রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন, কোটিপতি হবেন এই ৫ ব্যক্তিরা! ফুলে ফেঁপে উঠবে এদের কোষাগার, দেখুন এই ৫ ব্যক্তিরা, আসলে কারা

রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন, কোটিপতি হবেন এই ৫ ব্যক্তিরা! ফুলে ফেঁপে উঠবে এদের কোষাগার, দেখুন এই ৫ ব্যক্তিরা, আসলে কারা

রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন,
কোটিপতি হবেন এই ৫ ব্যক্তিরা!

ফুলে ফেঁপে উঠবে
এদের কোষাগার!

হুড়মুড়িয়ে বাড়বে
এদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স!

মাটি ছুঁয়ে
ফলাবে প্রচুর প্রচুর সোনা!

সুখ সাগরে ভাসবে
এদের বউ-বাচ্চা!

দেখুন
এই ৫ ব্যক্তিরা, আসলে কারা

একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতাই চলছে রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি। কারণ হাতে আর বেশিদিন নেই। ২২ জানুয়ারি গোটা বিশ্ববাসীর কাছে রামলালা ধরা দেবেন। এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ গোটা ভারতের কাছে। বিশেষ এই দিনটিতে রাম মন্দির উদ্বোধনের সাথে সাথেই পাঁচটি সেক্টরের ব্যক্তিরা রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন। ভগবান রামলীলার কৃপায় তাদের অর্থ ভাগ্য তুঙ্গে উঠবে। এই পাঁচটি সেক্টরের ব্যক্তিদের অভাব দশা দূর হয়ে যাবে। এক নজরে দেখুন এই সৌভাগ্যবান ৫ ব্যক্তিদের

তালিকার প্রথমেই রয়েছে অযোধ্যার হোটেল মালিকরা। একদমই তাই। ২২ শে জানুয়ারি যেদিন রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন এদের ভাগ্যের তারা চমকাবে। গোটা বিশ্বের কাছেই রাম মন্দির একটি দুর্ধর্ষ চমক। ঐতিহাসিক থেকে শুরু করে সামাজিক সমস্ত দিক থেকেই রাম মন্দিরের গুরুত্ব অনেক। এই রাম মন্দিরকে এক ঝলক দেখতে দেশ, বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দরা ছুটে আসবেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। আর এই সমস্ত ভক্তবৃন্দরা অযোধ্যায় এসে, অযোধ্যার আশেপাশের বিভিন্ন হোটেলে, রিসোর্টে থাকবেন। যার জেরে মোটা অংকের মুনাফা কষবেন হোটেল এবং রিসোর্ট মালিকরা। তাছাড়াও রাম মন্দির উদ্বোধনের মতন একটি পিক সিজনে হোটেল এবং রিসোর্ট এর মালিকেরা ভাড়া অনেকটা বাড়িয়ে দেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই দিক থেকেও মোটা অংকের লাভ তারা পকেটে ঢুকাবেন। তবে অধিকাংশ ভক্তবৃন্দরা আজ থেকে দু তিন মাস আগেই,,,, রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকার যত রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে সেগুলো বুক করে ফেলেছেন। ভক্তরা বলছেন ভাড়া যতই হোক রাম মন্দির দর্শনের জন্য তারা কোন কার্পণ্য করবেন না।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অযোধ্যা সংলগ্ন দোকান পাটের মালিকেরা। রাম মন্দির ইতিমধ্যেই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্রের মধ্যে নাম খোদাই করে ফেলেছে। যার ফলে রাম মন্দিরকে ঘিরে তীর্থ যাত্রীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা এবং কৌতূহল তুঙ্গে। এখান থেকেই খুব সহজে বোঝা যায় জানোয়ারীর ২২ তারিখ অর্থাৎ রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হাজার হাজার তীর্থযাত্রীদের ঢল নামবে। এর ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে অযোধ্যা সংলগ্ন দোকান পাটের মালিকেরা। রাম লালাকে,,, দেওয়ার জন্য প্রসাদ থেকে শুরু করে মোমবাতি ও ধূপকাঠি,,, সমস্ত কিছুই কেনাবেচার মধ্য দিয়ে মোটা অংকের লাভ কসবেন অযোধ্যার বিভিন্ন দোকানপাটের কর্তৃপক্ষরা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে অযোধ্যা ও রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকার গাড়ি চালকেরা। আপনারা দেখেছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু করে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আশেপাশে অনেক গাড়ি চালকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। যারা দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের মন্দিরে পৌঁছে দেন। আর এর বিনিময়ে তারা মোটা টাকা রোজগার করেন। এই একই দৃশ্য রাম মন্দির সংলগ্ন চত্বরেও দেখা যাবে। জানুয়ারির ২২ তারিখ, রাম মন্দির ও অযোধ্যার গাড়ি চালকেরা বিপুল টাকা ইনকাম করবেন। এমন কি একাংশের অনুমান বিশেষ এই দিনটিতে তীর্থ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া তোলার মতন প্রবণতাও দেখা যাবে।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে মন্দির সংলগ্ন মেলার বিক্রেতারা। সচরাচর যে কোন স্থানে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মেলা বসতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে রাম মন্দিরের মতন এত বড় আয়োজনে মেলা বসবে না তা তো হতেই পারে না। রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকায় যে সমস্ত মেলা বসবে সেখানকার বিক্রেতারা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন। তারা প্রচুর প্রচুর অর্থ রোজগার করবেন। এছাড়াও চড়া দামে জিনিস বিক্রি করে মোটা অংকের মুনাফাও কষবেন তারা।

তালিকার সবার শেষে রয়েছে অযোধ্যা নগরীর ফুল বিক্রেতারা। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এদিন প্রতিটি ভক্তই রামলালাকে দর্শনের আগে ফুলের দোকান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাবে। আর রাম ভক্তদের ফুল কেনার মধ্য দিয়েই বিস্তর পয়সা রোজগার করবেন অযোধ্যা নগরীর ফুল বিক্রেতারা।

সত্যি রাম মন্দির গোটা দেশের জন্যই একদিকে মঙ্গলজনক অন্যদিকে লাভজনক। ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের এই মন্দির বহু মানুষের কর্মসংস্থানের জোগান দেবে। বহু অভাবীদের মুখে দু মুঠো অন্ন তুলে দেবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *