রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবেন না, মমতা ব্যানার্জী! তবে কি তিনি নেমন্তন্ন পাননি?
রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবেন না,
মমতা ব্যানার্জী!
তবে কি তিনি
নেমন্তন্ন পাননি?
উদ্বোধনের আগেই রাম মন্দির নিয়ে
বড় কথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে!
ঠিক কি জানিয়েছেন তিনি?
অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে একেবারে হৈচৈ কান্ড। এবার সেই হৈচৈ এর মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিলেন, মমতা ব্যানার্জি। ভাবছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবার কি কান্ড ঘটালো? ঘটনার সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রীর রাম মন্দির উদ্বোধনে যাওয়া নিয়ে। আসলে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে নানা রকম মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধীরা মন্দিরকে ঘিরে বিভিন্ন রকম তর্ক বিতর্ক শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বাম নেতারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন না। একই সঙ্গে কংগ্রেসের তরফ থেকেও সনিয়া গান্ধী যদি না যায় তাহলে তাদের দল থেকেও কেউ যাবেন না। আর ঠিক এই রকম একটি পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি কি করবেন সেই নিয়েও বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবেন কি,,, যাবেন না,,, সেই নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে এখনো পর্যন্ত একটি বাক্যও খরচ করেননি। তবে দলের অন্দরে বসে এই নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। সূত্রের খবর মমতা ব্যানার্জি মনে করেন ধর্ম যার উৎসব সবার। তবে লোকসভার আগে রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যে তিনি ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাচ্ছেন না। বরং তিনি মনে করছেন লোকসভা ভোটের আগে, রাম মন্দির উদ্বোধন,, বিজেপির কাছে ভোট বাক্স ভরানোর একটি মাস্টারস্ট্রোক। মুখ্যমন্ত্রীর মতে রাম মন্দির উদ্বোধনে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবেন, তাদের একটাই লক্ষ্য ভোট ব্যাংক ভারী করা। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই মানতে পারছেন না। তবে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে, তিনি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে যাবেন কি,,, যাবেন না,,, সেটা কিন্তু এখনো স্পষ্ট করেননি। অর্থাৎ তিনি তার চূড়ান্ত উত্তর এখনো জানাননি। তবে তিনি মুখ না খুললেও, তার দলের ভিতরে অনেকেই বলছেন, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়ার সম্ভাবনাটাই সবথেকে বেশি।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী যদি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনে না যান,,, তাহলে একদিক থেকে তৃণমূলের লাভই হবে। প্রথম লাভটি হল,, পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারা মমতাকে অনেকদিন ধরেই নিশানা করছেন এই বলে যে ,,,,, তিনি মোদির সঙ্গে সেটিং তত্ত্ব শুরু করেছেন। অর্থাৎ মোদী ও মমতা তলে তলে নিজেদের লাভের অংক সাজাচ্ছেন। বামেদের দাবি অনুযায়ী, বাইরে মোদি মমতা শত্রু সাজলেও, ভেতরে ভেতরে মোদী ও মমতার ভালোই মিল মহব্বত রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যদি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে যান,,, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে বাংলার মানুষের কাছে ভুল বার্তা প্রচার হবে।
দ্বিতীয় লাভটি একটু অন্য রকম। রাম মন্দির উদ্বোধনকে সমাজের একাংশ ধর্মের নামে রাজনীতি বলে মনে করছেন। তাদের মতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ধর্মকে প্রোমোট করতে পারেন না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের প্রতি এক ধরনের স্বচ্ছ পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। যা কোন সরকারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাম্য নয়। এই দিক থেকে যদি মুখ্যমন্ত্রী রাম মন্দির এর উদ্বোধন উৎসব থেকে, দূরত্ব বজায় রাখেন তাহলে তার গায়ে কাদা চেটার সম্ভাবনাও কমে যাবে। এ তো গেল বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন বিশ্লেষকদের কথা। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবেন সেটা এখন সময়ের হাতে।
Leave a Reply