মেয়েরা টয়লেটে বসার আগে এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না! সাবধান হয়ে যান! নাহলেই মারাত্মক সর্বনাশ! প্রাণ নিয়ে টানাটানিতে পড়বেন

মেয়েরা টয়লেটে বসার আগে এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না! সাবধান হয়ে যান! নাহলেই মারাত্মক সর্বনাশ! প্রাণ নিয়ে টানাটানিতে পড়বেন

মেয়েরা টয়লেটে বসার আগে
এই ৫টি ভুল কক্ষনও করবেন না!

সাবধান হয়ে যান!
নাহলেই মারাত্মক সর্বনাশ!

এই ভুলগুলোর জন্যই,
মেয়েদের সাংঘাতিক ক্ষতি হয়!

শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু
ঢুকে যায়!

সময় নষ্ট না করে,
চটপট দেখে নিন এই ৫ টি ভুল কি কি

১, সরাসরি টয়লেট সিটে বসে যাওয়া – অধিকাংশ মেয়ে এই মারাত্মক ভুলটি করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে টয়লেট সিটে নানা রকমের ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মানব শরীরে ঢুকলে মারাত্মক ক্ষতি করে। এক্ষেত্রে পুরুষ থেকেও, মেয়েদের ক্ষতি সবথেকে বেশি হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা মেয়েদের সরাসরি টয়লেট সিটে না বসার পরামর্শ দিচ্ছেন। বাংলা হোক বা ইংলিশ কমোড আগে ভালো করে ফ্লাশ করবেন। যদি ইংলিশ কমোড হয় তাহলে কমোডের সিটের আশেপাশে, চারিদিকে জল দেবেন। বাংলা কমোড হলেও অবশ্যই জল দেবেন। তারপর মহিলারা টয়লেট করতে বসবেন।

২, টয়লেট স্যানিটাইজ না করা – গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পাবলিক টয়লেট হোক বা বাড়ির টয়লেট জীবাণু সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। খালি চোখে টয়লেটের জীবাণু দেখা যায় না। তাই মহিলাদের টয়লেটে বসার আগে টয়লেট স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, মহিলাদের লজ্জা স্থানটি অত্যন্ত স্পর্শ কাতর হয়। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের টয়লেটের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। টয়লেট স্যানিটাইজ না করে মহিলারা যদি টয়লেট করেন, সে ক্ষেত্রে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস মহিলাদের লজ্জা স্থান দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে যায়। যার ফলে মহিলাদের শরীরে নানা রকমের রোগ ব্যাধি হয়। তাই প্রত্যেকটি মহিলা টয়লেটে বসার আগে অবশ্যই টয়লেটের আশপাশ ভালো করে স্যানিটাইজ করে নিন।

৩, ইংলিশ কমোডের সিটে জীবাণুনাশক স্প্রে করা – আজকাল ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট বেশিরভাগ শৌচলয়ে ইংলিশ কমোড দেখা যায়। অনেক মেয়ে ইংলিশ কমোডের সিটে সরাসরি বসে পড়েন। যা অত্যন্ত ভুল কাজ। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে কোন টয়লেটই জীবাণুর আঁতুঘর হয়ে ওঠে। তাহলে ভাবুন আপনি যে কমোডের সিটে বসে পড়ছেন সেখানে কি পরিমান জীবাণু থাকতে পারে। অনেক সময় ভালো করে পরিষ্কার করার পরেও সেই সমস্ত জীবাণু সহজে যায় না। যা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। তাই আজকাল বাজারে টয়লেটের সিট পরিস্কার করার জন্য বিভিন্ন রকম জীবাণুন নাশক স্প্রে বার হয়েছে। যা মহিলারা অনায়াসেই ব্যাগে করে ক্যারি করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা মহিলাদের এই স্প্রেগুলো একটি করে কিনে রাখতে বলছেন। যে কোন সময়,,, বাড়ির টয়লেট হোক বা পাবলিক টয়লেট,,, এটি চারিদিকে স্প্রে করে,,, তারপর বসে টয়লেট করলে অনেক বেশি নিরাপদ থাকে। মেয়েদের শরীরে রোগ জীবাণু ঢোকার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

৪, টয়লেটের ফ্লাশ টিস্যু দিয়ে ধরুন – আসলে মহিলাদের শরীরের টয়লেট থেকে জীবাণু ঢোকার রাস্তা অনেক বেশি থাকে। এজন্য মহিলাদের অনেকটাই সাবধানে টয়লেট ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন অনেক সময় মহিলারা টয়লেটে গিয়ে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ফ্লাশ চাপেন। এতে করে ওই ফ্লাশ থেকে মহিলাদের আঙ্গুলে জীবাণু চলে যায়। তাই তারা মহিলাদের টয়লেটের ফ্ল্যাশ হাতের আঙ্গুলের বদলে টিস্যু দিয়ে ইউজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

৫, শরীর খারাপের সময় বিশেষ সতর্ক থাকুন – প্রতিটি মেয়েরই মাসের তিন থেকে চারটে দিন শরীর খারাপ হয়। যাকে বলা হয় মেয়েদের মর্সুম পরিবর্তন। এই সময়টিতে টয়লেট ব্যবহার করার সময় মেয়েরা অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করুন। তার কারণ এই সময় মেয়েদের লজ্জাস্থান অনেক বেশি নাজুক এবং স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। সহজে রোগ জীবাণুকে গ্রহণ করে ফেলে। তাই এই সময়গুলোতে বাথরুম ব্যবহার করার পর ভালো করে স্যাভলন দিয়ে হাত ধোবেন। চেষ্টা করবেন টয়লেটের কোন কিছু অকারণে স্পর্শ না করার।

আশা করি এই প্রতিবেদনটি মেয়েদের অনেক উপকারে আসবে। ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করুন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *