জানেন? রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পিছনে নরেন্দ্র মোদীর অবদান ঠিক কতটা? কিভাবে মোদী, রাম মন্দিরের স্বপ্ন পূরণ করলেন?

জানেন? রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পিছনে নরেন্দ্র মোদীর অবদান ঠিক কতটা? কিভাবে মোদী, রাম মন্দিরের স্বপ্ন পূরণ করলেন?

জানেন?

রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পিছনে
নরেন্দ্র মোদীর অবদান ঠিক কতটা?

কিভাবে মোদী, রাম মন্দিরের
স্বপ্ন পূরণ করলেন?

৫ বছরের কঠোর লড়াই,
দফায় দফায় আন্দোলন!
জনতার লাঠির বাড়ি!

মাত্র ৩ মিনিটে দেখুন
রাম মন্দিরের পিছনে মোদীর ভূমিকা

রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত গোটা দেশ। জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ রাম মন্দিরে দরজা খুলে যাবে। তবে যে রাম মন্দিরকে নিয়ে এত উত্তেজনা, এত আনন্দ এই সব কিছুই হত না, যদি নরেন্দ্র মোদী না থাকতেন। আজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন বলেই, গোটা দেশ রাম মন্দিরের উদ্বোধন দেখার সৌভাগ্য পেতে চলেছে। হ্যাঁ, এই কথা সত্য যে, রাম মন্দির আন্দোলনের নেপথ্যে, প্রধান মানুষগুলো ছিলেন বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আডবানি,
মুরালিমনোহর জোশির মতন আরো অনেকেই। তবে নরেন্দ্র মোদী, এদের সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তিনি রাম মন্দিরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন,,, যা না করলে হয়ত, রাম মন্দিরের স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। নরেন্দ্র মোদির ৫টি পদক্ষেপ
রাম মন্দিরকে সত্যে পরিণত করেছে।

দেখে নিন নরেন্দ্র মোদির সেই বিখ্যাত পদক্ষেপ গুলো –

১, মোদীর ভয়ংকর আন্দোলন – অযোধ্যার রাম মন্দিরকে বাস্তবায়িত করার জন্য মোদি মারাত্মক রকমের আন্দোলন করেছিলেন। মোদী ৭০ দশক থেকে আরএসএসের একজন বিশিষ্ট স্বয়ংসেবক ছিলেন। সেই থেকেই তিনি রাম মন্দিরের জন্য বিস্তর আন্দোলন করেছিলেন। তিনি বহুবার বহুভাবে রাম মন্দির নির্মাণকে সফল করার জন্য, ঝান্ডা হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। তার সেই অবদান দেশবাসী চিরকাল মনে রাখবে।

২, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য মোদির ইট সংগ্রহ – আপনাদের হয়তো বিশ্বাস হবে না, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য নরেন্দ্র মোদি ৩৫ বছর ধরে ইট সংগ্রহ করেছেন। তথ্যসূত্রে জানা যায় ১৯৮৯ সালে, নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে রাম মন্দিরের জন্য ইট সংগ্রহ করেছেন। সেই ইট রাম মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩, নরেন্দ্র মোদীর ঝাঁঝালো বক্তৃতা – ২০২৪ সালে রাম মন্দির যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে, এর জন্য নরেন্দ্র মোদীর ঝাঁঝালো বক্তৃতা অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে, জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে রাম মন্দিরের জন্য মোদী বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই সময় মোদির বক্তৃতা শুনে অনেকেই কেঁদে ফেলেছিলেন। মোদির প্রতিটা ভাষণ থেকে শুরু করে বক্তৃতায় অগাধ রামভক্তি এবং রাম প্রীতির লক্ষণ বেরিয়ে আসত। মোদির কথাগুলো শুনলেই বোঝা যেত মোদী কতটা রামপ্রেমে আসক্ত। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৯০ সালে গণ আদালত অযোধ্যা নামে একটি বক্তৃতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে, মোদির একটি ভাষণ অত্যন্ত বিখ্যাত হয়েছিল। সেটি জনমুখে এতটাই প্রচারিত হয়েছিল যে,,, বাধ্য হয়ে মোদির সেই বক্তৃতার একটি ক্যাসেট রেকর্ড করা হয়। এবং সেই ক্যাসেট কেনার জন্য মানুষ দোকানের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো।

৪, দিল্লির ভোট ক্লাবে মোদীর দাদাগিরি – তথ্যসূত্র খবর ১৯৯১ সালে দিল্লির বোট ক্লাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন। সেখানে বিভিন্ন সাধু, সন্ত এবং ভক্তদের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীও উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সভায় নরেন্দ্র মোদী, সব থেকে বেশি নজর কেড়েছিলেন। কারণ সভাটিতে নরেন্দ্র মোদী সনাতন ধর্ম নিয়ে এমন কিছু কথা বলেছিলেন যা উপস্থিত সদস্যদের গায়ে কাঁটা ফুটিয়ে দিয়েছিল। এমনকি ওই সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি হিন্দু ধর্মের ক্ষমতা এবং সম্মানকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বলতে গেলে নিজের ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সৎ ভাবে দাদাগিরি দেখিয়েছিলেন।

৫, রাম মন্দিরের ভূমি পুজো – রাম মন্দির নিয়ে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০২০ সালের ৫ই আগস্ট নরেন্দ্র মোদি সবথেকে বড় মাস্টারস্ট্রোকটি চেলেছিলেন। ঐদিন নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের ভূমি পুজো করে, গোটা বিশ্বের কাছে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সনাতন ধর্মের জয়জয়কার। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে পবিত্র অযোধ্যায়, রাম লালার দেবালয় বানানোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছিলেন। আর আজ রাম মন্দির সফলভাবে নির্মিত হয়েছে এবং জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ রাম মন্দিরের দরজা খুলতে চলেছে।

নরেন্দ্র মোদির এই প্রত্যেকটি পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের পেছনে মোদীর অবদানকে ভুলে যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। রাম মন্দির নির্মাণের সার্থকতার সাথে সাথে মোদির অবদান বারংবার আলোচনায় উঠে আসবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *