রাম মন্দিরের জন্য পাকিস্তান পর্যন্ত ছুটতে হলো ভারতকে! এবার রাম মন্দিরের সঙ্গে জুড়ে গেল পাকিস্তানের নাম!

রাম মন্দিরের জন্য পাকিস্তান পর্যন্ত ছুটতে হলো ভারতকে! এবার রাম মন্দিরের সঙ্গে জুড়ে গেল পাকিস্তানের নাম!

রাম মন্দিরের জন্য পাকিস্তান পর্যন্ত
ছুটতে হলো ভারতকে!

অবশেষে রাম মন্দিরের সঙ্গে
জুড়ে গেল পাকিস্তানের নাম!

রাম মন্দিরের এই ১টি জিনিস
শত্রু দেশ থেকে আনা হয়েছে!

যেটি না পেলে হয়ত,
রাম মন্দির উদ্বোধনটাই পন্ড হয়ে যেত!

এই জিনিসটি সরাসরি
রামলালার গায়ে ঠাঁই পাবে!

জিনিসটি কি?
দেখুন

রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ জুড়েই উত্তেজনা তুঙ্গে। এবার সেই উত্তেজনার পারদ আরো বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান। এবার প্রতিবেশী এই দেশটি ভারতের রাম মন্দিরের জন্য এমন এক অবদান রেখেছে, যার জন্য দেশটিকে শত্রু দেশ বলা ঠিক হবে নাকি পরম বন্ধু দেশ ঠিক হবে, রীতিমতো ধর্ম সংকট তৈরি হয়েছে। কারণ অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে, পাকিস্তান বিশাল বড় একটি ভূমিকা পালন করেছে। যা এক কথায় অনবদ্য। পাকিস্তানের এই উপকারের জেরে ভারত চিরকাল পাকিস্তানের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। রাম মন্দিরের শ্রী রামলালার পোশাক পাকিস্তান তৈরি করেছে। অর্থাৎ জানোয়ারীর ২২ তারিখ প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ভগবান শ্রী রামলালা যে পোশাকটি পড়বেন সেটি পাকিস্তানিরা তৈরি করেছেন।

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে পোশাকটি তৈরি হয়েছে। যার কারুকার্য দেখলে চমকে যাবেন। বিশ্বের সবথেকে দামি তন্তু দিয়ে রামলালার পোশাকটি তৈরি করা হয়েছে। পোশাকটিতে নানা রঙের জরি ও চুমকির কাজও করা হয়েছে। বহুমূল্যবান পাথর ও রত্ন দিয়ে পোশাকটিকে সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে। আসলে রামলালা এই পোশাকটি ভারতেই তৈরি করা যেত। কিন্তু ভগবান শ্রী রাম লালার পোশাক তৈরির জন্য বিশেষ যে তন্তুটি লাগত সেটি ভারতে মজুদ ছিল না। আর তাই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশেই ভগবান শ্রী রাম লালার পোশাকটি অর্ডার দেওয়া হয়। যেহেতু সেখানে বিশেষ এই তন্তুটি সহজলভ্য এবং তার দামও ঠিকঠাক মূল্যে পাওয়া যায়। তাই পাকিস্তানের হাতে শ্রী রামলালার উদ্বোধনী পোশাকটি তৈরি দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে পোশাকটি তৈরি হয়ে,,,, অযোধ্যার সিন্ধি কলোনির রামনগরে এসে পৌঁছে গিয়েছে।। সেখানেই ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পোশাকটির শুদ্ধিকরণ সম্পন্ন হয়েছে। পোশাকটিকে ধর্মীয় ও পবিত্র নদীর জল দিয়ে ধোয়া হয়েছে। ২১ জন পুরোহিত বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে এবং আরতি করে পোশাকটিকে শ্রী রামলালার জন্য পবিত্র করে তুলেছে। জানুয়ারির ২১ তারিখ এই পোশাকটি শ্রী রাম লালার গায়ে দেখতে পাবেন ভক্তবৃন্দরা।

ভাবতে পারছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি পাকিস্তান পালন করেছে। যেখানে পাকিস্থানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে, পান থেকে চুন কসলেই ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ লেগে যায়, সেখানে এই রকম দৃশ্য একেবারেই বিরল। ভারতের অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ শ্রী রামলালার পোশাক পাকিস্তানিরা বানিয়েছেন, বিষয়টি গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতন। ভগবান শ্রী রামচন্দ্র যেন নিজে এসে, দু দেশের বেড়াজালকে মিটিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনা তারই বার্তা দেয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *