২০২৪ সালেই কালীঘাট মন্দিরে ঘটবে, ঐতিহাসিক পরিবর্তন! এই প্রথম, ৫০ কেজি খাঁটি সোনায় মুড়বে, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া! কে দিচ্ছেন এই কাড়ি কাড়ি সোনা?

২০২৪ সালেই কালীঘাট মন্দিরে ঘটবে, ঐতিহাসিক পরিবর্তন! এই প্রথম, ৫০ কেজি খাঁটি সোনায় মুড়বে, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া! কে দিচ্ছেন এই কাড়ি কাড়ি সোনা?

২০২৪ সালেই কালীঘাট মন্দিরে
ঘটবে, ঐতিহাসিক পরিবর্তন!

বদলে যাবে কালীঘাট মন্দিরের
২১৪ বছরের পুরনো রূপ!

এই প্রথম, ৫০ কেজি খাঁটি সোনায়
মুড়বে, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া!

স্বর্ণের চাদরে ঢাকা পড়বে
বাংলার প্রাচীন শক্তিপীঠ!

কে দিচ্ছেন এই কাড়ি কাড়ি সোনা?
দেখুন

দেশ জুড়ে চলছে রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি। তার মাঝেই বড়সড় পটাকা ফাটালেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বাংলার পবিত্র তীর্থস্থান, কালীঘাট মন্দির নিয়ে নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন বছরেই শক্তিপীঠ কালীঘাট মন্দিরের চূড়াটি খাঁটি সোনায় মুড়ে ফেলা হবে। অল্পস্বল্প সোনা নয় একেবারে পঞ্চাশ কেজি সোনায় ঢেকে ফেলা হবে কালী ঘাট মন্দিরের মাথা। ১৮০৯ সালে কালীঘাট মন্দির প্রতিস্থাপনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এত বড় সিদ্ধান্ত নেননি। এ প্রথম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কালীঘাট মন্দিরের ২১৪ বছরের এই পুরনো রূপ পাল্টে ফেলার পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা অনেকেই বিশাল বড় উদ্যোগ বলে মন্তব্য করছেন।

সোনা দিয়ে চূড়া মোড়ানোর পর কেমন দেখতে হবে কালীঘাট মন্দিরের নতুন আদল?

তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে সোনা দিয়ে চূড়া মোড়ানোর পর কালীঘাট মন্দিরের রূপ ও নকশা আমূল পাল্টে যাবে। এখনো পর্যন্ত কালীঘাট মন্দিরের উপরে তিনটি চূড়া রয়েছে। যা সাধারন ধাতু দিয়ে তৈরি। সেগুলো দূর থেকে ততটা চোখে পড়ে না। এই চুল গুলোর বয়স অনেক বছর হয়েছে। নতুন বছরে এই চূড়াগুলো খুলে, তার উপর খাঁটি সোনায় মোড়ানো চূড়া বসানো হবে। যেগুলো দেখতে হবে চকচকে, একেবারে তামাটে লাল রঙের সোনা। যা দূর থেকেও উচিত করবে। তবে কালীঘাট মন্দিরের চূড়ায় সোনা বসানো ছাড়াও, মন্দিরের পুরো আদলটাই পরিবর্তন করে ফেলা হবে। আর এই তথ্যটি আজ থেকে কিছু মাস আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই সময় কালীঘাট মন্দিরের কর্তৃপক্ষরা, জানিয়েছিলেন, মন্দির সংলগ্ন গোটা এলাকা নতুন করে সাজানো হবে। স্কাই ওয়াক থেকে শুরু করে ঝকঝকে রাস্তা ঘাট, সব মিলিয়ে পুরনো কালীঘাটের চিহ্নই আর থাকবে না। আর কালীঘাট মন্দিরের এই রূপ ও নকশা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চলেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি। তারা এই সম্পূর্ণ বিষয়টির দেখভাল করবেন। কারণ ২০২৩ সালে মুকেশ আম্বানির সংস্থাকে কালীঘাট সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু আচমকা কেন কালীঘাট মন্দিরের চূড়ায় সোনা মোড়ানো হচ্ছে?

মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন কালে ,, বাংলার দিকে যাতে সকলের কৌতুহল ও নজর থাকে, তাই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার একাংশ বলছেন ,,, লোকসভা ভোটের আগে ভোট ব্যাঙ্ককে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তটি সামনে এনেছেন। অন্যদিকে এমনটাও শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। যেহেতু কালীঘাট পশ্চিমবাংলার অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি তীর্থস্থান। এই মন্দিরের টানে দেশ বিদেশ থেকে বহু ভক্তবৃন্দরা ছুটে আসে। তাই পর্যটকদের আকর্ষণের মাত্রাকে থেকে আরও বাড়িয়ে তুলতেই, কালীঘাট মন্দিরের চূড়ায় বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। কেউ কেউ আবার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের তুলনা টানতে শুরু করেছেন। তবে কলকাতার কালীঘাট মন্দির , অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের মতন হবে কিনা জানা নেই, কিন্তু এই গোটা বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে, কালীঘাট মন্দিরের ঐতিহ্য এবং গৌরব আরো বাড়বে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *