কিডনি ছাড়াই দিব্যি বেঁচে রয়েছেন বাংলাদেশের এই যুবক! তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে! কিভাবে সে এত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে?

কিডনি ছাড়াই দিব্যি বেঁচে রয়েছেন বাংলাদেশের এই যুবক! তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে! কিভাবে সে এত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে?

কিডনি ছাড়াই দিব্যি বেঁচে রয়েছেন
বাংলাদেশের এই যুবক!

তার দুটো কিডনিই
নষ্ট হয়ে গিয়েছে!

এখন বিনা কিডনিতেই
ঘুরছেন, ফিরছেন, কাজ করছেন!

কিভাবে সে
এত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে?

শুনলে আর্তনাদে
আপনার বুক ফেটে যাবে!

কিডনি মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন দুটি অঙ্গ। এই কিডনি ছাড়াও কি আবার মানুষ বাঁচতে পারে? নিশ্চয় না! কিন্তু এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশের এক যুবক। যে দুটো কিডনি ছাড়াই দিব্যি বেঁচে রয়েছে। এই যুবকের নাম নাহিদ। তার শরীরের কোনো কিডনি নেই। ডায়ালাইসিসের জেরেই সে এখনো বেঁচে আছে। প্রতিটা দিন সে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখছে। কোনভাবে ডায়ালাইসিস বন্ধ হলেই তার মৃত্যু অবধারিত। সারাক্ষণ মৃত্যু ভয়কে সঙ্গে নিয়েই নাহিদ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নাহিদের বয়স আনুমানিক ১৮। এবার উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাহিদের বাড়ি। মৃত্যু পথযাত্রী ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে নাহিদের বাবা সারাক্ষণ অর্থের জন্য ছোটাছুটি করে চলেছেন। এমনকি নাহিদের বাবা নিজের একটি কিডনি তার আদরের সন্তান নাহিদকে দানও করতে চান। এই বিষয়ে তিনি জানান, তার কাছে এই দুনিয়ায় সন্তানের থেকে আপন কেউ নেই। তিনি তার চোখের সামনে সন্তানের এমন করুন মর্মান্তিক পরিণতি সহ্য করতে পারছেন না। তিনি, দিনের পর দিন ছেলেকে তিলে তিলে শেষ হতে দিতে চান না। এই কথা গুলো বলতে বলতে এক পর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। নাহিদের বাবার কান্না যেন একেবারে হৃদয় নিংড়ে নেওয়ার মতন।

২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে যায় নাহিদ। এরপর তাকে বাংলাদেশের রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন দিন চিকিৎসার পর নাহিদের পরিবার জানতে পারেন নাহিদের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নাহিদকে বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা ডায়ালাইসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপন। কিন্তু অর্থের জেরে নাহিদের কিডনি প্রতিস্থাপন এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই নিয়মিত ডায়ালিসিস এর মাধ্যমে নাহিদকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। নাহিদের বাবা পেশায় একজন গাড়ি চালক। নাহিদ ছাড়াও তার আরো একটি সন্তান রয়েছে। সে নাহিদের থেকেও বড়। নাহিদকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার বড় ভাইও নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট ভাই নাহিদকে বাঁচানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছেও ভাইকে বাঁচানোর জন্য আকুল আবেদন রেখেছেন। নাহিদকে কিডনি দেওয়ার জন্য তার বাবা সম্পূর্ন প্রস্তুত। কিন্তু ৫০ বছর বয়সী নাহিদের বাবার কিডনি নেওয়া হলে তিনি কিভাবে বাঁচবেন সেটাও কিন্তু প্রশ্নের মুখে। এদিকে বাবাকে ঝুঁকিতে ফেলতে চান না ছেলে নাহিদ। আমরা সকলেই প্রার্থনা করি নাহিদ যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আর পাঁচটা স্বাভাবিক কিশোরের মতন সেও যেন জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে পারে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *