বাড়ি বসেই রাম মন্দিরের প্রসাদ খেতে চান? সেই ব্যবস্থাও করেছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ! এবার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে রাম লালার প্রসাদ!

বাড়ি বসেই রাম মন্দিরের প্রসাদ খেতে চান? সেই ব্যবস্থাও করেছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ! এবার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে রাম লালার প্রসাদ!

বাড়ি বসেই রাম মন্দিরের
প্রসাদ খেতে চান?

সেই ব্যবস্থাও করেছে
রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ!

এবার দুয়ারে দুয়ারে
পৌঁছে যাবে রাম লালার প্রসাদ!

সঙ্গে পাবেন রঘুপতির
আশীর্বাদের ফুল!

দেখে নিন,
কিভাবে এই প্রসাদ সংগ্রহ করবেন

আর মাত্র কয়েকটা দিন,,,, তারপর ধুমধাম করে খুলে যাবে রাম মন্দিরের দুয়ার। গোটা বিশ্ববাসীর কাছে শ্রী রামলালা ধরা দেবেন। তবে অনেকে ভক্ত বৃন্দরা, নানা কারণেই হয়ত রাম মন্দির উদ্বোধনে যেতে পারবেন না। এই সমস্ত ভক্তরা এখন থেকেই মন খারাপ করে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই,,,, বহু রাম ভক্ত এই ভেবে আফসোস করছেন যে, তারা শ্রী রামলালার প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। ভগবান শ্রী রামলালার পবিত্র প্রসাদ ও আশীর্বাদের ফুল তাদের হাতছাড়া হবে। এই ভেবে অগণিত ভক্তের চোখে জল, বুকে কষ্ট। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। সেই সমস্ত ভক্তরা যারা অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না,,,,,,,,, তাদের সবার কথা ভেবে দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। যা শুনলে আনন্দে লাফাবে সমস্ত রাম ভক্তরা। রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে,, যারা যারা মন্দির উদ্বোধনে অনুপস্থিত থাকবেন,,,,, তাদের জন্য বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কমিটি। মূলত তারাই দায়িত্ব নিয়ে, রাম মন্দিরের প্রসাদ দেশের ৬২ কোটি ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করবেন। তবে এই কাজটি নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। যা দফায় দফায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত চলবে।

এর জন্য তারা একটি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। যার নাম অক্ষত কলস কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় দুভাবে প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথমত রাম মন্দিরের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে,,, প্রথম থেকেই যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে যারা আসতে পারবেন না তাদের জন্য দায়িত্ব সহকারে প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত হল রাম মন্দির নির্মাণের সময়,,, চাঁদা সংগ্রহের জন্য,,, রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ বহু মানুষের কাছে পৌঁছেছিলেন। সেই সময় তারা ৪৪ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে সারা দেশের মোট ১৩ লাখ গ্রামে গিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করেছিলেন। ভাবতে পারছেন বিষয়টা কতটা গভীর!!! কতশত মানুষ এই রাম মন্দিরে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন!!!! রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এই সকল মানুষ চাঁদা না দিলে হয়ত আজকের এই রাম মন্দির গড়া সম্ভব হতো না। গোটা দেশের সকল মানুষ কোনো না কোনোভাবে রাম মন্দিরের সঙ্গে বাধা পড়েছেন। তাদের এই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর তাই এই সকল একনিষ্ঠ রাম ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতার জেরে,,, তাদের জন্য শ্রী রাম লালার প্রসাদ পাঠাচ্ছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই দায়িত্বটি পালন করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৪৫টি সাংগঠনিক প্রদেশের বিশিষ্ট কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই এই ৪৫ টি সাংগঠনিক প্রদেশের বিশিষ্ট কর্মকর্তারা রাম মন্দিরের প্রসাদ সংগ্রহ করে নিজ নিজ এলাকায় এবং বিভিন্ন স্তরে সে প্রসাদ গুলোকে বিতরণ করেছেন। প্রসাদ গুলো সেখানেই রয়েছে। ভক্তরা যেকোনো সময় গিয়ে সেই প্রসাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এই কাজটির রাম মন্দির উদ্বোধনে আগেই সেরে ফেলা হচ্ছে তার কারণ উদ্বোধনের দিন কর্তৃপক্ষদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি থাকবে। ফলস্বরূপ এই কাজটি স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে হয়ে উঠবে না। তাই আগে থেকেই এই প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাটি করে রাখা হয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *