বলিউড তারকার দামি বাড়ি

বাড়ি তো নয় যেন রাজপ্রাসাদ! জানেন বলিউডের কোন তারকা সবচেয়ে দামি বাড়ির মালিক? দামের নিরিখে টেক্কা দেবে অমিতাভ বচ্চনের ‘জলসা’ কিংবা শাহরুখ খানের  ‘মন্নত’ -কেও! জানেন কোন বলিউড তারকার বাড়ি দশ গোল দেবে কোটিপতিদেরও?

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আগ্রহ থাকে অনুরাগীদের। বিশেষ করে বলিউড তারকাদের ঝাঁচকচকে অন্দরমহল নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল রয়েছে সীমাহীন। বিশেষ করে এই তালিকায় প্রথমেই আসে অমিতাভ বচ্চনের জলসা কিংবা শাহরুখ খানের মান্নাতের নাম। তাই অমিতাভ বচ্চন হোক কিংবা  শাহরুখ খান এঁদের  প্রত্যেকের বিলাসিতার ছাপ স্পষ্ট তাঁদের রাজপ্রাসাদের বাড়িতে। তবে বলি তারকাদের বিলাসবহুল এই বাড়ির তালিকায়  বিগ বি কিংবা কিং খানকেও কেউ টেক্কা দেয় জনপ্রিয় এই বলিউড অভিনেতার বাড়ি।

যা আকার আয়তন তো বটেই  দামের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে জলসা  এবং মান্নাতের থেকে। বর্তমানে অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি জলসার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০০ থেকে ১২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে শাহরুখ খানের বাড়ি মান্নাতের বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা।  তবে বলিপাড়া সূত্রে খবর ইন্ডস্ট্রিতে রয়েছেন এমন একজন অভিনেতা যার বাড়ির দাম অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খানের বাড়ির  থেকে প্রায় ছয় থেকে আট গুণ বেশি।

বলিউডের সেই জনপ্রিয় অভিনেতা আর কেউ নন, তিনি হলেন বলিউড অভিনেতা তথা পটৌডির নবাব বংশের বংশধর সইফ আলি খান।তাই বলি তারকাদের মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে দামি বাড়ির মালিক হলেন অভিনেতা সইফ আলি খান। সইফের ঠাকুরদা ছিলেন পটৌডির নবাব ইফতিকর আলি খান পটৌডি। তিনি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারও ছিলেন। তিনিই বানিয়েছিলেন বিখ্যাত পটৌডি প্যালেস।

ভোপালের এক বেগমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। লোকমুখে জানা যায় ভোপালের বেগমের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই  বিয়ের আগে যেখানে থাকতেন বিয়ের পর সেই বাড়িটিই পুনর্নিমাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইফতিকর। জানলে অবাক হবেন তখনকার দিনে এই রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি তৈরি করতে তিনি  রবার্ট টোর রাসেল নামে এক বিদেশি স্থপতিকে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন।

উত্তরাধিকার সূত্রেই ইফতিকরের পর পটৌডি প্যালেসে থাকতে শুরু করেন সইফের বাবা মনসুর আলি খান পটৌডি। সূত্রের খবর, মনসুর নাকি খ্যাতনামা একটি হোটেল সংস্থার মালিক ফ্রান্সিস ওয়াজ়িয়ার্গ এবং অমন নাথের সঙ্গে একটি  চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন। সেই চুক্তি অনুসারে ১৭ বছরের জন্য পটৌডি প্যালেসকে ব্যবহার করার সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছিল  ফ্রান্সিস এবং অমনের হোটেল সংস্থাকে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে মনসুরের মৃত্যুর পর ওই হোটেল সংস্থাকেই ভাড়া দেওয়া হত পটৌডি প্যালেস ।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন মনসুরের মৃত্যুর কিছু দিন পর নাকি এই পটৌ়ডি প্যালেস ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ফ্রান্সিস। সইফের কথায়, ‘ফ্রান্সিস আমায় বলেছিলেন আমার যদি কখনও মনে হয় তা হলে পটৌডি প্যালেস আবার কিনে নিতে পারি। আমিও ফেরত পেতে চেয়েছিলাম।’

সেসময় নিজের সঞ্চয়ের প্রায় সব টুকুই দিয়েই পটৌডি প্যালেস কিনে নিয়েছিলেন সইফ। অভিনেতার নিজের কথায়, ‘ছবিতে অভিনয় করে যা টাকা জমিয়েছিলাম তা দিয়ে আবার পটৌডি প্যালেস কিনেছিলাম আমি। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই বাড়ি তো আমারই।’ সেইসাথে সইফ দাবি করেছিলেন পরিবারের কোনও সদস্যই অতীতের সঙ্গে সহজে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *