সরস্বতী পুজোয় ভুলেও এই ৫টি কাজ করবেন না!বাবা-মায়েরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন! নইলে গোল্লায় যাবে আপনার পড়ুয়া সন্তান
সরস্বতী পুজোয় ভুলেও
এই ৫টি কাজ করবেন না!!
বাবা-মায়েরা বিশেষভাবে
সতর্ক থাকবেন!!
আপনাদের মাধ্যমে এই ভুলগুলো
হলেই, সন্তানের বিপদ!
রুষ্ট হবেন মা সরস্বতী!
কমিয়ে দেবে আশীর্বাদ!!
গোল্লায় যাবে আপনার সন্তান!!
ঝটপট দেখে নিন
এই ৫টি ভুল কি কি
সরস্বতী পুজো মানেই পড়ুয়াদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিন সঠিকভাবে মা সরস্বতীর আরাধনা করতে পারলে বিদ্যা ভাগ্য পরিপূর্ন হয়। বাগদেবীর আশীর্বাদে পড়াশুনোর যাবতীয় বাধা বিঘ্ন কেটে যায়। লেখাপড়ায় অনীহা, পড়তে বসলে মন উড়ু উড়ু ভাব, ক্লাসে খারাপ রেজাল্ট এই সমস্ত সমস্যার নিরসন ঘটে। কিন্তু অনেক সময় অভিভাবকেরা, সরস্বতী পূজোয় এমন কিছু ভুল করে ফেলেন যার ফল সন্তানদের ভুগতে হয়। অভিভাবকদের এই সাংঘাতিক ভুলগুলোর কারণে মা সরস্বতী অত্যন্ত রুষ্ট হন। আর তার প্রভাব পড়ুয়াদের উপর গিয়ে পড়ে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে সরস্বতী পুজোর দিন অভিভাবকদের এই পাঁচটি ভুল থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে –
১, সরস্বতী পুজোর প্রদীপ যেন কোনোভাবেই না নেবে- সরস্বতী পুজোর দিন অভিভাবকদের সবথেকে বড় দায়িত্ব পূজার প্রদীপের দিকে লক্ষ্য রাখা। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে মা সরস্বতী জাগ্রত হন। এদিন তার সামনে প্রজ্বলিত প্রদীপ কোনোভাবে নেভানো যাবে না। এতে বাগ দেবী মন ক্ষুণ্ন হন। অনেক অভিভাবকেরা ভুল করে বাতি নিভিয়ে ফেলেন। এই ভুলটি কোনভাবেই করা যাবে না। পারলে সরস্বতী পুজোর দিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন।
২, কালো রঙের পোশাক – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সরস্বতী পুজোর দিন ঘরে ঘরে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। মা সরস্বতীর কৃপায় প্রত্যেক পড়ুয়ার, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়,,, পড়াশোনার প্রতি ভক্তি বাড়ে। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই দিন কালো রঙের পোশাক ভুলেও পড়বেন না। বাসন্তী পঞ্চমী তিথিতে হলুদ রং কিংবা সাদা রঙের পোশাক পড়তে হয়। কিন্তু অনেক অভিভাবক নিয়ম ভেঙ্গে কালো রঙের পোশাক পড়ে ফেলেন। এমনকি তাদের পড়ুয়া সন্তানদেরও কালো রঙের পোশাক পরিয়ে দেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই কাজটি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
৩, সেলাইয়ের কাজ – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সরস্বতী পুজোর দিন কোনও প্রকার সেলাইয়ের কাজ করা যায় না। এদিন সুই সুতোর কাজ করলে মা সরস্বতী রুষ্ট হন। তাই অভিভাবকের অবশ্যই এই ভুলটি থেকে বিরত থাকবেন। নয়তো আপনাদের কারণে আপনাদের পড়ুয়া সন্তানদের উপর মা সরস্বতীর অভিশাপ বর্ষিত হবে।
৪, সরস্বতী পুজোর নৈবেদ্যে কুল দেবেন না – জ্যোতিষ শাস্ত্রে সরস্বতী পুজোর নৈবেদ্যতে কুল দিতে বারণ করা হয়েছে। এদিন পুজোর ভোগ প্রসাদে কুলের ছোঁয়া পেলে মা সরস্বতী অত্যন্ত দুষ্ট হন।
৫, সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ – সনাতন ধর্মে,,, সরস্বতী পুজোর দিন সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। সরস্বতী পুজোর দিন অভিভাবকেরা অবশ্যই নিরামিষ আহার করবেন। সেই সাথে আপনাদের পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্যও নিরামিষ আহার গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেবেন। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে বাড়িতে পেঁয়াজ রসুনের গন্ধ পেলে মা সরস্বতী আশীর্বাদ মেলেনা। তাই প্রত্যেক পড়ুয়ার অভিভাবকেরা সরস্বতী পুজোর দিন যাতে,, এই ভুলগুলো বাড়িতে না ঘটে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
Leave a Reply