পৃথিবীর একটিমাত্র গাছ, যেটি অবিকল মানুষের মতন হাঁটে! যেখানে সেখানে ঘোরাঘুরি করে, এক জায়গায় পুঁতলে অন্য জায়গায় চলে যায়

পৃথিবীর একটিমাত্র গাছ, যেটি অবিকল মানুষের মতন হাঁটে! যেখানে সেখানে ঘোরাঘুরি করে, এক জায়গায় পুঁতলে অন্য জায়গায় চলে যায়

পৃথিবীর একটিমাত্র গাছ,
যেটি অবিকল মানুষের মতন হাঁটে!!

যেখানে সেখানে
ঘোরাঘুরি করে!!

এক জায়গায় পুঁতলে
অন্য জায়গায় চলে যায়!!

নিজের ইচ্ছে মতন
স্থান পরিবর্তন করে!!

রাতের অন্ধকারে
ভয় লাগায়!

বিশ্বের কোন প্রান্তে রয়েছে
এমন গাছ?

কি নাম গাছটির?

ভগবান এই দুনিয়াতে প্রানি ছাড়া আর কাউকেই হাঁটার ক্ষমতা দেননি। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় ভগবান গাছেদেরও হাঁটার ক্ষমতা দিয়েছেন। শুনে হয়তো আপনার একটু বোকা বোকা মনে হবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন পৃথিবীতে এমন একটি গাছ রয়েছে,, যারা আমার আপনার মতই হাঁটাহাঁটি এবং চলাফেরা,,, সেই সঙ্গে স্থান পরিবর্তন করতে পারে।

এই হল সেই গাছ ,,,,, )(((( ছবি দেখাবে ))))))))))))

যেটি আপনি এক জায়গায় পুতলে সেটি কিছুদিন পর অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে। লম্বাটে তাল গাছের মতো দেখতে এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম সক্রেটিয়া একসোরিজা বা ক্যশাপোনা। এটি বিশেষ প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। যা, নিজের ইচ্ছে মতন অর্থাৎ মনের মতন করে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। এই গাছটির একটি পোশাকি নাম রয়েছে সেটি হল ওয়াকিং পাম। গাছটি ভারী অদ্ভুত। আর পাঁচটা সাধারণ গাছ থেকে দেখতেও আলাদা। রহস্যময় এই গাছটির হাঁটাহাঁটি করার পেছনে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই গাছটির উপর গবেষণা করে সেই কারণগুলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে, এই গাছটি যে অঞ্চলে বেড়ে ওঠে সেই অঞ্চলে মাটি, জল ও সূর্যের আলোর পরিমাণ একেবারেই কম। যার ফলে গাছটির শিকড়, মূল, কাণ্ড এগুলো প্রচন্ড পরিমাণে সংবেদনশীল এবং দুর্বল হয়ে থাকে। বিশেষত মাটি কম থাকার কারণে এই ওয়াকিং পাম্প নামক গাছটির শিকড় গুলো মাটি মাটির উপরে চলে আসে। এই শিকড় গুলোকে ঠেসমূল বলা হয়। এই গাছটির শিকড় গুলো দেখতে হাতির দাঁতের মতন হয়ে থাকে। দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন। গবেষণায় বলছে এই গাছটি প্রতিদিন দেড় থেকে দু সেন্টিমিটার করে স্থান পরিবর্তন করে। ধরুন আপনি গাছটিকে একটি জায়গায় লাগিয়েছেন,,, তার ঠিক দুদিন পর গিয়ে দেখবেন গাছটি সেখান থেকে চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার দূরে চলে গিয়েছে। আর এই বিষয়টি মানুষকে বড্ড ভাবিয়ে তোলে। বিশেষ করে যারা এই গাছটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানেন না তারা এই গাছটির স্থান পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেখে ভয় পেয়ে যান। এই কাজগুলো রাতের বেলায় লম্বাটে দৈত্যের মতন দেখায়। তখন এই গাছগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে গাছ ছমছম করে উঠবে।

এ গাছটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলেই দেখা যায়। সেখানকার আদিবাসীরা এই গাছটিকে উনুন জ্বালানোর কাজের ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও গাছটির কাঠ,, জ্বালানি এবং ঘরবাড়ি তৈরি করার কাজেও ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, এই গাছের আরও একটি ক্ষমতা সম্পর্কে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। এই গাছ বড় বড় রোগের ওষুধ তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয়। গোটা বিশ্বজুড়ে মোট ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯০০ প্রজাতির ওয়াকিং পাম্প গাছের সন্ধান মিলেছে। এই গাছের বৈচিত্র এবং বৈশিষ্ট্য দেখে রাষ্ট্র সংঘের তরফ থেকে গাছটিকে অদ্ভুত এবং রহস্যময় গাছ বলে তকমা দেওয়া হয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *