জানেন? ভগবান রামচন্দ্রের বংশধররা এখনও বেঁচে আছেন! অযোধ্যার রাম মন্দিরে কি তাদের ডাকা হয়েছে?

জানেন? ভগবান রামচন্দ্রের বংশধররা এখনও বেঁচে আছেন! অযোধ্যার রাম মন্দিরে কি তাদের ডাকা হয়েছে?

জানেন?

ভগবান রামচন্দ্রের বংশধররা
এখনও বেঁচে আছেন!

অযোধ্যার রাম মন্দিরে কি
তাদের ডাকা হয়েছে?

তারা কি
অতিথি হয়ে আসবেন?

এখন কোথায় থাকেন তাঁরা?
কিভাবে সংসার চালাচ্ছেন?

শুনলে থ হয়ে যাবেন

হাতে আর মাত্র কটা দিন,,, এরপর জানুয়ারির ২২ তারিখ অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা খুলে যাবে। আর ঠিক এই রকম একটি টানটান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, গোটা দেশজুড়ে একটা শোরগোল পড়েছে। আর এই শোরগোল তৈরি করেছে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বংশধররা। আপনারা জানেন ইতিমধ্যেই রাম মন্দিরের অতিথিদের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিত একটি প্রশ্ন মাথাচড়া দিয়েছে। সেটি হল ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের এত বড় একটি আয়োজনে, প্রভু রাম চন্দ্রের বংশধরদের কি ডাকা হয়েছে? রঘুপতি শ্রী রামচন্দ্রের বংশধররা কি আদৌ বেঁচে রয়েছেন? এই দুটো প্রশ্ন বর্তমানে খুব ঘুরপাক খাচ্ছে। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের কাছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোলসা করে দেবো।

প্রথমেই জানাই ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বংশধররা আজও দিব্যি বেঁচে আছেন। এই উত্তরের সাপেক্ষে প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। তথ্য সূত্র অনুযায়ী, ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বংশধররা ভারতের জয়পুরে বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন। তারা এখনো সুস্বাস্থ্য নিয়ে জীবিত রয়েছেন। তারা রাজ পরিবার তন্ত্রে বিশ্বাস করেন। স্বাধীনতার পর ভারত বর্ষ থেকে রাজতন্ত্র উঠে গেলেও তারা এখনো সেই প্রথা মেনেই জীবিকা চালাচ্ছেন। জয়পুরের মানুষ তাদের বড্ড সমীহ করেই চলেছেন। রামচন্দ্রের বংশধরদের মধ্যে যারা জীবিত রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জয়পুরের মহারানী পদ্মিনী দেবী। মূলত এই পদ্মিনী দেবীই সবার প্রথমে এই তথ্যটি সামনে নিয়ে আসেন। তিনি একবার এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানান, তার স্বামী জয়পুরের প্রাক্তন মহারাজ ভবানী সিং ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বংশধর। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তার শ্বশুর বাড়ির গুষ্টি ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের পুত্র কুশের ৩০৯ তম বংশধর। তিনি আরো বলেন তাদের গুষ্টিকে কচ্ছোয়া গুষ্টি নামেও সম্বোধন করা হয়। পদ্মিনী দেবী দেখতে অসম্ভব সুন্দর। তিনি যেমন সুন্দর তেমনি দেখতে সুন্দর তার একমাত্র কন্যা দিয়া কুমারী। পদ্মিনী দেবী অল্প বয়সেই তার কন্যা দিয়া কুমারীর বিয়ে সম্পন্ন করিয়ে দেন। অত্যন্ত রাজকীয়ভাবে দিয়া কুমারীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে দিয়ার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এক ছেলে দুটোর মধ্যে একজনের নাম পদ্মনাম এবং অপর জনের নাম লক্ষ্য। আপনাদের জানিয়ে রাখি দিয়া কুমারীর মা অর্থাৎ পদ্মিনী দেবীর কোন সন্তান ছিল না। সে সময় দিয়া কুমারীর বাবা ভবানী সিং দিয়া কুমারীর দুই পুত্রকে দত্তক নেন। অর্থাৎ নাতিদেরকে নিজের পুত্রের মতন লালন পালন করতে শুরু করেন। তখন তিনি দিয়ার বড় পুত্র পদ্মনাকে সিংহাসনে বসান। এরপর যখন ভবানী সিং মারা যান তখন রাত সিংহাসনে বসেন ছোট নাতি লক্ষ্য। রাজ পরিবারের অন্দর মহলের কাহিনী শুনলে আপনি থ হয়ে যাবেন। তাদের জীবন আমার আপনার মতন সাধারণ নয়। তারা জীবন-যাপন করেন একেবারে রাজা-বাদশাদের মতন। আমরা বইতে এবং সিনেমায় নবাব শাহজাদারদের যে জীবনযাত্রা দেখেছি,, রাম চন্দ্রের বংশধররা ঠিক সেই রকমই আদর আপ্যায়নে জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে জয়পুরের রাজা পদ্মানাভ সিং। তিনি একজন মডেল ও তুখোড় প্লেয়ার। তিনি ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। তার গ্ল্যামার্স দেখলে তরুণীদের ঘুম উড়ে যাবে। পদ্মনাভর মতোই মডার্ন এবং আলিশান জীবনে অভ্যস্ত তার পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য। রাজস্থানের জয়পুরে তাদের পরিবারকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। রাজস্থানের বহু বড় বড় অনুষ্ঠানে পদ্মিনী দেবীকে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাকা হয়। তবে তারা নিজেদের ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বংশধর বলে দাবি করলেও, অনেকেই তাদের এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সন্দেহ করেছেন। তারা কি সত্যিই শ্রী রামচন্দ্রের পুত্র কুশের বংশধর নাকি অন্য কিছু? বন্ধুরা আপনাদের কি মনে হয়? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর ভিডিওটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *