকিৎসা হয় না। কিন্তু গবেষণায় বলছে ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয় , সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা ৪৫% ।
আমরা সাধারন মানুষেরা শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ না হলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়না । কিন্তু শেষ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তারেরও কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই যদি সতর্ক হয়ে যাই তাহলে ক্যান্সার আপনার শরীরকেও ছুঁতে পারবে না । এখন অনেকেই জিজ্ঞেস করবেন এও কি সম্ভব ? হ্যাঁ সম্ভব যদি এই আটটি উপায় মেনে চলা যায়

কি এই আটটি নিয়ম —–

১. ধুমপান বা তামাকজাত সেবন থেকে দূরে থাকা : ক্যান্সারের সব থেকে বড়ো কারণ হল ধুমপান করা । বিশ্বে যত ধরনের ক্যান্সার আছে তার মধ্যে অধিকাংশ ক্যান্সার হয় ধূমপানের কারণে । ধুমপান বা তামাক সেবন করলে তার প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়ে ফুসফুস, গলা , পাকস্থলী,কিডনি , লিভারের মত অঙ্গ গুলিতে । বিশেষ করে ফুসফুসে ক্ষতি করে ধুমপান । যেকোনো বয়সের লোকেদের জন্য ধুমপান ক্ষতিকর। কারণ এটি তৈরি হয় এমন বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে যা শরীরে গিয়ে শরীরে অর্ধেক অংশ ধ্বংস করে দেয় । গবেষণায় বলেছে, ধুমপান শুধু যে করেই তারই ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয় আশে পাশের লোকেদের শরীরে ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর । তাই এখনি সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত,,,,,, ধুমপান বা তামাকজাত সেবন এড়িয়ে চলা উচিত ।

২. একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন : যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময়ই খাদ্যাভ্যসের দিকে নজর রাখা উচিত । ফাস্টফুড অর্থাৎ বাইরের খাওয়া কম করা । নিয়মিত ফল খাওয়া উচিত , বিশেষ করে কলা , কমলালেবু ইত্যাদি খাওয়া উচিত । পুষ্টিকর শাক সবজি খাওয়া উচিত । অত্যাধিক ক্যালোরি যুক্ত খাবার মোটেও খাওয়া উচিত নয়। সবুজ শাক সবজি প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখবেন । এতে অনেক টাই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যায়। হ্যাঁ অব্যশই এমন কোনো ওষুধ খাবেন না , যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে, এতে হীতে বিপরীত হয় । ডাক্তারী পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয় ।

৩. অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমান কমান: বিজ্ঞানীরা বলছেন , অ্যালকোহল এড়িয়ে চললে নাই নাই করে হলেও ছয় ধরনের ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । অ্যালকোহলে এমন বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা শরীরে দিনের পর দিন গেলে পরবর্তীকালে তা ক্যান্সার ধারণ করে। তাই অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলাই ভালো ।

৪. শরীরে রোদ লাগান : বিজ্ঞানীরা বলেন , যাদের শরীরে ভিটামিন ডি বেশি থাকে তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম । আর সূর্যের রোদ থেকে ভিটামিন ডি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় । তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ১০-১৫ মিনিট শরীরে রোদ লাগালে শরীরে ভিটামিন ডি – এর সঞ্চার হয়, সাথে মেলানিনের ও সঞ্চার হয় । শুধু তাই নয় ভিটামিন ডি এর জন্য নানা ধরণের চর্ম রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় । তবে হ্যাঁ অত্যাধিক পরিমাণ সূর্যের রোদ লাগানো আবার উচিত নয় বিশেষ করে সকাল ১১ টার রোদ এড়িয়ে চলুন। কারণ এই সময়ে সূর্যের তাও বেশি থাকে যার ফলে সূর্য্য থেকে নির্গত হয় অতিবেগুনি রশ্মি, যা আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা থেকে হয় স্কিন ক্যান্সার। তাই আবার অতিরিক্ত সূর্যের তাপ থেকে শরীরকে বাঁচিয়ে চলুন।

৫. নিয়মিত ব্যায়াম করা : শরীরে জন্য অলসতা একেবারে ভালো নয় । তাই যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা যায় তাহলে শরীরের হরমোন প্রবাহ, কোষ বৃদ্ধির হার, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে । কেনো না শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যদি সঠিকভাবে কাজ বা চলাচল না করে তাহলে তা বড়ো রোগের সৃষ্টি করে, সেইটা হয়তো ক্যান্সারও হতে পারে।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: স্বাস্থ্য গবেষকরা বলেন, ওজন সঠিক থাকলে কোনো রোগই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। অনেক সময় দেখা গেছে, অনেক ক্যান্সার রোগীর ক্যান্সার হয়েছে শুধুমাত্র অত্যাধিক ওজনের ফলে । তাই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে গেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।

৭. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া: শরীরে কোনো রকমের খারাপ লক্ষন দেখা দিলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন । যেমন – রক্ত বমি, ঘন ঘন পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষন অনেক দিন যাবৎ চলতে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা উচিত। এই লক্ষন গুলো সাধারণ লক্ষন বলে বেশি দিন ফেলে রাখলে তা অনেক সময় ক্যান্সারেও পরিণত হতে পারে । তাই সময়ের কাজ সময়ে করে নেওয়াই ভালো ।

৮. পারিবারিক কারোর থাকলে অবগত হন : অনেক সময় দেখা যায়, আপনার সব ভালো কিন্তু শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ছে। কিন্তু আপনি ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকেন , সঠিক খাবার খান কিন্তু তাও শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। এর কারণ আপনার যদি পূর্বপুরুষ কারোর ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলেও আপনার শরীরে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই এই বিষয়ে আগে থেকেই অবগত হওয়া দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তারী পরামর্শ নিন ।

এই রকম আরো বিষয় জানতে চোখ রাখুন বাংলা হান্ট ভিডিও পেজে


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *