চা-সিগারেট ছাড়তে পারলেই কোটিপতি

কোটিপতি হতে কে না চায়! ৯৯% মানুষই জানেন না কোটিপতি হওয়ার এই সহজ টিপস! জানেন একবার চা-সিগারেট ছাড়তে পারলেই কিভাবে সুরক্ষিত হবে আপনার ভবিষ্যৎ? এখনই জানুন এই সহজ হিসেব-নিকেশ! শুধু এই নেশা ছাড়লেই অবসরে কত টাকার মালিক হবেন জানেন? টাকার অংক শুনলে বিশ্বাস হবে না নিজের কানকেই!

বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে প্রকৃত অর্থেই আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। তাই এখনকার দিনে উপার্জনের পাশাপাশি সকলেই ঝুঁকছেন সঞ্চয়ের দিকেও। তাই প্রত্যেকেরই ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য বিনিয়োগ এবং সঞ্চয় করা উচিত। কিন্তু মুশকিল হল অধিকাংশ মানুষই বাজে বেহিসাবি খরচের জন্য টাকা জমাতে পারেন না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মাসের শেষে পকেট গড়ের মাঠ! আসলে বিনিয়োগ করার ইচ্ছা থাকলেও অধিকাংশ মানুষই জানেন না সঠিক উপায়। তাই আজকের প্রতিবেদনে থাকছে বিনিয়োগ করার সহজ টিপস।

যদি কারও ধূমপান কিংবা চায়ের নেশা না থাকে তাহলে তিনি খুব সহজেই ভবিষ্যতের জন্য ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। উল্লেখ্য ভারতে প্রায় ২০ কোটি OTT গ্রাহক রয়েছে। যার জন্য তাঁরা প্রতি মাসে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা খরচ করেন। অথচ তাঁদের কাছেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য ১০০ টাকাও থাকে না।

খুব সাধারণ হিসাবে এমন অনেকেই আছেন যারা রোজ চা এবং সিগারেটের জন্য ১০০ টাকা খরচ করেন। অর্থাৎ এই নেশার পিছনে প্রতি মাসে তাদের প্রায় ৩০০০ টাকা খরচ হয়। তাই কেউ যদি এই দুই ধরনের নেশা মুক্ত হয়ে সেই টাকা সঞ্চয় করে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তাহলে ৩০ বছর পর তিনি খুব সহজেই কোটিপতি হয়ে যাবেন।

এছাড়া এই বেকারত্বের দুনিয়ায় কেউ যদি ৩০ বছর বয়সে এসে চাকরি পান তাহলে তিনিও প্রতি মাসে ৩০০০ টাকার একটি এসআইপি শুরু করতে পারে। এইভাবে টাকা জমালে তিনি পরবর্তী ৩০ বছরে মোট ১০.৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবেন । বর্তমানে এমন অনেক মিউচুয়াল ফান্ড আছে যা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করে। দীর্ঘমেয়াদী এই বিনিয়োগে ১২ শতাংশ গড় রিটার্নের সুবিধাও পাওয়া যায়। হিসাব অনুযায়ী এইভাবে সঞ্চয় করলে অবসরের পর ওই ১০.৮০ লক্ষ টাকা বেড়ে ১,০৫,৮৯,৭৪১ টাকা হবে। অর্থাৎ এই ৩০ বছরে শুধুমাত্র সুদ হিসাবেই  পাওয়া যাবে ৯৫,০৯,৭৪১ টাকা।

এইচডিএফসি লাইফ-এ দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ বিনিয়োগ করলে প্রতি বছর ১৭.৭০ শতাংশ  রিটার্ন পাওয়া যায়। পাশাপাশি রয়েছে ম্যাক্স লাইফ অনলাইন সেভিংস। এখানে দশ বছরেরও বেশি সময় বিনিয়োগ করলে  ১৬.৯০ শতাংশ রিটার্ন মিলবে। এছাড়া ভারতী অ্যাক্সা লাইফ ওয়েলথ প্রো-তেও দশ বছরের বেশি বিনিয়োগ করলে ১৬.৬০ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যাবে।

তবে অনেকেই জানেন না বাজারে এমনও বহু ফান্ড স্কিম রয়েছে, যা ২০ বছরের মেয়াদেও ১২ শতাংশের বেশি রিটার্ন দেয়। আদিত্য বিড়লা ওয়েলথ অ্যাস্পায়ার ফান্ডে  দশ বছরেরও বেশি মেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারলে ১৯.২০ শতাংশ হারে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। এছাড়া, বাজাজ আলিয়ান্স স্মার্ট ওয়েলথ গোল দশ বছরেরও বেশি সময়  বিনিয়োগে করলে  ১৭.৯০ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া যাবে। তাই একবার  চা এবং সিগারেটের নেশা ছাড়তে পারলেই অবসর সময়ে আপনিও হয়ে যাবেন কোটিপতি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *