রাতে সোয়েটার পরে ঘুমান? শরীর গরম রাখতে গিয়ে নিজের অজান্তেই ডেকে কি ভুল করছেন জানেন! শীতের রাতে সোয়েটার পরে ঘুমানোর ক্ষতি সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? সাবধান! ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ভুলেও করবেন না এই কাজ!
প্রত্যেক বছর শীত পড়তেই আলমারি থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে পুরনো সোয়েটার-চাদর। শীতের দিনের এই সব গরম পোশাকের সাথেই জড়িয়ে থাকে বহু মানুষের পুরনো নস্টালজিয়া । শীতের হাত থেকে বাঁচতে সারাদিন তো বটেই অনেকেই শীতের রাতেও এইসব সোয়েটার-চাদর পরেই ঘুমিয়ে পড়েন। আসলে গা থেকে সোয়েটার নামানোর কথা শুনলেই শীতকাতুরেদের গায়ে জ্বর আসে। অনেকে আবার পায়ে মোজা পরেও ঘুমাতে চলে যান। আর এইভাবেই নিজের অজান্তেই কিন্তু নিজের শরীরের ক্ষতি করে ফেলেন অনেকেই।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো? সেটাই স্বাবাবিক! কিন্তু একথা আমরা বলছি না বলছেন, বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে আমাদের রক্তবাহ সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আর রাতে পশমের পোশাক পরে ঘুমালে তা শরীরকেও উষ্ণ করে তোলে। যা কখনও কখনও লো ব্লাড প্রেসারের কারণ হতে পারে। তবে যদি গরম পোশাক পড়তেই হয় তবে থার্মোকট পরা যেতে পারে।
রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়
রাতে ঘুমানোর সময় গরম উলের পোশাক পরলে শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এতে রক্ত জমাট বাধা-সহ অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। অনেকসময় উল থেকে অ্যালার্জি-ও হতে পারে। এর পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। উল এমন এক প্রাকৃতিক তন্তু, যা ভেড়া কিংবা ছাগলের গা থেকে নেওয়া হয়।
ত্বকের সমস্যা
তবে এই উল থেকে তেল নিষ্কাশন এবং পরিষ্কার করার জন্য রাসায়নিক ও উলে রঙ করবার জন্য স্বাভাবিক ডাই-ও ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা ফুসকুড়ি অথবা আমবাতের মতো সমস্যা হতে পারে। কিন্তু নিতান্তই যদি সোয়েটার পরে ঘুমাতে বাধ্য হন, তাহলে সোয়েটার পরার আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে ত্বকের ক্ষতি হবে না।
হার্টের সমস্যা
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমানোর সময় সোয়েটার পরা উচিত নয় একেবারেই। এতে শরীরে বায়ু চলাচল কমে যায় এবং তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
স্বাভাবিক তাপমাত্রা ব্যাহত হয়
এছাড়া শীতের রাতে উলের পোশাক পরে ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
গরমের পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানো উচিত নয়
ঠান্ডার সময় বাচ্চাদের সর্দি,কাশির হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই উলের পোশাক পরিয়ে ঘুম পাড়ান। কিন্তু এই অভ্যাস অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ ছোট শিশুরা রাতে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে। আর ওই অবস্থায় শীতের পোশাক ভিজে গেলে হতে পারে সর্দি,কাশি বা জ্বরও। তাই শীতের হাত থেকে বাঁচতে কাঁথা-কম্বল-ই ভরসা। কিন্তু ভুলেও শীতের পোশাক পরে রাতে ঘুমাতে যাবেন না কেউ।
Leave a Reply