ফিক্সড ডিপোজিটের রিটার্ন

ফিক্সড ডিপোজিট-ই ভরসা! বিনিয়োগকারীদের প্রথম পছন্দ ফিক্সড ডিপোজিট কেন জানেন? জানেন ফিক্সড ডিপোজিটে রিটার্ন বাড়ানোর এই সহজ পদ্ধতি? এই কৌশল জানা থাকলেই বাড়বে ফিক্সড ডিপোজিটের রিটার্ন বাড়বে হু হু করে! এখনই দেখুন ফিক্সড ডিপোজিটে রিটার্ন বাড়ানোর এই সহজ টিপস!

টাকা বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আদর্শ উপায় হল  ফিক্সড ডিপোজিট। তাই কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়েই টাকা বিনিয়োগের জন্য সবাই চোখ বুজে ভরসা রাখেন ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর। এক্ষত্রে  অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই সুদের হার ঠিক হয়ে যায়। তাই মেয়াদ শেষে কে কত রিটার্ন পাবেন সেটা আগে থেকেই জানা যায়। এই কারণেই ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখা অনেক বেশি  নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। তবে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ঠিক থাকলেও বেশ কিছু কৌশল রয়েছে যা জানা থাকলে বাড়বে রিটার্নের পরিমাণ।

 

প্রথাগত ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটের বাইরে:

ইদানিং প্রথাগত ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট ছেড়ে বিনিয়োগ কারীরা ঝুঁকছেন কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিটের দিকেই। কিন্তু কেন? আসলে প্রথাগত ব্যাঙ্ক এফডি-র চেয়ে এক্ষেত্রে সুদের হার ১ থেকে ৪ শতাংশ বেশি। মূলত এনবিএফসি বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিট অফার করে থাকে।

 

ক্রেডিট রেটিং-এর উপর ভিত্তি করে:

ক্রিসিল বা আইসিআরএ ক্রেডিট রেটিং দিয়ে থাকে। যা ফিক্সড ডিপোজিটের নির্ভরযোগ্যতার গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এক্ষেত্রে রেটিং-এর ওপর ফিক্সড ডিপোজিটের  নিরাপত্তা নির্ভর করে। তবে একথাও ঠিক ‘ঝুঁকি বেশি থাকলে রিটার্ন-ও বেশি’। তাই কম রেটের ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি সুদ পাওয়া যায়। তবে বেশি রিটার্ন পাওয়ার  লোভে নিরাপত্তাকে জলাঞ্জলি দেওয়াও কিন্তু মোটেই কোনো কাজের কথা নয়।

 

কিউমুলেটিভ ফিক্সড ডিপোজিট:

ফিক্সড ডিপোজিট থেকে মোটা অংকের রিটার্ন পেতে চাইলে কমপাউন্ডিং চক্রবৃদ্ধি সুদের হার সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কারণ অনেক  সুবিধাও পাওয়া যায়। তাই যে সমস্ত ফিক্সড ডিপোজিটে চক্রবৃদ্ধির হারে সুদ দেওয়া হয়, সেখানে বিনিয়োগ করলে  রিটার্ন-ও বাড়ে।

 

সময়ের আগে এফডি ভাঙালে হবে না, লোন নেওয়া যেতে পারে:

ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা বিনিয়োগ করলে কিন্তু মাথায় রাখতে টাকা ম্যাচিউর হওয়ার আগেএফডি ভাঙা যাবে না। কারণ ওই টকা সহজে ভাঙানো গেলেও তার কোপ গিয়ে পড়ে রিটার্নের ওপর। জরিমানাও দিতে হয়। তাই নিতান্তই টাকার প্রয়োজন হলে সেক্ষত্রে  ফিক্সড ডিপোজিটে ওভার ড্রাফট নেওয়া যেতে পারে। কিছু সংস্থা বিনিয়োগকৃত অর্থের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ওভারড্রাফট হিসেবে দেয়।

 

ল্যাডারিং স্ট্র্যাটেজি:

ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার জন্য ল্যাডারিং স্ট্র্যাটেজি-ও কিন্তু দারুন। এক্ষত্রে সুদের হারকে-ও কাজে লাগানো যায়। তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিভিন্ন মেয়াদে বিনিয়োগ করতে হয়। মেয়াদ শেষ হলে সুদ সমেত সমস্ত টাকাটাই আবার বিনিয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণ  হিসাবে বলা যেতে পারে কেউ যদি ভাবেন ৫ লাখ টাকা পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করবেন। সেক্ষত্রে তিনি যদি পুরো টাকাটাই একসাথে  পাঁচ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট না করে, ল্যাডারিং স্ট্র্যাটেজিতে পাঁচ লাখ টাকাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা মেয়াদে অর্থাৎ ১ লাখ টাকা ১ বছর, ২ লাখ টাকা ২ বছর এবং ৩ লাখ টাকা পাঁচ বছর মেয়াদে বিনিয়োগ করেন তাহলে সেটা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে!

কারণ এইভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে পুরো টাকাটা পাঁচ বছরের জন্য লক ইন পিরিয়ডেও যাবে না, পাশাপাশি  এক বছর পর ১ লাখ টাকার মেয়াদ শেষ হলে, সুদ সহ সেটা আবার  চার বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। একইভাবে ভাবে ২ লাখ টাকাও সুদ সমেত আবার  বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে লিকুইডিটি বজায় থাকছে। আবার সুদ বাড়লে সেই সুদের হারও কাজে লাগানো যাচ্ছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *